ইয়াবা সিন্ডিকেটের তথ্য পেয়েছে পুলিশ

29

বাঁশখালীতে নারী সংক্রান্ত ঘটনায় এক আসামি গ্রেপ্তারের পর ইয়াবা সা¤্রাজ্যের চাঞ্চল্যকর তথ্য পেয়েছে পুলিশ। গত শনিবার সন্ধ্যায় পৌরসদরের হলস্যা পাড়া এলাকা থেকে জাহাঙ্গীর আলম (২৯) নামে ওই আসামিকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। জাহাঙ্গীর সরল ইউনিয়নের পাইরাং এলাকার ফজল কাদেরের ছেলে। জাহাঙ্গীরকে গ্রেপ্তারের পর থেকে ইয়াবা গডফাদার ও ব্যবসায়ীদের মধ্যে গ্রেপ্তার আতঙ্ক বিরাজ করছে।
বাঁশখালী থানার পরিদর্শক মো. রেজাউল করিম মজুমদার পূর্বদেশকে বলেন, গ্রেপ্তারের পর কিছু তথ্য দিয়েছে ছেলেটা। আরো কিছু তথ্য বের করার চেষ্টা করছি। আবার যে তথ্যগুলো দিয়েছে এসবের সত্যতাও যাচাই-বাছাই করছি। তদন্তে কারো সম্পৃক্ততা পাওয়া গেলে বিন্দু পরিমাণ ছাড় দেয়া হবে না।’
পুলিশ ও স্থানীয়রা জানায়, গ্রেপ্তারকৃত জাহাঙ্গীর দীর্ঘদিন ধরে ইয়াবা ব্যবসার সাথে সম্পৃক্ত। সরল ও পৌরসভার বড় একটি ইয়াবা সিন্ডিকেটের সাথে তার সম্পৃক্ততার তথ্য পাওয়া গেছে। তাকে গ্রেপ্তারের পর তার কল রেকর্ড ও মোবাইলে অনুসন্ধান করতেই সবধরনের তথ্য বের হয়ে আসে। পরে সে এ ব্যবসার সাথে যুক্ত থাকার কথা পুলিশকে স্বীকার করেন এবং বেশ কয়েকজনের নামও প্রকাশ করেন। সরল ও পৌরসভার উঠতি যুবকদের ব্যবহার করে একজন জনপ্রতিনিধির নেতৃত্বে একটি চক্র ইয়াবা ব্যবসা পরিচালনা করে আসছে বলে স্থানীয়রা জানিয়েছেন। বাঁশখালীর বিভিন্ন এলাকায় এমন কয়েকটি সিন্ডিকেট নিয়মিত ইয়াবা ব্যবসা পরিচালনা করছে।
বাঁশখালী থানার পরিদর্শক (তদন্ত) কামাল উদ্দিন পূর্বদেশকে বলেন, ‘এক নারীর দায়ের করা মামলায় জাহাঙ্গীর নামে এক আসামিকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। গ্রেপ্তারের পর জেনেছি ছেলেটি ইয়াবা ব্যবসার সাথেও জড়িত। সে একটি সিন্ডিকেটের সাথে দীর্ঘদিন ধরে ইয়াবা ব্যবসা চালিয়ে আসছে। জিজ্ঞাসাবাদে কিছু তথ্য পেয়েছি। কারা তার সাথে এ ব্যবসা পরিচালনা করতো, তা তদন্তের স্বার্থে বলতে চাই না। তবে এটুকু বলে রাখতে পারি এ সিন্ডিকেটের লাগাম টানতে আমরা তৎপরতা শুরু করেছি। সময় হলেই সব বের হয়ে আসবে।’