ইয়েমেনে বিদ্রোহী পরিচালিত বন্দিশালায় সৌদি জোটের হামলা, নিহত ৬০

29

ইয়েমেনের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলীয় প্রদেশ ধামারে বিদ্রোহী নিয়ন্ত্রিত এক আটক কেন্দ্রে সৌদি জোটের বিমান হামলায় ৬০ জন নিহত হয়েছে। শনিবার (৩১ আগস্ট) রাতে চালানো ওই হামলায় আহত হয়েছে আরও অন্তত ১০০ জন। বিদ্রোহীদের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়কে উদ্ধৃত করে মার্কিন বার্তা সংস্থা এপি এসব তথ্য জানিয়েছে।২০১৫ সালে ইয়েমেনের প্রেসিডেন্ট মনসুর হাদিকে উচ্ছেদ করে রাজধানী সানা দখলে নেয় ইরান সমর্থিত শিয়াপন্থী হুথি বিদ্রোহীরা। সৌদি আরবের রাজধানী রিয়াদে পালিয়ে যান হাদি।
২০১৫ সালের মার্চে হুথি বিদ্রোহীদের বিরুদ্ধে মিত্রদের নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের সহায়তায় ‘অপারেশন ডিসাইসিভ স্টর্ম’ নামে সামরিক অভিযান শুরু করে সৌদি আরব। সৌদি জোটের অভিযান শুরুর পর এ পর্যন্ত নারী-শিশুসহ ১০ হাজারের বেশি মানুষ নিহত হয়েছে।
ইয়েমেনি কর্মকর্তারা বলছেন, শনিবার রাতে ধামার শহরে একটি কলেজকে লক্ষ্য করে বিমান হামলা চালানো হয়েছে। হুথি বিদ্রোহীরা ওই কলেজটিকে আটক কেন্দ্র হিসেবে ব্যবহার করতো। কারাবন্দি বিষয়ক ইয়েমেনের জাতীয় কমিটির প্রধান কাদের আল-মোরদাতা জানিয়েছেন, কারাগারে ১৭০ জনের বেশি যুদ্ধবন্দি ছিলেন। এদের বেশিরভাগই স্থানীয় বন্দি বিনিময় প্রক্রিয়ার মধ্যে ছিলেন। হুথি পরিচালিত স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র ইউসেফ আল হাদরি দাবি করেছেন, শনিবার রাতে সেখানকার তিনটি ভবনে অন্তত সাতবার বিমান হামলা হয়েছে।
তবে সৌদি জোট তা অস্বীকার করেছে। তাদের দাবি, তারা একটি সামরিক স্থাপনায় হামলা করেছে। সৌদি নেতৃত্বাধীন জোট এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, ইয়েমেনের হুথি আনসারুল্লাহ বাহিনীর সদস্যদের টার্গেট করেই ধামারে হামলা চালানো হয়েছে। জোট আরো দাবি করেছে, হুথি যোদ্ধারা হামলার স্থলে ড্রোন এবং বিমান প্রতিরক্ষা সরঞ্জাম মজুদ করে রেখেছিল এবং আন্তর্জাতিক মানবাধিকার আইন মেনেই এ হামলা চালানো হয়েছে।