ঈদগাঁওয়ে কিছুতেই রোধ করা যাচ্ছেনা গরু চুরি

26

ঈদগাঁও প্রতিনিধি

কক্সবাজারের ঈদগাঁও উপজেলায় কোনোভাবেই থামছে না গরু চুরির ঘটনা। সংঘবদ্ধ অস্ত্রধারী গরু চোরের দলের কাছে জিম্মি হয়ে পড়েছেন উপজেলার ৫ ইউনিয়নের দেড় লক্ষধিক মানুষের ২০ হাজারেরও অধিক গরুর মালিক-ব্যবসায়ী ও খামারীরা। ফলে চরম উদ্বেগ-উৎকণ্ঠায় দিনাতিপাত করছেন এখানকার গরুর মালিকেরা।
প্রতিদিন গভীর রাতে কোনো না কোনো ইউনিয়নে অস্ত্রধারী সংঘবদ্ধ গরু চোরের দল হানা দিয়ে নিয়ে যাচ্ছে লাখ লাখ টাকার গরু। চোর সিন্ডিকেটের সদস্যদের চিহ্নিত করতে না পারায় ভুক্তভোগীরা আইনী সুযোগ সুবিধাও পাচ্ছে না। স্থানীয় চোরদের বিরুদ্ধে মামলা হলেও আন্তঃচোর সিন্ডিকেটের সদস্যদের বিরুদ্ধে কোনো মামলাও থানায় দায়ের হয়নি দেড় বছরে। রাতের বেলায় পুলিশি টহল থাকলেও চোর চক্রের সদস্যরা একাধিক সড়ক, উপ-সড়ক ব্যবহার করায় আটক করতে হিমশিম খেতে হচ্ছে পুলিশকে।
এসব গরু লুটে ব্যবহার করা হচ্ছে ডাম্পার, হাইয়েস, ছাঁরপোকা, মিনি ডাম্পার যাকে স্থানীয় ভাষায় গরু চুরির গাড়ি বলা হয়।
ট্রাফিক বিভাগ সূত্রে জানা যায়, ঐ সব পরিবহনের কোনো লাইসেন্স নেই। স্থানীয় প্রভাবশালী নেতা, জনপ্রতিনিধি, প্রশাসনের সাথে যোগসাজশ করে অবৈধ যানবাহনগুলো চলাচল করে থাকে।
এদিকে দফায় দফায় গরু লুট বা চুরি হওয়ায় রাতের বেলায় পুলিশি টহল আরো জোরদার করাসহ সড়ক, উপ-সড়কগুলোতে বাঁশকল স্থাপনের দাবি জানিয়েছেন স্থানীয়রা।
স¤প্রতি ঈদগাঁও ইউনিয়নের কালির ছড়া ও মেহের ঘোনা এলাকা থেকে কয়েকটি গরু লুট হয়। একইভাবে গতকাল শনিবার ভোরেও উপজেলার পোকখালী ইউনিয়নের পশ্চিম ইছাখালী এলাকায় ছৈয়দ নুর মেম্বারের খামার সংলগ্ন হনছু ঘোনা নামক এলাকার শেখ আহমেদের গোয়াল ঘরে হানা দিয়ে বাছুরসহ একটি উন্নত মানের গাভী নিয়ে হাইয়েস মাইক্রোবাসযোগে পালিয়ে যায় চোরের দল।
গৃহস্থী শেখ আহমেদের স্বজনদের চিৎকারে প্রতিবেশীরা এগিয়ে আসলে ওই চোরের দল অস্ত্র উঁচিয়ে দ্রুত ঘটনাস্থল ত্যাগ করে বলে জানান প্রত্যক্ষদর্শীরা৷
তাৎক্ষণিক বিষয়টি থানা পুলিশকে জানানো হলে পুলিশের একটি দল ইসলামপুর সড়ক দিয়ে আসার পরপরই অন্য সড়ক দিয়ে পালিয়ে যায় চোরের দলটি। চোরের উপদ্রব না কমায় ভাবিয়ে তুলেছে স্থানীয়দের।
ঈদগাঁও থানার অফিসার ইনচার্জ মো. আবদুল হালিম জানিয়েছেন, পোকখালীর বিষয়টি খবর পাওয়ার সাথে সাথে পুলিশ পাঠানো হয়েছে। তাছাড়া বিভিন্ন স্থানে খোঁজ-খবরও নেওয়া হয়েছে। তিনিও আরো বলেন, জনপ্রতিনিধিদের সহযোগিতা পেলে বাঁশকল স্থাপনের জন্য থানা পুলিশ সবসময় বদ্ধপরিকর।
গ্রাম পুলিশ, জনপ্রতিনিধিরা সহযোগিতা করবে বলে আশ্বাস দিলেও পরে আর সহযোগিতা করে না। তিনি গরু লুট ঠেকাতে পুলিশের পাশাপাশি সকলের সহযোগিতা কামনা করেন।