ঈদের ‘আগাম কেনাকাটায়’ ব্যস্ত পাইকারী মার্কেটগুলো

22

নিজস্ব প্রতিবেদক

ঈদ আসার অনেক আগে থেকেই ঈদের ‘আগাম কেনাকাটায়’ ব্যস্ত কাপড়ের পাইকারী বাজারখ্যাত টেরিবাজার ও রিয়াজউদ্দিন বাজারসহ বিভিন্ন মার্কেটের ক্রেতা-বিক্রেতারা। জমে উঠতে শুরু করেছে চট্টগ্রামের ঈদ বাজার। রোজার মাস শুরুর সঙ্গে সঙ্গে নতুন রূপে সাজতে শুরু করে চট্টগ্রামের বিপণীবিতানগুলো। করা হয়েছে নানা রকম আলোকসজ্জা। আলো ঝলমল বিপণীবিতানগুলোর কারণে রাতের চট্টগ্রামে যোগ হয়েছে সৌন্দর্যের বাড়তি মাত্রা। রমজানের আগে থেকেই শুরু হওয়া এই আগাম কেনাকাটা সকাল থেকে বিকেল অবদি চলছে প্রতিদিন। যারা কাপড় সেলাই করবেন তারা সবচেয়ে বেশি ভিড় করছেন টেরিবাজার ও রিয়াজউদ্দিন বাজারে। অবশ্য দিন বাড়ার সাথে সাথে দাম বাড়ার কথা মাথায় রেখেই অনেকে কেনাকাটা সারছেন আগেভাগেই। গেল দুই বছর করোনায় একেবারে নাকাল ব্যবসায়ীরা। তাই এবার দোকান ভর্তি কাপড়চোপড় নিয়ে বসেছেন ব্যবসায়ীরা। এবার করোনা মহামারির কারণে সরকারি কোন বিধি নিষেধ না থাকাটা কেনাকাটায় নতুন মাত্রা যোগ করেছে।
ব্যবসায়ীরা বলছেন, ক্রেতারা এখন আগের অবস্থানে নেই। তারা ঈদের জন্য অপেক্ষা করেন না। ঝক্কিঝামেলা এড়াতে ঈদের শপিং আগেভাগে সেরে ফেলছেন। বেচাকেনাও চলছে। বিশেষ করে থান কাপড়ের (টু-পিস, থ্রি-পিস) দোকানে দোকানে ভিড় শুরু হয়েছে রোজা শুরু হওয়ার অনেক আগে থেকেই। এরই মধ্যে চরম ব্যস্ত হয়ে পড়েছেন দর্জিপাড়ার দোকানিরাও। এদিকে রোজার শুরু থেকেই চাঙ্গা হয়ে উঠেছে রমজাননির্ভর ব্যবসা-বাণিজ্য। ঘরে ঘরে ব্লক-বুটিক ব্যবসা থেকে শুরু করে নামিদামি শোরুম সবখানে লেগেছে ঈদের আমেজ। ভ্রাম্যমাণ ব্যবসায়ীরাও বসে নেই। পণ্য নিয়ে পাড়া-মহল্লা চষে বেড়াতে শুরু করেছেন তারাও।
নগরীর টেরিবাজার, রিয়াজউদ্দিন বাজার, চকবাজারের মতি টাওয়ার, মতি কমপ্লেক্স, চকভিউ সুপার মার্কেট, গুলজার টাওয়ার, সৈয়দ সেন্টার, মিমি সুপার মার্কেট ও আফমি প্লাজা, জিইসি মোড়ের স্যানমার ওস্যান সিটি, টেরিবাজার, নিউ মার্কেট, আগ্রাবাদ এলাকার ব্যাংকক, সিঙ্গাপুর মার্কেটসহ একাধিক মার্কেট ঘুরে দেখা গেছে ঈদ সামনে রেখে ব্যবসায়ীরা তাদের দোকানপাট ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠান শোরুম রকমারি পণ্যে সাজিয়ে তুলেছেন। টেরিবাজারে গিয়ে দেখা যায়, থান কাপড় ও বেডশিট কেনাকাটা জোরেশোরে চলছে। একইসঙ্গে এখানকার টেইলারিং দোকানগুলোতে উপচেপড়া ভিড় দেখা গেছে। টেরিবাজার ও রিয়াজুদ্দিন বাজারের পাইকারি দোকানগুলো এখন মহাব্যস্ত সময় পার করছে। নগরীর এসব পাইকারি দোকান থেকে পার্বত্য চট্টগ্রামের তিন জেলা বান্দরবান, খাগড়াছড়ি, রাঙ্গামাটি ও কক্সবাজারসহ চট্টগ্রামের আশপাশের উপজেলাগুলোতে খুচরা ব্যবসায়ীরা কাপড় নিয়ে যান। ফলে রমজানের কয়েকদিন আগে থেকে এসব পাইকারী দোকানে বিকিকিনি জমজমাট থাকে। গত দুই বছর করোনা মহামারির কারণে ব্যবসায়ীরা ক্ষতির সম্মুখিন হয়েছেন বেশি। এবার করোনা পরিস্থিতি সামলে আসার কারণে ব্যবসায়ীরা বেশ আশাবাদী। ক্রেতারাও বিশেষ আগ্রহে কেনাকাটা সারছেন। তবে কাপড়ের দাম একটু বেশি বলে জানালেন ক্রেতারা।