ইমপিচমেন্টের আহব্বানে ক্ষোভ ট্রাম্পের

36

যুক্তরাষ্ট্রের বিরোধী দল ডেমোক্র্যাটিক পার্টি শুক্রবার প্রতিনিধি পরিষদের নিয়ন্ত্রণ নেওয়ার ঘটনায় অস্বস্তিতে রয়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। কেননা ইতোপূর্বে তাদের দিক থেকে ট্রাম্পের ইমপিচমেন্টের দাবি উঠেছিল। শুক্রবার টুইটারে দেওয়া পোস্টে তার ইমপিচমেন্টের আহব্বানকারীদের কঠোর সমালোচনা করেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট।
২০১৮ সালের ডিসেম্বরে সংবাদমাধ্যম সিএনএন-এর সঙ্গে আলাপকালে যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিনিধি পরিষদের সদস্য জেরল্ড ন্যাডলার বলেন, ইমপিচমেন্টের মুখোমুখি হতে পারেন ট্রাম্প। তাকে কারাগারেও যাওয়া লাগতে পারে। কেননা, নির্বাচনি প্রচারণায় লোকজনের মুখ বন্ধ রাখতে ঘুষ দেওয়ার মতো ঘটনা আইনের লঙ্ঘন। এরইমধ্যে তার সাবেক আইনজীবী মাইকেল কোহেনের এ ধরনের কর্মকান্ডে জড়িত থাকার বিষয়টি প্রমাণিত হয়েছে। জানুয়ারি মাসে ডেমোক্র্যাটিক পার্টি কংগ্রেসের নিম্নকক্ষ প্রতিনিধি পরিষদের দায়িত্ব নেওয়ার পর ইমপিচমেন্ট নিয়ে উদ্বেগ বেড়েছে ট্রাম্পের। এমন পরিস্থিতিতেই এ নিয়ে মুখ খুলেছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট। শুক্রবার টুইটারে দেওয়া পোস্টে ট্রাম্প বলেন, ‘আপনারা কিভাবে এমন একজন প্রেসিডেন্টকে অভিযুক্ত করবেন যিনি সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ নির্বাচনে জিতেছেন? যিনি কোনও অপরাধ সংঘটন করেননি।
রাশিয়ার সঙ্গে আমার কোনও যোগসাজশ নেই, বরং ডেমোক্র্যাটরা আঁতাত করেছে। ট্রাম্প বলেন, অন্য যে কোনও প্রেসিডেন্টের চাইতে তিনি সবচেয়ে বেশি সফল। দলের ইতিহাসের সবচেয়ে জনপ্রিয় প্রেসিডেন্ট হিসেবে দলের ৯৩ ভাগের কাছেই তিনি জনপ্রিয়।
তিনি বলেন, আমরা সিনেটে জয়লাভ করেছি, তারা প্রতিনিধি পরিষদে জয় পেয়েছে। বিষয়গুলো মিটমাট হবে। তারা শুধু এ কারণেই আমাকে ইমপিচ করতে চায় যে, ২০২০ সালের নির্বাচনে তারা জয়লাভ করতে পারবে না। এটি আমার সফলতা। এর আগে গত ডিসেম্বরে ওভাল অফিস থেকে বার্তা সংস্থা রয়টার্সকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে ট্রাম্প দাবি করেন, যে ব্যক্তি কোনও ভুল কিছু করেনি এবং দেশের ইতিহাসে সবচেয়ে বেশি অর্থনৈতিক উন্নয়ন করেছে তাকে ইমিপচ করা কঠিন ব্যাপার। সম্ভাব্য ইমপিচমেন্ট সম্পর্কে তিনি বলেন, ‘আমি মোটেই উদ্বিগ্ন নই। আমি মনে করি যদি তা করা হয় তাহলে জনগণ বিদ্রোহ করবে।’
উল্লেখ্য, রাশিয়ার সঙ্গে যোগসাজশের তদন্তকে কৌতুক বলে উড়িয়ে দিলেও ইমপিচমেন্ট নিয়ে ট্রাম্পের উদ্বেগ রয়েছে। কেননা, নির্বাচনি প্রচারণার সময় আইন লঙ্ঘন করে গোপনে দুই নারীকে অর্থ দেওয়ার ঘটনা তাকে ক্ষমতাচ্যুত করতে পারে। দুই পর্ন তারকার সঙ্গে ট্রাম্পের অবৈধ যৌন সম্পর্কের কথা গোপন রাখতে ২০১৬ সালের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের সময় অর্থের বিনিময়ে ওই দুই নারীর মুখ বন্ধের চেষ্টা করেন ট্রাম্প। ট্রাম্পের হয়ে দুই নারীকে অর্থ পরিশোধ করেছিলেন তার ব্যক্তিগত আইনজীবী মাইকেল কোহেন। কোহেনকে আগেই বরখাস্ত করেছেন ট্রাম্প। তবে তিনি টাকা দেওয়ার বিষয়টি স্বীকার করেছেন। সূত্র: টুইটার, আনাদোলু এজেন্সি, পার্স টুডে।