ইসলাম ধর্ম মানুষকে শান্তির পথ দেখায়

30

রাঙামাটি : ধর্ম মানুষকে সঠিক পথে পরিচালনা করে, কোন ধর্মই অন্য ধর্মালম্বীদের অনিষ্ট করার শিক্ষা দেয় না। পবিত্র ঈদে মিলাদুন্নবী (দ.) ১৪৪৩ হিজরী উদযাপন উপলক্ষে সাংস্কৃতিক ইসলামিক ফাউন্ডেশন আয়োজিত সাংস্কৃতিক প্রতিযোগিতার পুরস্কার এবং জায়নামাজ বিতরণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্য খাদ্য মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি দিপংকর তালুকদার এমপি একথা বলেন। গত ২০ অক্টোবর ইসলামিক ফাউন্ডেশন রাঙামাটি কার্যালয় মিলনায়তনে আয়োজিত অনুষ্ঠিত হয়। এতে বিশেষ অতিথি ছিলেন জেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি রুহুল আমিন, পৌর আওয়ামী লীগের সভাপতি হাজী সোলায়মান চৌধুরী, সাধারণ সম্পাদক মনসুর আলী ও বাংলাদেশ রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটি রাঙাামটি ইউনিটের সাধারণ সম্পাদক মাহফুজুর রহমান। ইসলামিক ফাউন্ডেশন রাঙামাটি জেলা কার্যালয়ের উপ-পরিচালক মুহাম্মদ ইকবাল বাহার চৌধুরীর সভাপতিত্বে ও ফিল্ড অফিসার মো. আলী আহসান ভ‚ঁইয়ার সঞ্চালনায় স্বাগত বক্তব্য রাখেন জাতীয় ইমাম সমিতি রাঙামাটি জেলার সভাপতি ক্বারী ওসমান গণি। অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন সদর উপজেলা ফিল্ড সুপারভাইজার মো. নুরুন নবী। দিপংকর তালুকদার এমপি আরো বলেন, বর্তমান সরকারের উন্নয়নে ঈর্ষান্নিত হয়ে মৌলবাদীরা দেশে অস্থিতিশীল পরিস্থিতি সৃষ্টি করার জন্য বর্তমানে বিভিন্ন স্থানে সনাতন ধর্মালম্বীদের মন্দিরে হামলা চালাচ্ছে। তারা অতীতেও দেশে অস্থিতিশীল পরিস্থিতি সৃষ্টি করেছে তাই তিনি সকলকে ঐক্যবদ্ধ হয়ে এদের মোকাবেলার আহব্বান জানান। তিনি উপস্থিত বিভিন্ন মসজিদের ইমামদের মসজিদে আগত মুসল্লিদের ইসলামের সঠিক ধ্যান-ধারণা তুলে ধরে রাঙামাটিতে সাম্প্রদায়িক সম্পৃতি অটুট রাখতে কাজ করে যাওয়ার ও আহŸান জানান। আলোচনা সভার পর অতিথিরা ইসলামিক ফাউন্ডেশন আয়োজিত হামদ/নাত, ক্বেরাত, আজান ও রচনা প্রতিযোগিতায় বিজয়ীদের পুরস্কার তুলে দেন এবং পৌর আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক মনসুর আলীর পক্ষ থেকে জেলা ও উপজেলার সকল মসজিদের প্রতিনিধিদের হাতে জায়নামাজ ও নামাজের চিরস্থায়ী ক্যালেন্ডার তুলে দেন। পরে মিলাদ ও দেশ ও জাতির শান্তি কামনায় বিশেষ দোয়া মোনাজাত অনুষ্ঠিত হয়।
রাউজান : রাউজানের পাহাড়তলীতে খতমে কুরআন, মিলাদ মাহফিল, তবরুক বিতরণসহ নানান আয়োজনে পবিত্র ঈদে মিলাদুন্নবী (দ.) অনুষ্ঠিত হয়েছে। গত ১৮ অক্টোবর পাহাড়তলী চৌমুহনী বাজার সংলগ্ন শাহ ম্যানশন চত্বরে হযরত সোনা গাজী শাহ (রহ.) ও হযরত টোনা গাজী শাহ (রহ.) এবাদতখানা পরিচালনা পর্ষদ ও শাহ ম্যানশনে বসবাসকারীদের ব্যবস্থাপনায় এ মিলাদ মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়। হযরত সোনা গাজী শাহ (রহ.) ও হযরত টোনা গাজী শাহ (রহ.) এবাদত খানার প্রতিষ্ঠাতা আলহাজ রেজা শাহর সভাপতিত্বে মাহফিলে প্রধান অতিথি ছিলেন পাহাড়তলী ইউপি চেয়ারম্যান রোকন উদ্দিন। বিশেষ অতিথি ছিলেন ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি নুরুন নবী, কৃষি-সমবায় বিষয়ক সম্পাদক ও পাহাড়তলী ব্যবসায়ী কল্যাণ সমিতির সাধারণ সম্পাদক এসএএম রুবেল। আলোচক ছিলেন ইমাম মাওলানা মুহাম্মদ মিনহাজুল ইসলাম, অধ্যক্ষ আজিজুল হক আল কাদেরী, সুপার মাওলানা মুহাম্মদ জাহেদুল আলম, মাওলানা মুহাম্মদ লোকমান ও গোলামুর রহমান। অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন শফিউল আলম, জাগের শাহ, মাস্টার শফি, সালাউদ্দিন কাদের চৌধুরী, ব্যাংকার নুরুল হুদা, মাহবুবুল আলম, আবু বক্কর শাহ, মো. সালাউদ্দিন, সুমন হোসেন, সেলিম শাহ, গাজী হাছান নয়ন প্রমুখ। মাহফিলে বক্তারা বলেন ‘সাম্প্রদায়িত সম্প্রীতি রক্ষায় মহানবী (দ.) আদর্শ সুমহান। সব ধর্মের স্বাধীনতা সুনিশ্চিত করেছে ইসলাম। ধর্ম পালনে কেউ কাউকে বাঁধা দেবে না।
রাউজান প্রেস ক্লাব : বিশ্ব মানবতার মুক্তির দিশারী হযরত মুহাম্মদ (দ.) এর জীবন চরিত্র অনুসরণ করলে মানব জীবনে শান্তি আনা সম্ভব। তার শুভাগমন হয়েছে নিপীড়িত মানুষের মুক্তির জন্য। রাউজান প্রেস ক্লাবের ব্যবস্থাপনায় পবিত্র ঈদে মিলাদুন্নবী (দ.) উদযাপন উপলক্ষে আয়োজিত মিলাদ মাহফিলে বক্তারা এসব কথা বলেন। গত ১৯ অক্টোবর মুন্সিরঘাটাস্থ সংগঠনের কার্যালয়ে সংগঠনের আহবায়ক রাজিব উল হাসানের সভাপতিত্বে ও সচিব আনিসুর রহমানের সঞ্চালনায় এতে প্রধান বক্তা ছিলেন রাউজান সরকারি কলেজ জামে মসজিদের পেশ ইমাম মাওলানা নাসির উদ্দিন। অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন রাউজান প্রেস ক্লাবের সাবেক সভাপতি জাহেদুল আলম, সাবেক সভাপতি তৈয়ব চৌধুরী, নাজিম উদ্দিন মিঞাজী, এম. মামুনুর রশিদ, এম. দিদারুল আলম, একে বাবর, রবিউল হোসেন রবি, ইরফাত হোসেন, এমএসএম তৈয়বুল ইসলাম, রবিউল হোসন রাকিব, মো. রবিন। মাহফিল শেষে সারা দেশে নৈরাজ্য সৃষ্টি হলেও রাউজানে সা¤প্রদায়িক স¤প্রীতি টিকিয়ে রাখায় রাউজানের সাংসদ এবিএম ফজলে করিম চৌধুরীর জন্য বিশেষ দোয়া  হয়।
রাঙ্গুনিয়া : ঈদে মিলাদুন্নবী (সা.) উদযাপন উপলক্ষে আন্জুমান-এ-এহ্ইয়ায়ে সুন্নাহ্ বাংলাদেশের আয়োজনে ঐতিহ্যবাহী রাঙ্গুনিয়ার রাহাতীয়া দরবার শরীফের ৫৬তম জুলুসের র‌্যালি সম্প্রতি অনুষ্ঠিত হয়েছে। জুলুসটি রাঙ্গুনিয়ার নুরুল উলুম কামিল (এমএ) মাদ্রাসা মাঠ থেকে শুরু হয়ে কাপ্তাই সড়ক প্রদক্ষিণ শেষে পোমরা জামেয়া নঈমীয়া তৈয়্যবিয়া ডিগ্রি মাদ্রাসা প্রাঙ্গনে সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। জুলুসে নেতৃত্ব দেন দরবারের সাজ্জাদানশীন মাওলানা সৈয়দ মুহাম্মদ ওবাইদুল মোস্তফা নঈমী আশরাফী (মা.)। আন্জুমান-এ-এহ্ইয়ায়ে সুন্নাহ্ বাংলাদেশের মহাসচিব মাওলানা নেজাম উদ্দিন নঈমী জানান, এদিন ভোরে দরবারের ভক্ত এবং সুন্নী জনসাধারণ একত্রিত হয়। পরে সকাল ৮টার দিকে জুলুসটি শুরু করা হয়। অংশগ্রহণকারীদের হাতে কলেমা তৈয়াবা খচিত পতাকা, জাতীয় পতাকা, নানা ধরনের বাণী ও স্লোগান লিখিত ব্যানার ও ফেস্টুন ছিল। এসময় নারায়ে তাকবির, নারায়ে রেসালাত ও গাউসিয়তের ধ্বনিতে প্রকম্পিত হয় চারপাশ। প্রতিবছরের ন্যায় ঈদে মিলাদুন্নবী (সা:) উপলক্ষে তিনদিনব্যাপী কর্মসূচির শেষদিন এই জুলুস অনুষ্ঠিত হয়েছে বলে তিনি জানান।
বান্দরবান : গাউছিয়া কমিটি বাংলাদেশের বান্দরবান জেলা শাখার আয়োজনে পবিত্র জশনে জুলুছে ঈদে মিলাদুন্নবী (সা.) উদযাপন উপলক্ষে বান্দরবানে র‌্যালি ও আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। গত ২০ অক্টোবর বান্দরবান পৌরসভা সংলগ্ন খানেকা শরীফ প্রাঙ্গণ হতে এক বর্ণাঢ্য র‌্যালির আয়োজন করা হয়। র‌্যালিটি বান্দরবান শহরের প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিন শেষে পুনরায় একই স্থানে গিয়ে শেষ হয়। র‌্যালি শেষে খানেকা প্রাঙ্গনে ঈদে মিলাদুন্নবী (সা.) উপলক্ষে এক আলোচনা সভার আয়োজন করা হয়। গাউছিয়া কমিটি বান্দরবান পার্বত্য জেলা শাখার আয়োজনে জশনে জুলুসে ইদে মিলাদুন্নবী (দ.) মাহফিলের উদ্বোধক ছিলেন বান্দরবান পুলিশ প্রশাসনের ডিআইও-১ আব্দুল করিম। প্রধান অতিথি ছিলেন বান্দরবান পার্বত্য জেলা পরিষদের সদস্য মোজাম্মেল হক বাহাদুর। বিশেষ অতিথি ছিলেন ৪নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর মো. ওমর ফারুক ও এড. এমদাদুল হক। অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন বান্দরবান জেলা গাউছিয়া কমিটির সহ-সভাপতি আসহাব উদ্দিন চৌধুরী প্রমুখ। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন নিজাম উদ্দিন সিদ্দিকি। এসময় প্রধান ওয়ায়েজ ও সাধারণ সম্পাদক ছিলেন গাউছিয়া কমিটি বান্দরবানের মাওলানা আবু তালেব মঈনী। বিশেষ ওয়ায়েজ ছিলেন সুয়ালক তুলাতলি বাজার জামে মসজিদের খতিব হাফেজ মাওলানা আজিজুর রহমান। বিশেষ ওয়ায়েজ দোফাছরি জামে মসজিদের খতিব মাওলানা মুহাম্মদ ফয়েজ উল্লাহ। অনুষ্ঠানে নাত পরিবেশন করেন নাত খা আহসান হাবীব। সভায় বক্তারা বলেন, ১২ রবিউল আওয়াল সকল ঈদের সেরা ঈদ ঈদে মিলাদুন্নবী (সা.) পবিত্র জশনে জুলুছে ঈদে মিলাদুন্নবী (সা.) সারা বিশ্বের ন্যায় বাংলাদেশের সকল জেলায় উদযাপন করা হচ্ছে। তারই ধারাবাহিকতায় বান্দরবানে আমরা ঈদে মিলাদুন্নবী (সা.) পবিত্র জশনে জুলুছে ঈদে মিলাদুন্নবী (সা.) উদযাপন করছি। মানবাতার মুক্তির অগ্রদ্রুত হযরত মুহাম্মদ (সাঃ) এই পৃথিবীতে মানব জাতির মুক্তির জন্য ইসলাম ধর্ম প্রচার করেছেন, ইসলামের সঠিক জ্ঞান আহরন করে সঠিকভাবে তা মেনে চলার জন্য আহব্বান জানান।এসময় বক্তারা বলেন, মহানবী হজরত মুহাম্মদ (সা.) এর জন্ম ও মৃত্যু দিবস আজকের এই দিনে। ৫৭০ খৃস্টাব্দের এ দিনে মক্কায় জন্ম গ্রহণ করেন তিনি আর ৬৩২ খৃস্টাব্দে একই দিনে ইহলোক ত্যাগ করেন মহানবী হযরত মুহাম্মদ (সা.)। এসময় বক্তারা আরো বলেন, আইয়ামে জাহেলিয়াতের অন্ধকার দূর করতে এই দিনে তৌহিদের মহান বাণী নিয়ে এসেছিলেন এ মহামানব। বিশ্বের মুসলিম সম্প্রদায়সহ শান্তিকামী প্রত্যেক মানুষের কাছে আজকের দিনটি তাই অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ।
পটিয়ার আমির ভান্ডার : পটিয়ার আমির ভান্ডার দরবার শরীফে ১৯তম ১২ দিনব্যাপী ঈদে মিলাদুন্নবী (দ.) উপলক্ষে সালাওয়াতে রাসূল (সা.) মাহফিলের সমাপনী দিবস সম্প্রতি পবিত্র কোরআন শরীফের খতম আদায় ও নাতে রাসূলের (দ.) মাধ্যমে শুরু হয়। সমাপনী দিবসে মেহমানে আলা হিসেবে উপস্থিত ছিলেন মাইজভান্ডার দরবারের শাহসুফি ডা. সৈয়দ দিদারুল হক মাইজভান্ডারী (মা.)।
সম্মানিত মেহমান ছিলেন ডা. সৈয়দ হোসাইন সাইফ নিহাদুল ইসলাম মাইজভান্ডারী। বিশেষ অতিথি ছিলেন সৈয়দ মীর মুহাম্মদ জসিম উদ্দিন, সৈয়দ ফরিদুল আনেয়ার হাফেজনগরী, সৈয়দ মুহাম্মদ সাইফুল্লাহ ও আল্লামা শেখ মুহাম্মদ সাইফুল্লাহ ফারুকী। উপস্থিত ছিলেন শাহসুফি মাওলানা সৈয়দ মামুন রশিদ আমিরী, শাহসুফি সৈয়দ করিমুল মোস্তফা আমিরী, শাহসুফি সৈয়দ খায়রুল মোস্তফা আমিরী, মাওলানা সৈয়দ বদরুদ্দোজা আমিরী, শাহসুফি সৈয়দ শমসুদ্দোহা আমিরী, শাহসুফি সৈয়দ নুরুল হুদা আমিরী, শাহসুফি সৈয়দ আছরার আমিরী, মাওলানা সৈয়দ সায়েম উল্লাহ আমিরী, মাওলানা সৈয়দ ফোরকানুল হক আমিরী, সৈয়দ আসাদুজ্জামান তানিম আমিরী, আমির ভান্ডার কমপ্লেক্সের সাধারণ সম্পাদক এম নাসির উদ্দীন। প্রধান আলোচক ছিলেন আল্লামা সৈয়দ মুহাম্মদ গোলাম কিবরিয়া আজহারী। সমাপনী দিবসে দেশ ও জাতির কল্যাণ কামনায় আখেরী মোনাজাত করেন আল্লামা শাহসুফি সৈয়দ মুহাম্মদ ফরিদুল আবছার আমির ভাÐারী।