ঈদগাঁও পল্লী বিদ্যুতের লোডশেডিং

96

গরম শুরু হতেই বিদ্যুতের ভেলকিবাজি আর ঘণ্টার পর ঘণ্টা লোডশেডিংয়ে কাহিল অবস্থার সৃষ্টি হয়েছে। প্রচন্ড গরমের সাথে সাথে কক্সবাজার সদরের ঈদগাও জুড়ে চলছে বিদ্যুতের ঘন ঘন লোডশেডিং, বিপর্যস্থ হয়ে পড়েছে জনজীবন। এতে মানুষের স্বাভাবিক জীবনযাত্রা ব্যাহত হওয়ার পাশাপাশি ব্যবসা-বাণিজ্য ধস নেমেছে। শিক্ষার্থীদের লেখাপড়া ব্যাহত হওয়া ছাড়াও অফিস আদালতে কাজকর্ম স্থবির হয়ে পড়েছে। হাসপাতালে গুরুতর অসুস্থ রোগীদের জীবন বিপন্ন হয়ে পড়ছে। শিশু-বৃদ্ধরা আক্রান্ত হচ্ছে নানা জটিল অসুখে। গত একমাসে দৈনিক গড়ে ৭ ঘণ্টাও বিদ্যুৎ পাচ্ছে না বলে দাবি এলাকাবাসীর। ঈদগাওতে প্রায় অর্ধ লক্ষ গ্রাহক বিদ্যুতের এসব অভিযোগ কর্তৃপক্ষকে জানিয়েও লাভ হচ্ছে না। মাত্রাতিরিক্ত লোডশেডিং এর সাথে যদি কালবৈশাখীর একটু বাতাস হয় তবে বিদ্যুৎ অফিসের আর কোন দেখা মিলে না। এ অজুহাতে ঘণ্টার পর ঘণ্টা, দিনের পর দিন, রাতের পর রাত বিদ্যুৎ আর আসে না। সন্ধ্যার পর থেকে শুরু হয় যেন বিদ্যুতের ভেল্কিবাজি। এক এলাকায় বিদ্যুৎ সরবরাহ আসতে না আসতেই বন্ধ হয়ে যায় অন্য এলাকার সরবরাহ। এত ঘন ঘন বিদ্যুৎ আসা-যাওয়ার কারণে লাইট, টিভি, ফ্রিজ ও বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ ইলেকট্রিক জিনিস নষ্ট হয়ে দুর্ভোগ বেড়েছে গ্রাহকদের। একাধিক গ্রাহক অভিযোগ করেন, ঈদগাঁও সাব-জোনাল অফিসে মিটার সংযোগে অতিরিক্ত টাকা আদায়, মনগড়া বিদ্যুৎ বিল তৈরী, অভিযোগকৃত সার্ভিস বিলম্ব ও কর্মকর্তাদের অসৌজন্য মূলক আচরন এবং অতিরিক্ত লোডশেডিং হওয়ায় চরম বেকায়দায় পড়তে হচ্ছে। এ বিষয়ে ঈদগাঁও সাব জোনাল অফিসের এজিএম শহিদুল হক জানান, ঈদগাঁওতে প্রায় সময় বিদ্যুৎ থাকে তবে বিভিন্ন সমস্যার কারণে মাঝেমধ্যে লোডশেডিং হয়। যার কারণ ঈদগাঁওতে বর্তমান ১১টি ইউনিয়নে সব কিছু মিলিয়ে গ্রাহকসংখ্যা প্রায় অর্ধ লক্ষ। তন্মধ্যে ১০ মেগাওয়াট এর একটি সাব স্টেশন রয়েছে। যেটা এ বৃহত্তর এরিয়ায় নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ দেয়া সম্ভব নয়। তবে আরো ১০ মেগাওয়াটের কাজ চলছে যেটা শেষ হলে বিদ্যুৎ সমস্যা থাকবে না।