ইরানি ড্রোন ভূপাতিত করেছে যুক্তরাষ্ট্র : ট্রাম্প

23

আরব উপসাগরের হরমুজ প্রণালিতে একটি ইরানি ড্রোন বিধ্বস্ত করা হয়েছে বলে দাবি করলেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। তিনি দাবি করেন, ওই ড্রোনটি মার্কিন নৌবাহিনীর একটি জাহাজের ১ হাজার মিটার সীমার মধ্যে চলে আসলে ‘আত্মরক্ষামূলক’ পদক্ষেপ হিসেবে ড্রোনটি বিধ্বস্ত করা হয়। গত ২০ জুন আমেরিকার একটি চালকবিহীন ড্রোন ইরানের আকাশসীমায় অনুপ্রবেশ করলে সেটিকে গুলি করে ভূপাতিত করে ইরানি বাহিনী। ওই ঘটনা দুই দেশের বিদ্যমান উত্তেজনা আরও বাড়িয়ে দেয়। এরপর ইসরায়েলপন্থী মার্কিন খ্রিস্টানদের এক অনুষ্ঠানে তেহরানের কঠোর সমালোচনা করেন যুক্তরাষ্ট্রের ভাইস প্রেসিডেন্ট মাইক পেন্স। তবে সাম্প্রতিক এই ড্রোন বিধ্বস্তের ব্যাপারে ইরান কিছু জানে না বলে দাবি করে। ট্রাম্প বলেন, ‘হরমুজ প্রণালিতে ঘটে যাওয়া একটি ঘটনা সম্পর্কে সবাইকে জানাতে চাই আমি। এটি ইউএসএস বক্সার সম্পর্কিত, যা একটি উভচর যুদ্ধজাহাজ। অনেক বেশি কাছে প্রায় এক হাজার গজের মধ্যে চলে আসার কারণে ইরানের একটি ড্রোনের বিরুদ্ধে প্রতিরক্ষামূলক পদক্ষেপ নিয়েছে বক্সার। ড্রোনটি বেশ কয়েকবার হুঁশিয়ারি এবং থামার নির্দেশ উপেক্ষা করে জাহাজ এবং ক্রুদের নিরাপত্তার প্রতি হুমকি তৈরি করায় এমন পদক্ষেপ নেওয়া হয়। ড্রোনটি সাথে সাথেই ধ্বংস করা হয়।’
তিনি আরও বলেন, ‘আন্তর্জাতিক জলসীমায় চলাচলকারী জাহাজের বিরুদ্ধে ইরানের বহু উসকানিমূলক ও শত্রুভাবাপন্ন আচরণের মধ্যে এটি একটি। নিজেদের লোকবল, স্থাপনা এবং স্বার্থরক্ষার পুরো অধিকার রয়েছে যুক্তরাষ্ট্রের।’ এর আগে রবিবার তেহরান জানিয়েছিলো, আরব উপসাগরে তেলপাচারের অভিযোগে একটি বিদেশি ট্যাংকার ও এর ১২ নাবিককে আটক করে তারা।
ইরানের রাষ্ট্রীয় গণমাধ্যম দেশটির রেভ্যুলিউশনারি গার্ডের উদ্ধৃতি দিয়ে বলে, জাহাজটি ১০ লাখ লিটার জ্বালানি চোরাচালান করছিলো। পরে পানামার পতাকা সংবলিত রিয়াহ ট্যাংকারের চারপাশে ইরানের স্পিডবোটের টহল দেয়ার ভিডিও ফুটেজ প্রকাশ করে রাষ্ট্রীয় গণমাধ্যম। ইরান জানায়, লারাক দ্বীপের দক্ষিণাঞ্চল থেকে ট্যাংকারটি আটক করা হয়।