ইভিএম প্রকল্পের মেয়াদ বাড়তে পারে এক বছর

3

পূর্বদেশ ডেস্ক

দুই লাখ ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিন (ইভিএম) কেনার প্রকল্পটি সরকার আর্থিক সংকটের কারণে স্থগিত করে দেওয়ায় চলমান প্রকল্পটির মেয়াদ বাড়ানোর পরিকল্পনা করছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। এক্ষেত্রে এক বছর বাড়তে পারে মেয়াদ। ইসি কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, ২০১৮ সালের দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগে এক লাখ ৫৪ হাজার ইভিএম কেনা হয়। তবে সে সময় প্রস্তুতি না থাকায় মাত্র ছয়টি আসনে যন্ত্রটি ব্যবহার করা হয়।
এছাড়া গত চার বছরে ওই মেশিনগুলো দিয়েই স্থানীয় নির্বাচনগুলো ও উপ-নির্বাচনে ভোটগ্রহণ করে ইসি। এক্ষেত্রে মাঠ পর্যায়ে বিভিন্ন স্কুল, কলেজ, নির্বাচন কার্যালয়ে যা সংরক্ষণ করা হয়। এতে কিছু মেশিন খোয়া যাওয়া ছাড়াও ব্যবহার অনুপযোগী হয়ে পড়ে। এদিকে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন ঘনিয়ে আসায় সর্বোচ্চ ১৫০ আসনে ভোটের পরিকল্পনা নিয়ে সরকারকে নতুন করে ৮ হাজার ৭১১ কোটি ৪৪ লাখ টাকার প্রকল্প নেওয়ার জন্য প্রস্তাব দেয় সংস্থাটি। এক্ষেত্রে সাড়ে তিন লাখ মেশিন পেলে অর্ধেক আসনে ইভিএম ব্যবহারের সিদ্ধান্তে নেওয়া হয়। তবে নতুন প্রকল্প পাস না হলে চলমান প্রকল্পের মেশিনগুলো দিয়ে যতগুলো আসনে সম্ভব ততগুলো আসনেই ব্যবহারের ভাবনাও রাখে ইসি।
গত ২২ জানুয়ারি সরকার সেই প্রস্তাব ‘আপাতত প্রক্রিয়াকরণ’ না করার সিদ্ধান্ত জানালে চলমান প্রকল্পটিতে এগিয়ে নেওয়ার নীতিগত সিদ্ধান্ত নেয় ইসি। আর সে মোতাবেকই সরকারকে প্রকল্পটির মেয়াদ বাড়ানোর প্রস্তাব দেওয়ার কথা ভাবা হচ্ছে।
ইসির পরিকল্পনা অনুযায়ী, চলতি বছরের ডিসেম্বরের শেষ সপ্তাহে অথবা আগামি বছরের জানুয়ারিতে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। আর চলমান ইভিএম প্রকল্পটির মেয়াদ শেষ হবে জুনে। তাই আরও এক বছর মেয়াদ বাড়াতে চায় সংস্থাটি। খবর বাংলানিউজের
ইভিএম প্রকল্প পরিচালক কর্নেল সৈয়দ রাকিবুল হাসান বলেন, সে সময় (২০১৮ সালে) নেওয়া প্রকল্পটির মেয়াদ শেষ হচ্ছে আগামি জুনে। আর নতুন প্রকল্প প্রস্তাব স্থগিত হওয়ায় এক্সিজটিং যেটা আছে সেটা নিয়েই যতগুলো পারা যায় আমরা সেভাবেই চেষ্টা করছি। প্রকল্পের মেয়াদ শেষ, সেটাই এখন গুছাচ্ছি। আগের যেটা ছিল সেটা ছাড়া তো আর অল্টারনেটিভ নেই।