পূর্বদেশ ডেস্ক
ঈদযাত্রায় সড়ক ও নৌপরিবহনের ভাড়া নৈরাজ্য এবং চাঁদাবাজি বন্ধে কঠোর পদক্ষেপ নিতে সরকারের কাছে দাবি জানিয়েছে রোড সেফটি ফাউন্ডেশন। সোমবার ফাউন্ডেশনের এক বিবৃতিতে এসব দাবি জানানো হয়। রোড সেফটি ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. এ আই মাহবুব উদ্দিন আহমেদসহ অন্যরা এক যুক্ত বিবৃতিতে সোমবার বলেন, এ বছর ঈদুল ফিতর উদযাপনে ৮০ থেকে ৯০ লাখ মানুষ ঢাকা থেকে বিভিন্ন জেলায় যাত্রা করবেন। যা আগের যে কোনো সময়ের চেয়ে বেশি হবে। মাত্র ৫ দিনে এত বিপুল সংখ্যক যাত্রী সুষ্ঠুভাবে পরিবহন করার মতো যানবাহন আমাদের নেই। ফলে অন্যান্য বারের চেয়ে এবার যানবাহনের সংকট ও নৈরাজ্য বৃদ্ধির আশঙ্কা রয়েছে। এ ছাড়া ঢাকা থেকে উত্তরবঙ্গগামী মহাসড়কের বিভিন্ন স্থানে অতি ধীরগতিতে সংস্কার ও সড়ক প্রশস্তকরণ কাজের কারণে তীব্র যানজট সৃষ্টির আশঙ্কা তৈরি হয়েছে। দেশের অন্যান্য সড়ক-মহাসড়কের বহু স্থানেও বেহাল দশা রয়েছে। ফলে ঈদযাত্রায় মানুষ চরম ভোগান্তিতে পড়বে উল্লেখ করে রোড সেফটি ফাউন্ডেশন বলছে, এই নাজুক অবস্থায় সড়কে ও নৌ-পথের ঘাটে-ঘাটে চাঁদাবাজির কারণে ভাড়া নৈরাজ্য সৃষ্টি হবে, যা ঈদযাত্রাকে অসহনীয় করে তুলবে। ইতোমধ্যে ঈদযাত্রাকে কেন্দ্র করে সড়ক ও নৌপথে চাঁদাবাজ সিন্ডিকেট সক্রিয় হয়ে উঠেছে দাবি করে বিবৃতিতে বলা হয়, অতীত অভিজ্ঞতায় দেখা যায়, শুধু ঈদ মৌসুমেই কয়েক হাজার কোটি টাকার রাজনৈতিক চাঁদাবাজি হয়। দুর্ভাগ্যজনক যে, এসব চাঁদাবাজির সঙ্গে অনেক পুলিশ সদস্যের সম্পৃক্ততা থাকে। ঈদযাত্রার শুরুতেই চাঁদাবাজি বন্ধ করে যানবাহনে শৃঙ্খলা প্রতিষ্ঠার দাবি জানিয়ে রোড সেফটি ফাউন্ডেশন বলছে, বিষয়টি সার্বক্ষণিক নজরদারি করতে হবে। এই ব্যবস্থা ঈদের ফিরতি যাত্রা পর্যন্ত অব্যাহত রাখতে হবে। তা না হলে এবার পরিস্থিতি ভয়াবহ রকমের অবনতির আশঙ্কা রয়েছে।