ঈদযাত্রায় সকল পরিবহন সেক্টরে পর্যাপ্ত প্রস্তুতি জরুরি

5

এক এক করে রমজান শেষ হয়ে আসছে। শাওয়াল মাসের ১তারিখ ঈদুল ফিতর বা রমজানের ঈদ। দেশের ঘরে ঘরে ঈদ এখন থেকে কড়া নাড়তে শুরু করেছে। দেশের বিভন্ন এলাকায় বহুনাগরিক কর্ম ও অন্যান্য সূত্রে অবস্থান করে। নাড়ির টানে সর্বস্তরের নাগরিক জন্মস্থানে ঈদ উৎসব পালন করতে বাড়ি ফেরে। স্বামর্থ অনুসারে ঈদের প্রস্তুতি নিয়ে হয় ঘরমুখি। এমতাবস্থায় যানবাহনে ঘরমুখি মানুষ নানা বিড়ম্বনার শিকার হতে দেখা যায়। পরিবহন সেক্টরের উচিত উক্তবিষয়ে পর্যাপ্ত প্রস্তুতি গ্রহণ। সড়ক পথে, নৌপথে, রেলপথে যানবাহন ব্যবসার সাথে জড়িত কর্তৃপক্ষসমূহের সার্বিক দায়বদ্ধতা, আন্তরিকতা এক্ষেত্রে খুবই জরুরি। পত্রিকান্তরে আমরা সড়ক পরিবহন সংস্থা বিআরটিসি, আভ্যান্তরিন নৌপরিবহন সংস্থার প্রস্তুতি সম্পর্কে কোন পরিচ্ছন্ন প্রস্তুতি জানতে পারিনি। যা যাত্রীসাধারণের জানানো সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কর্তব্য। এবিষয়ে রেল কর্তৃপক্ষকে সাধুবাদ জানাই। দৈনিক পূর্বদেশ পত্রিকার প্রতিবেদন হতে জানাযায় ঈদযাত্রায় প্রস্তুত পূর্বাঞ্চল রেলের ১৩২টি ইঞ্জিন এবার ৫০টি অতিরিক্ত কোচ সংযোজন করা হবে। আসন্ন ঈদ উল ফিতরে যাত্রী পরিবহনে পূর্বাঞ্চল রেলে ১৩২টি লোকোমোটিভ বা ইঞ্জিন প্রস্তুত থাকবে। মোহনগঞ্জ এক্সপ্রেস ট্রেন ছাড়া বাকিসব ট্রেনেই অতিরিক্ত কোচ সংযোজন করা হবে। এবার পূর্বাঞ্চলে ৫০টি অতিরিক্ত কোচ সংযোজন করা হবে। ইতোমধ্যে ঈদে ট্রেন পরিচালনা ও টিকিট বিক্রয়কালে মনিটরিং ও কন্ট্রোল সেল গঠনসহ দুর্ঘটনা প্রতিরোধে সার্বক্ষণিক রিলিফ ট্রেন প্রস্তুত রাখা হবে। ট্রেন সিডিউল অক্ষুণ্ণ রাখতে পেট্রোলিংয়ের ব্যবস্থা রাখার নির্দেশনা দিয়েছে রেলওয়ে।
রেলওয়ে পূর্বাঞ্চলের চট্টগ্রাম বিভাগীয় ব্যবস্থাপক (ডিআরএম) মোহাম্মদ সাইফুল ইসলাম বলেন, ‘প্রতিবারের মতো এবারও নিরাপদ ট্রেন যাত্রায় আমাদের পূর্ণ প্রস্তুতি রয়েছে। যাত্রীরা যাতে সঠিক সময়ে বাড়ি যেতে পারে সেজন্য বেশকিছু পরিকল্পনা গ্রহণ করা হয়েছে। যাত্রীদের চাহিদা মোতাবেক ট্রেনে কোচ সংযোজন করা হবে। এবার মেরামত করা ৯৫টি কোচে যাত্রী পরিবহন করা হবে।’
রেলওয়ে সূত্র জানায়, এবার ঈদযাত্রায় ১০ জোড়া বিশেষ ট্রেন চলাচল করবে। আগামী ৫ এপ্রিল থেকে ঈদের পর পাঁচদিন এসব ট্রেন চলবে। ইতোমধ্যে গত ২৪মার্চ থেকে অগ্রিম টিকিট বিক্রি শুরু হয়েছে। আজ শেষদিনের (৯ এপ্রিল) টিকিট বিক্রি করা হবে। তবে ঈদের চাঁদ দেখার উপর পরবর্তী দিনের টিকিট বিক্রয় হবে। একইভাবে আগামী ৩ এপ্রিল থেকে ঈদের ফেরত যাত্রার টিকিট বিক্রিয় করা হবে। আগামী ৯ এপ্রিল পর্যন্ত ফেরত যাত্রার টিকিট বিক্রি হবে। সকল আন্তঃনগর ট্রেনের সাপ্তাহিক বন্ধের দিন প্রত্যাহার করা হয়েছে। ঈদযাত্রা ট্রেন চলাচলে যাতে কোন বিঘ্ন সৃষ্টি না হয় সেজন্য বিভিন্ন ট্রেনের রেক ব্যালেন্স করা হয়েছে।

ট্রেন শিডিউল রক্ষায় পরিকল্পনা : যথাসময়ে ট্রেন ছাড়া ও গন্তব্যে পৌঁছতে বেশ কিছু পরিকল্পনা গ্রহণ করা হয়েছে। নিরাপদ ও সুষ্ঠুভাবে ট্রেন পরিচালনা নিশ্চিত করে যাত্রী সেবা প্রদানে শিডিউল রক্ষায় গুরুত্ব দেয়া হয়েছে। এজন্য ডিভিশনাল ও জোনাল কন্ট্রোলে পৃথক পৃথক মনিটরিং সেল গঠন করে কর্মকর্তাদের ইমার্জেন্সি ডিউটি প্রদান করার নির্দেশনা দেয়া হয়েছে। ট্রেন শিডিউল রক্ষায় বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ ও জংশন স্টেশন এবং সিগনাল কেবিনে কর্মকর্তা ও পরিদর্শকগণের তদারকির মাধ্যমে ট্রেন অপারেশন পরিচালনা করতে হবে। দুর্ঘটনা প্রতিরোধে ও ট্রেন শিডিউল রক্ষায় রেলপথে পেট্রোলিং এর ব্যবস্থা রাখতে বলা হয়েছে। রেল ব্রিজসমূহের নিরাপত্তা, সিগন্যালিং ব্যবস্থা, কোচ এবং ইঞ্জিনের নিবিড় পরিচর্যা ও পরীক্ষা সম্পন্ন করার কথা বলা হয়েছে। বাংলাদেশ রেল কর্তৃপক্ষের মতো আভ্যান্তরিণ নৌ পরিবহন সংস্থা এবং সড়ক যোগাযোগ ও সড়ক পরিবহন সংস্থারও ঈদযাত্রায় বিশেষ ব্যবস্থা গ্রহণ সর্বস্তরের যাত্রীসাধারণের একান্ত দাবী।