ঈদগাঁওতে যানজটে নাকাল সাধারণ মানুষ

96

কক্সবাজার সদর উপজেলার ঈদগাঁও বাজারের জানযট চরম আকার ধারন করেছে। যত্রতত্র স্থান জুড়েই যানবাহন দাঁড় করানোর ফলে যানজটে নাকাল হয়ে উঠেছে সাধারন মানুষ। গত সোমবার বাজার ঘুরে এমন চিত্র দেখা গেছে। দেখা যায়, বাজারের দক্ষিন পাশ্বর্স্থ ভূমি অফিস, হাসপাতাল সড়ক, শাপলা চত্তর, হাইস্কুল গেইট, পুরাতন পুলিশ বিটসহ যেখানে সেখানে টমটম, সিএনজি, অটোরিকসা যত্রতত্র স্থান থেকে যাত্রী তোলার কারনে ভয়াবহ যানজট সৃষ্টি হচ্ছে। বাণিজ্যিক কেন্দ্র ঈদগাঁও বাজারে ইসলামপুর, ইসলামাবাদ, জালালাবাদ, পোক খালী, চৌফলদন্ডী, ভারুয়াখালী ও ঈদগাঁওর প্রত্যান্ত গ্রামাঞ্চলের লোকজন ছাড়াও পার্শ্ববতী রামুর রশিদনগর ঈদগড়ও চকরিয়ার খুটাখালী ইউনিয়নের লোকজনও প্রায় সময় সওদাপাতি করতে বাজারে আসে। হাটবার ছাড়া এ বাজারে দৈনিক লক্ষাধিক মানুষ সার্বক্ষনিক থাকে। এসব মানুষকে প্রতিনিয়ত যানজটের কবলে পড়তে হচ্ছে। পাশাপাশি যানজট থেকে রেহাই পাচ্ছেনা বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরাও। সে সাথে রোগীরাও কোথাও কোথাও আটকা পড়ে যথা সময়ে চিকিৎসকের কাছে চিকিৎসা নিতে পারছেনা।
এছাড়া বড় বড় মালবাহি ট্রাক বাজারে প্রবেশ করায় ছোটখাট পরিবহন গুলো চলাচল করতে নানাভাবে হিমশিম খাচ্ছে। যার কারনে চরম ভোগান্তিতে পড়েছে বাজার সংশ্লিষ্টরা। এ বাজারে নেই কোন নিয়মনীতি। দীর্ঘকাল ধরে বাজারটি অভিভাবকহীন অবস্থায় পড়ে রয়েছে। তৎমধ্যে পাকিং, ভাড়া তালিকা, মালবাহী ট্রাক গুলোর বিষয়ে সিদ্বান্ত নিতে পারছেনা বাজার কতৃপক্ষ। বাজারের ব্যবসায়ীরা জানান, ঈদগাঁও বাজার ও বাস স্টেশন হচ্ছে জনগুরুত্বপূর্ণ এলাকা। মহাসড়কের পাশেই বাসষ্টেশনের অবস্থান। অন্যদিকে ব্যবসায়ীর প্রাণকেন্দ্র ঈদগাঁও বাজার। এ দু’স্থানে দীর্ঘ বছরেও হয়নি যানবাহনের পাকিং। যার কারণে যানবাহন গুলোর যেনতেন অবস্থা। অন্যদিকে বাজারে নিদিষ্ট মাছ ও তরিতরকারী বাজার থাকা সত্তেও ষ্টেশন থেকে হাইস্কুল গেইট পর্যন্ত সড়কের দু’পাশ জুড়েই যত্রতত্র স্থানে মৌসুমী তরকারী বাজার আর ভাসমান ব্যবসায়ীদের দখলে চলে গেছে। এমনকি ডিসি সড়কের পাশ্ববর্তী স্থানে তরকারী বাজার বসানোর কারনে সড়ক সংকীর্ণ হয়ে পড়েছে। যানবাহন চলাচল করতে হিমশিম খাচ্ছে চালকরা। প্রায় সময় ভয়াবহ যানজটে লেগে থাকে সড়কটি। বাজার সভাপতি সিরাজুল হক জানান, নির্দিষ্ট জায়গার অভাবে পাকিং ব্যবস্থা হচ্ছেনা। ব্যবসায়ীদের সাথে মতামতের ভিত্তিতে পাকিংয়ের বিষয়ে সিদ্বান্ত নেয়া হবে।