ইমামকে হেনস্তা, রেঞ্জ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে মামলা

23

চকরিয়া প্রতিনিধি

কক্সবাজার উত্তর বনবিভাগের অধীনস্থ চকরিয়া উপজেলার ফাঁসিয়াখালী রেঞ্জ কর্মকর্তা মো. মেহরাজের বিরুদ্ধে চকরিয়া উপজেলা সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে। ডুলাহাজারা ইউনিয়নের রিংভং ছগিরশাহকাটা কেন্দ্রীয় জামে মসজিদের ইমাম আমিন উল্লাহ বাদি হয়ে গত বুধবার মামলাটি দায়ের করেন।
মামলার আর্জিতে অভিযোগ করা হয়, ডুলাহাজারা ইউনিয়নের রিংভং ছগিরশাহকাটা কেন্দ্রীয় জামে মসজিদটি প্রতিষ্ঠিত হয় বিগত ৫০ বছর পূর্বে। এর আগে থেকেই সেখানে জনবসতি গড়ে উঠে। স্থাপিত মসজিদটি জরাজীর্ণ হয়ে পড়ায় কমিটির সিদ্ধান্ত অনুযায়ী পুরোনো মসজিদটি ভেঙে নতুন করে নির্মাণের কাজ শুরু করা হয়। এ জন্য নির্মাণ সামগ্রীও সেখানে নেয়া হয়। গত ১২ মার্চ দুপুরে বালুভর্তি একটি ট্রাক এসে মসজিদের পাশে বালু ফেলে চলে যায়। এর কিছুক্ষণ পর ফাঁসিয়াখালী রেঞ্জ কর্মকর্তার নেতৃত্বে একদল লোক এসে বালু ফেলে যাওয়া গাড়িটির সন্ধান চায় তার (ইমামের) কাছে। এ সময় গাড়িটি কোথায় গেছে জানেন না বলতেই তাঁকে (ইমামকে) দিগম্বর করে টেনে-হিঁচড়ে কিছুদূর নিয়ে যান রেঞ্জ কর্মকর্তা ও তার সঙ্গীয় লোকজন। এ সময় তাঁকে শারিরীকভাবে মারধরও করা হয়। এক পর্যায়ে লোকজন এগিয়ে আসলে ছেড়ে দেয়া হয় তাকে (ইমামকে)।
মামলায় বাদি আরো অভিযোগ করেন, রেঞ্জ কর্মকর্তা হুঙ্কার দিয়ে বলেন- বনবিভাগের জায়গায় মসজিদ নির্মাণ করতে হলে অনুমতি নিতে হবে। বনবিভাগকে টাকা না দিয়ে এখানে কোনো ধরনের মসজিদ নির্মাণ করা যাবে না। অন‍্যথায় মামলা দিয়ে হয়রানি করা হবে। এমনকি রেঞ্জ কর্মকর্তা প্রকাশে‍্য ধর্মবিদ্বেষী নানা ধরণের কট‚ক্তিও করেন বলে বাদি উল্লেখ করেন।
আদালতের বিচারক অভিযোগটি আমলে নিয়ে তদন্তপূর্বক প্রতিবেদন দেওয়ার জন্য চকরিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাকে (ওসি) নির্দেশ দিয়েছেন। বুধবার দায়ের করা মামলার নথিটি গতকাল বৃহস্পতিবার থানায় পৌঁছেছে বলে জানা গেছে। তবে অভিযোগ অস্বীকার করে ফাঁসিয়াখালী রেঞ্জ কর্মকর্তা মো. মেহরাজ বলেন, যিনি মামলার বাদি তাঁর সাথে আমার কখনো দেখাও হয়নি। তাকে ব্যক্তিগতভাবে আমি চিনিও না। শুধুমাত্র বনভ‚মি, বনজসম্পদ রক্ষা করতে গিয়েই আমার বিরুদ্ধে নানা অপবাদ ছড়াচ্ছেন একটি চক্র। বিষয়টি আমার ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা জানেন। তাই মামলা হলেও আমার কোনো ধরণের দুশ্চিন্তা নেই।
চকরিয়া থানার ওসি চন্দন কুমার চক্রবর্তী বলেন, ‘মসজিদের ইমাম কর্তৃক আদালতে দায়েরকৃত নালিশী মামলাটি তদন্তের জন্য একজন অফিসারকে দায়িত্ব দেয়া হয়েছে। তদন্তপূর্বক পরবর্তী আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।