ঈদগাঁওতে গাছে বেঁধে শিশুকে পিটিয়ে হত্যা গ্রেপ্তার ১

8

ঈদগাঁও প্রতিনিধি

কক্সবাজারের ঈদগাঁও উপজেলার পোকখালীর পূর্ব ইছাখালী এলাকায় মো. সাজ্জাদ (১৩) নামে এক শিশুকে সুপারি গাছের সাথে বেঁধে পিটিয়ে হত্যা করা হয়েছে। এ ঘটনায় জড়িত মো. আলম নামে এক ব্যক্তিকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
গত রবিবার দিবাগত রাত সাড়ে ১২ টার সময় ঈদগাঁও থানার ওসি মো. আবদুল হালিমের নেতৃত্বে পুলিশ অভিযান চালিয়ে তাকে গ্রেপ্তার করে।
এর আগে শনিবার বিকাল ৫টার দিকে শিশু সাজ্জাদকে সুপারি গাছের সাথে রশি দিয়ে বেঁধে জনসম্মুখে পিটিয়ে গুরুতর আহত করে স্থানীয় কয়েকজন। পরদিন সন্ধ্যা ৬ টায় তাকে ঈদগাঁও মেডিকেলে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
নিহত সাজ্জাদ ঈদগাঁও উপজেলার ইসলামাবাদ ইউনিয়নের ৪নং ওয়ার্ডের উত্তর সাত ঝুলাকাটা গ্রামের নুরুল হুদার ছেলে।
নিহতের পরিবার সূত্রে জানা গেছে, গত ২৪ সেপ্টেম্বর বিকাল সাড়ে ৩ টার সময় সাজ্জাদকে (১৩) একদল দুর্বৃত্ত স্থানীয় ইশফাতের গ্রাম্য চা দোকানের লোকজনের সামনে টানা-হেঁচড়া করে পাশ্ববর্তী পোকখালী ইউনিয়নের পূর্ব ইছাখালী গ্রামে নিয়ে যায়। সেখানে সুপারি গাছের সাথে রশি দিয়া বেঁধে রাখে। বিকাল সাড়ে ৫ টার সময় মো. আলমের (৩০) নেতৃত্বে দুর্বৃত্তরা শিশু সাজ্জাদকে সুপারি গাছের সাথে বাঁধা অবস্থায় বেধড়ক পিটায়। এতে গুরুতর আহত সাজ্জাদ মারা গেছে ভেবে তাকে ফেলে পালিয়ে যায় দুর্বৃত্তরা।
নিহতের পিতা নুরুল হুদা বলেন, ঘটনার খবর পেয়ে স্থানীয় লোকজনের সহায়তায় আমার ছেলে সাজ্জাদকে অজ্ঞান অবস্থায় উদ্ধার করে বাড়িতে এনে স্থানীয়ভাবে চিকিৎসা করি। পরবর্তীতে আমার ছেলের অবস্থা খারাপ হওয়ায় সন্ধ্যা ৬ টার সময় তাকে ঈদগাঁও মেডিকেল নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
ঈদগাঁও থানা পুলিশ লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য কক্সবাজার জেলা সদর হাসপাতাল মর্গে প্রেরণ করেন। এ ঘটনায় নিহত সাজ্জাদের বাবা বাদী হয়ে ৪ জনের বিরুদ্ধে ঈদগাঁও থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেন।
মামলার আসামিরা হলেন, মৃত ছাবের আহমদের ছেলে আব্দুস সালাম (৫৫), আব্দুস সালামের স্ত্রী মিনুয়ারা বেগম (৪০), ছেলে মো. আলম (৩০) ও নুরুল আজিম (১৫)।
ঈদগাঁও থানার অফিসার ইনচার্জ ওসি মো. আবদুল হালিম বলেন, এই ঘটনা জানার পর আমিসহ এসআই কাজী গোলাম মহিউদ্দিন, এসআই মো. মিরাজ হোসেন, মো. গিয়াস উদ্দিন সঙ্গীয় ফোর্স সহ রবিবার দিবাগত রাত সাড়ে ১২টায় ঈদগাঁও থানা এলাকার পূর্ব ইছাখালী এলাকায় অভিযান চালিয়ে মো. আলমকে গ্রেপ্তার করি। এ ঘটনায় জড়িত অন্য আসামিদেরও গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।