ইসির অধীনেই নির্বাচন, আন্দোলনে জনসম্পৃক্ততা নেই

13

মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সাবেক সিটি মেয়র আ.জ.ম. নাছির উদ্দীন বলেন, সংগঠনকে গতিশীল করা ছাড়া কোন বিকল্প নেই। তৃণমূলের শক্তি সংগঠনের ঐক্যের ভিত্তি। এই ভিত্তি সুদৃঢ় হলে আগামী জাতীয় দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনে নৌকার বিজয় অবশ্যম্ভাবী।
তিনি বলেন, উন্নয়নের ধারাবাহিকতা রক্ষায় নৌকার বিজয় ছাড়াও আর কোন বিকল্প নেই। এই বিজয় নিশ্চিত করার জন্য এখন থেকে তৃণমূল স্তরের নেতা-কর্মীদের ঘরে ঘরে গিয়ে সরকারের উন্নয়ন ও জাতীয় অর্থনৈতিক অগ্রযাত্রার অর্জনগুলো পৌঁছে দিতে হবে।
তিনি আরো বলেন, বিগত ১৪ বছরে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন সরকারের ধারাবাহিকতা রক্ষায় আবারও দরকার আওয়ামী লীগ সরকার। তা না হলে দেশ আবার বর্তমান অবস্থান থেকে অনেক পিছিয়ে যাবে। এই সত্যটিকে প্রতিষ্ঠিত করতে হলে জনগণের আস্থা ও বিশ্বাস অর্জন করতে হবে। গতকাল রবিবার সকালে নগরীর একটি কনভেনশন সেন্টারে মহানগর আওয়ামী লীগের সম্পাদক মন্ডলীর সভায় সভাপতির বক্তব্যে তিনি একথা বলেন।
তিনি আরো বলেন, যারা অগণতান্ত্রিকভাবে অবৈধ পন্থায় সরকার উৎখাতের নামে যে অযৌক্তিক আন্দোলন করছেন, তার সাথে কোনভাবেই জনসম্পৃক্ততা নেই। তাদের বোঝা উচিত যে সাংবিধানিকভাবে একটি অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচনই সরকার পরিবর্তনে একমাত্র উপায়। আমরা জনগণকে জানাতে চাই নির্বাচন সাংবিধানিকভাবে গঠিত নির্বাচন কমিশনের (ইসি) অধীনেই অনুষ্ঠিত হবে। এই নির্বাচনে যারা অংশগ্রহণ করুক বা না-ই করুক এটাই সত্য যে, জনগণের ভোটাধিকার প্রয়োগে সরকার পরিবর্তন হয়। এই পথেই নির্বাচনের মধ্যদিয়ে যারা ক্ষমতাসীন হবেন, তারাই সাংবিধানিক বৈধতা পাবে। কিন্তু সরকার উৎখাতের জন্য আন্দোলনের নামে নাশকতা করে তারা দেশকে অস্থিতিশীল করতে চায়। তাদের একমাত্র উদ্দেশ্য হলো জনগণকে জিম্মি করে জাতীয় অস্তিত্ব, স্বাধীনতা, গণতন্ত্রকে নসাৎ করা। তাই কারো যদি উদ্দেশ্য থাকে যে, পেছন দরজা দিয়ে ক্ষমতা দখল করে এদেশকে একাত্তরের পূর্ববর্তী অবস্থায় ফিরিয়ে নিতে তারা কখনো সফল হবে না এবং আওয়ামী লীগ রাজপথে জনগণকে সাথে নিয়ে তাদের যেকোন মূল্যে প্রতিহত করবে।
সভায় জনগণের জানমালের নিরাপত্তা রক্ষায় বিএনপি-জামাতের ধ্বংসাত্মক কর্মসূচিকালে নগরীর দারুল ফজল মার্কেটস্থ কার্যালয় চত্বর, অলংকার চত্বর, অক্সিজেন মোড়, বহদ্দারহাট মোড়, ইপিজেড মোড়- এই পাঁচটি স্থানে আজ ১৬ জানুয়ারি বেলা ২টা থেকে সন্ধ্যা অবধি অবস্থান কর্মসূচি পালনের সিদ্ধান্ত হয়।
এছাড়া আগামী ফেব্রুয়ারি মাসে মহানগর আওয়ামী লীগের সম্মেলন অনুষ্ঠিত হবে। ১৮ জানুয়ারি সভাপতি মন্ডলীর সভা, ২১ জানুয়ারি কার্যনির্বাহী কমিটির সভা এবং ২৩ জানুয়ারি বর্ধিত অনুষ্ঠিত হবে।
সম্পাদক মন্ডলীর সভায় উপস্থিত ছিলেন আলহাজ বদিউল আলম, আলহাজ আবদুচ ছালাম, নোমান আল মাহমুদ, শফিক আদনান, আলহাজ শফিকুল ইসলাম ফারুক, হাসান মাহমুদ শমসের, এড. শেখ ইফতেখার সাইমুল চৌধুরী, চন্দন ধর, মশিউর রহমান চৌধুরী, আহমেদুর রহমান সিদ্দিকী, হাজী মো. হোসেন, হাজী জহুর আহমেদ, মাহবুবুল হক মিয়া, জালাল উদ্দীন ইকবাল, ইঞ্জিনিয়ার মানস রক্ষিক, জোবাইরা নার্গিস খান, দিদারুল আলম চৌধুরী, আব্দুল আহাদ, আবু তাহের, হাজী শহিদুল আলম, জহর লাল হাজারী প্রমুখ। বিজ্ঞপ্তি