ঈদগাঁও উপকূলের বেড়িবাঁধ চরম ঝুঁকিতে

39

কক্সবাজার সদরের ঈদগাঁহ’র উপকূলীয় ইউনিয়ন চৌফলদন্ডী, পোকখালীতে ৮/৯ টি পয়েন্টে বেড়িবাঁধ মারাত্মক ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে উঠেছে। যে কোন মুহূর্তে বির্স্তীর্ণ এলাকা প্লাবিত হওয়ার আশংকায় উপকূলবর্তী হাজার হাজার মানুষ আতংকিত হয়ে পড়ছে। চিন্তিত হয়ে পড়েছে চিংড়ি ঘের মালিক ও মৎস্যজীবীরা। প্রাপ্ত তথ্যে জানা গেছে, গত ৪/৫ দিন ভারী বর্ষণ ও জোয়ারের পানি বৃদ্ধি পেয়ে চৌফলদন্ডীর নতুন মহাল, কালু ফকির পাড়া, ডেইল পাড়া, উত্তর পাড়া, খামার পাড়া, হায়দার পাড়া, পোকখালীর মালমুরা পাড়া, পশ্চিম পোকখালী, সিকদার পাড়া, গোমাতলী চর পাড়া, রাজঘাট, গাইট্রাখালীসহ ইউনিয়নের বিভিন্ন স্থানে জোয়ারের পানি ভেতরে প্রবেশ করছে। ফলে বিভিন্ন এলাকা প্লাবিত হওয়ার আশংকায় উদ্বেগ উৎকন্ঠায় দিন কাটাচ্ছে সর্বস্তরের মানুষ। অপরদিকে ভারুয়াখালীতে কয়েকটি পয়েন্ট ঝুঁকিপূর্ণ বলে জানিয়েছে পরিষদের মেম্বার ফজলুল হক। ২/৩ বছর ধরে স্থানগুলো পরিদর্শন কালে একাধিক জনপ্রতিনিধি, সরকারি কর্মকর্তা, রাজনীতিবিদ প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন টেকসই মজবুত বেড়িবাঁধ নির্মাণ করে জনগণের জানমাল রক্ষা করা হবে। কিন্তু পাউবোর কর্মকর্তাদের অবহেলায় সে প্রতিশ্রুতি অদ্যাবধি বাস্তবায়ন হয়নি বলে এলাকাবাসীর অভিযোগ। যে কারণে ঝড়-বৃষ্টি আর জলোচ্ছ্বাস দেখা দিলে মুহূর্তের মধ্যে চৌফলদন্ডী, পোকখালী ও ভারুয়াখালী ইউনিয়নের জনসাধারণ আতঙ্কগ্রস্ত হয়ে পড়েন।
প্রতিবছর কোন না কোন স্থানে বেড়িবাঁধ ভাঙ্গনের ফলে পোকখালী চৌফলদন্ডী ইউনিয়নের জনসাধারণ ব্যাপক ক্ষয় ক্ষতির সম্মুখিন হচ্ছে। গণমাধ্যমে বার বার সচিত্র প্রতিবেদন প্রকাশিত হলেও টনক নড়ছে না সংশ্লিষ্টদের। ইউনিয়নসমূহের বাসিন্দাদের প্রশ্ন টেকসই মজবুত বাঁধ নির্মাণ করতে হলে কোথায় গেলে তার বাস্তবায়ন হবে। তারা বলছেন বেড়িবাঁধ ভাঙ্গনের ফলে আমরা উন্নয়ন থেকে পিছিয়ে পড়েছি। তারা অচিরেই পানি উন্নয়ন বোর্ডের কর্মকর্তাদের সাথে এসব বিষয়ে কথা বলবেন বলে জানান।
এ ব্যাপারে চৌফলদন্ডী ইউপি চেয়ারম্যান ওয়াজ করিম বাবুল জানান, গত কয়েক দিনের ভারি বর্ষণে ফলে বর্তমানে ইউনিয়নে ৩/৪ পয়েন্টে বেড়িবাঁধ মারাত্মক ঝুঁকিপূর্ণ। ইতিপূর্বে কয়েকটি ঝুঁকিপূর্ণ স্থান পাউবোর মাধ্যমে সংস্কার করা হয়েছে। মাটি নরম হওয়ায় সে স্থানগুলোর একটু ঝুঁকি রয়েছে। তবে এ পর্যন্ত কোন গ্রাম প্লাবিত হয়নি। ঝুঁকিপূর্ণ বেড়িবাঁধগুলোর ব্যাপারে পানি উন্নয়ন বোর্ড বরাবর আবেদন করা হবে বলে জানান চেয়ারম্যান বাবুল।
অপরদিকে পোকখালী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান রফিক আহমদের সাথে যোগাযোগের চেষ্টা করা হয়। সংযোগ না পাওয়ায় বক্তব্য নেওয়া সম্ভব হয়নি। তবে স্থানীয়রা জানিয়েছেন এ ইউনিয়নে ৫/৬ টি ঝুঁকিপূর্ণ পয়েন্ট রয়েছে।