ইয়াঙ্গুনে রানওয়ে থেকে ছিটকে তিন খন্ড বাংলাদেশি বিমান

79

মিয়ানমারের ইয়াঙ্গুনে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের একটি বিমান রানওয়ে থেকে ছিটকে পড়েছে। ইয়াঙ্গুন আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণের সময় বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের একটি ড্যাশ ৮-কিউ ৪০০ উড়োজাহাজ গতকাল বুধবার স্থানীয় সময় সন্ধ্যা ৬টা ২২ মিনিটে দুর্ঘটনার কবলে পড়ে।
সিনহুয়া জানায়, ছিটকে পড়ার পর বিমানটি তিন খন্ড হয়ে যায়।
দুর্ঘটনার পর ১৯ জনকে হাসপাতালে নেওয়া হয়েছে বলে মিয়ানমারে বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত মঞ্জুরুল করিম খান চৌধুরী জানিয়েছেন।
বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয়ের সচিব মহিবুল হক বলেন, ৩৩ জন আরোহী নিয়ে ঢাকা থেকে ইয়াঙ্গুন যাচ্ছিল বিমানের ফ্লাইট বিজি ০৬০।
স্থানীয় সময় সন্ধ্যা ৬টা ২২ মিনিটে বৈরি আবহাওয়ার মধ্যে অবতরণের সময় উড়োজাহাজটি রানওয়ে থেকে ছিটকে পড়ে। দুর্ঘটনার পর ইয়াঙ্গুন আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে উড়োজাহাজ ওঠানামা বন্ধ করে দেওয়া হয়।
আহতদের মধ্যে ওই বিমানের পাইলট শামীম নজরুল ও ফার্স্ট অফিসার কবিরুলও রয়েছেন বলে জানা গেছে। খবর বিডিনিউজের
বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের জেনারেল ম্যানেজার (পাবলিক রিলেশন্স) শাকিল মেরাজ জানান, ফ্লাইট বিজি ০৬০ ঢাকার শাহজালাল বিমানবন্দর থেকে রওনা হয়েছিল বিকাল ৩টা ৪৫ মিনিটে। বিমানে একটি শিশুসহ মোট ২৯ জন যাত্রী এবং দুই পাইলটসহ মোট চারজন ক্রু ছিলেন।
তাদের কারও জীবনশঙ্কা নেই। গত রাতে বিমানের একটি বিশ্ষে ফ্লাইট ইয়াঙ্গুনে যাওয়ার কথা আরোহী আর ক্রুদের ঢাকায় ফিরিয়ে আনতে। বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনসের এক বিজ্ঞপ্তিতে এ কথা জানানো হয়েছে।
মিয়ানমারে বিমানের ম্যানেজার মীর আক্তারুজ্জামান বলেন, উড়োজাহাজটি অবতরণের সময় আবহাওয়া ছিল খুবই খারাপ, ঘন ঘন বজ্রপাত হচ্ছিল। আরোহীদের মধ্যে সবাই কমবেশি ব্যথা পেয়েছেন।
রাষ্ট্রদূত মঞ্জুরুল করিম খান চৌধুরী বলেন, যাত্রীদের মধ্যে দশজনকে বিমানবন্দরে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে। বাকি ১৯ জনকে নেওয়া হয়েছে বিমানবন্দরের কাছে নর্থ ওকালাপা হাসপাতালে।
মিয়ানমারের বিভিন্ন সংবাদমাধ্যম ও সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যমে যেসব ছবি এসেছে তাতে কানাডার কোম্পানি বোম্বার্ডিয়ারের তৈরি ড্যাশ ৮ উড়োজাহাজটিকে রানওয়ের পাশে ঘাসের মধ্যে বিধ্বস্ত অবস্থায় পড়ে থাকতে দেখা যাচ্ছে।
এভিয়েশন সেইফটি নেটওয়ার্ক জানিয়েছে, উড়োজাহাজটির ফিউজিলাজ ভেঙে তিন টুকরো হয়ে গেছে, তলাও ফেটে গেছে। তবে দুর্ঘটনার পর ওই বিমানে আগুন ধরেনি।