ইলেকট্রিক চার্জার রিকশা মালিক সমিতির তিন দফা

34

 

তিন দফা দাবি জানিয়ে সংবাদ সম্মেলন করেছে চট্টগ্রাম ইলেকট্রিক চার্জার রিকশা মালিক সমিতি। ৬ ডিসেম্বর দুপুরে চট্টগ্রাম প্রেস ক্লাবে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে ইলেকট্রিক চার্জার রিকশা মহানগরী এলাকায় চলাচলের বৈধতা নিশ্চিতকরণ, ট্রাফিক ও থানা পুলিশের জরিমানা আদায় বন্ধ করা ও স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জারি করা বিজ্ঞপ্তির নির্দেশনা বহিভর্‚ত কর্মকান্ড বন্ধের দাবি জানান সংগঠনটির সভাপতি ওয়াজি উল্লাহ।
তিনি বলেন, নগরীর প্যাডেল রিকশাচালকদের অধিকাংশ বয়োবৃদ্ধ। অপরদিকে পাহাড়বেষ্টিত এই নগরীর প্রায় সড়কই বেশ উঁচু-নিচু ও অসমতল। ফলে বিপুল সংখ্যক চালকের পক্ষে প্যাডেল রিকশা চালানো খুবই কষ্টসাধ্য। দেশের প্রতিটি বিবেকবান মানুষ ও সরকার একবাক্যে স্বীকার করবেন যে, শতাব্দীকালের প্রাচীনতম প্যাডেলচালিত রিকশার ব্যবসা বা পেশা প্রকৃতপক্ষে একটি অমানবিক ও সামাজিক মর্যাদাহীন কাজ। সুতরাং, মানবসভ্যতা ও জ্ঞান-বিজ্ঞানের অভাবনীয় অগ্রগতি ও উৎকর্ষের পরও দেশের লাখ লাখ মানুষ কেন ঘৃণ্য দাসপ্রথার মতো মানুষ টানার পেশায় নিযুক্ত থাকবে? এটা নিঃসন্দেহে জাতির জন্য লজ্জা ও অবমাননাকর। তাই পরিবেশ, যাত্রীবান্ধব তথা মানবিক চার্জার রিকশা প্রতিস্থাপন করার মাধ্যমেই মূলত প্যাডেল রিকশার মতো অমানবিক ও সামাজিক মর্যাদাহীন পেশার শান্তিপূর্ণ অবসান সম্ভব। তিনি আরও বলেন, রাজশাহী, রংপুর, দিনাজপুর, খুলনা, সিলেট, গাজীপুর, কুমিল্লা মহানগরীসহ দেশের প্রায় এলাকায় এখন পরিবেশ, যাত্রীবান্ধব ও আধুনিক ইলেকট্রিক চার্জার রিকশা চলাচল করছে। দেশের অন্যান্য নগরী ও এলাকার মতো চট্টগ্রাম মহানগরীর প্যাডেল রিকশা মালিকরাও ইলেকট্রিক চার্জার রিকশা ব্যবহারের সুযোগ পেলে বয়োবৃদ্ধ চালকদের অমানুষিক পরিশ্রমের অবসান হবে। তিনি বলেন, এসব রিকশার জিনিসপত্র বৈধভাবে আমদানি করা হয়েছে। বর্তমানে এসব রিকশার সাথে জড়িয়ে আছে খেটে খাওয়া মানুষের জীবন জীবিকা। কয়েকটি পৌরসভায় এসব রিকশার বৈধতা দেওয়া হয়েছে। খেটে খাওয়া মানুষের বিষয়টি বিবেচনায় নিয়ে অন্যান্য পৌরসভার ন্যায় চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের মাধ্যমে এসব রিকশা চলাচলে বৈধতা দেওয়ার আহ্বান জানান তিনি। এসময় সংগঠনটির সহ-সভাপতি মো. মহিবুল্লাহ, সাধারণ সম্পাদক সানাউল্লাহ চৌধুরী, রনজিৎ দেবনাথ, মো. বেলাল ও মো. ইসমাইলসহ অন্যান্যরা উপস্থিত ছিলেন। বিজ্ঞপ্তি