ইয়েমেনে জোট বাহিনীর ঘাঁটিতে হুতি হামলায় নিহত অন্তত ৩০

4

 

ইয়েমেনে সৌদি আরবের নেতৃত্বাধীন জোট বাহিনীর একটি ঘাঁটিতে হুতি বিদ্রোহীদের হামলায় অন্তত ৩০ সৈন্য নিহত ও ৬০ জন আহত হয়েছেন। রবিবার দক্ষিণাঞ্চলীয় লাজ প্রদেশের আল-আনাদ সামরিক ঘাঁটিতে এ হামলা হয় বলে ইয়েমেনের দক্ষিণাঞ্চলীয় বাহিনীর মুখপাত্র ও মেডিকেল সূত্রগুলোর বরাত দিয়ে জানিয়েছে বার্তা সংস্থা রয়টার্স। হুতিরা সশস্ত্র ড্রোন ও ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবহার করে ঘাঁটিটিতে কয়েক দফা হামলা চালিয়েছে বলে জানিয়েছেন সরকারি বাহিনীর দক্ষিণাঞ্চলীয় মুখপাত্র মোহাম্মদ আল-নকীব।
নকীব জানান, হামলায় ৩০ থেকে ৪০ জন সৈন্য নিহত হয়েছেন এবং অন্তত ৬০ জন আহত হয়েছেন। উদ্ধারকারীরা ঘটনাস্থল পরিষ্কার করতে থাকায় আরও মৃতের সন্ধান পাওয়া যেতে পারে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন তিনি। ইয়েমেনের দক্ষিণাঞ্চলীয় এই বাহিনীগুলো সৌদি নেতৃত্বাধীন জোট বাহিনীর অংশ। হতাহতদের মধ্যে বেসামরিক কেউ আছেন কিনা তা পরিষ্কার হয়নি। দুই মেডিকেল সূত্র রয়টার্সকে জানিয়েছেন, লাহজ প্রদেশের প্রধান হাসপাতালে ১৬ জন আহতের সঙ্গে বেশ কয়েকটি মৃতদেহ নিয়ে আসা হয়েছে।
ইয়েমেনের দক্ষিণাঞ্চলীয় বন্দর শহর এডেন থেকে প্রায় ৭০ কিলোমিটার উত্তরে অবস্থিত আল-আনাদ শহরের বাসিন্দারাও একাধিক বিকট বিস্ফোরণের শব্দ শোনার কথা জানিয়েছেন। দেশটির মধ্যপশ্চিমাঞ্চলীয় তায়িজ শহরের বেশ কয়েকজন বাসিন্দা জানিয়েছেন, তারা শহরের পূর্বাংশে হুতি নিয়ন্ত্রিত এলাকাগুলোতে বসানো লঞ্চারগুলো থেকে ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র ছোড়ার শব্দ শুনেছেন। হামলা নিয়ে তাৎক্ষণিকভাবে হুতিদের কোনো ভাষ্য পাওয়া যায়নি।
২০১৪ সালে হুতি বিদ্রোহীরা রাজধানী সানা দখল করে সৌদি সমর্থিত আব্দ রাব্বু মনসুর হাদির সরকারকে ক্ষমতাচ্যুত করে। হাদি রিয়াদে পালিয়ে যাওয়ার পর তাকে ফের ইয়েমেনের ক্ষমতায় বসাতে সৌদি আরব ও সংযুক্ত আরব আমিরাত ২০১৫ সালের মার্চে ইয়েমেনের গৃহযুদ্ধে হস্তক্ষেপ করে। তারপর থেকে দুই পক্ষের লড়াই ও জোট বাহিনীর নির্বিচার বোমাবর্ষণে লাখো মানুষের মৃত্যু হলেও দেশটির গুরুত্বপূর্ণ প্রায় সব শহর ও এলাকা হুতিদের নিয়ন্ত্রণেই রয়ে গেছে। সৌদি জোটের অবরোধের মধ্যে থাকা দেশটিতে বিশ্বের সবচেয়ে ভয়াবহ মানবিক সঙ্কট দেখা দিয়েছে বলে জানিয়েছে জাতিসংঘ।