ইভিএম না কিনে সিসি ক্যামেরা কেনার পরামর্শ ইসিকে

10

ঢাকা প্রতিনিধি

ভোটে স্বচ্ছতা আনতে ইভিএমের না কিনে সিসি ক্যামরা কিনতে কমিশনকে পরামর্শ দিয়েছেন সাবেক নির্বাচন কমিশনার এম. সাখাওয়াত হোসেন। গতকাল বুধবার (১৯ অক্টোবর) রাজধানীর আগারগাঁওয়ে নির্বাচন ভবনে বর্তমান কমিশনের সঙ্গে মতবিনিময় সভা শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এ মন্তব্য করেন।
এম সাখাওয়াত হোসেন বলেন, ভালো হোক মন্দ হোক ইভিএম নিয়ে অনেক বিতর্ক আছে। দেড়শ আসনে ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিন (ইভিএম) না কিনে যতখানি পারেন বেটার (ভালো) সিসি ক্যামেরা কেনেন। এটা শুধু কেন্দ্র থেকে নয়, ভাগ করে দেন, পাঁচজন কমিশনার আছেন। এগুলো রেকর্ডেড থাকবে। এর আগে বেলা ১১টায় রাজধানীর আগারগাঁওয়ে নির্বাচন ভবনের সম্মেলনকক্ষে এ বৈঠক শুরু হয়েছিল। বৈঠকে সাবেক সিইসি আব্দুর রউফ, কে এম নূরুল হুদা, কাজী রকিব উদ্দীন আহমদ, সাবেক নির্বাচন কমিশনার এম সাখাওয়াত হোসেন, রফিকুল ইসলাম, কবিতা খানম, শাহ নেওয়াজ, সাবেক ইসি সচিব মোহাম্মাদ সাদিক, মোহাম্মাদ আবদুল্লাহ, সিরাজুল ইসলাম, হেলাল উদ্দীন আহমেদ এবং ইসির সাবেক অতিরিক্ত সচিব জেসমিন টুলী ও মোখলেছুর রহমান অংশ নিয়েছিলেন। এম সাখাওয়াত হোসেন বলেন, নির্বাচন কমিশনকে ক্ষমতা প্রয়োগ করতে হবে। গাইবান্ধায় ভোট বন্ধ করে ইসি আইনের সঠিক প্রয়োগ করেছে। আইনে ইসির যে ক্ষমতা দেওয়া আছে, অতীতে কোনো কমিশন এ কাজটা করতে পারেনি। তিনি বলেন, অতীতের কমিশন আইনের এমন প্রয়োগ করলে দেশের নির্বাচন ব্যবস্থা এত খারাপের দিকে যেত না।
এদিকে গাইবান্ধা উপনির্বাচন বন্ধে নির্বাচন কমিশন সঠিক সিদ্ধান্ত নিয়েছে বলে প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী হাবিবুল আউয়ালকে আশ্বস্ত করেছে সাবেক তিন সিইসি। ভোটে অনিয়মে জড়িতদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দিয়ে আগামী জাতীয় নির্বাচনে কঠোর বার্তা দেওয়ারও পরামর্শ দিয়েছেন কাজী রকিব উদ্দিন, বিচারপতি আবদুর রউফ ও কেএম নুরুল হুদা।
এ বিষয়ে প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী হাবিবুল আউয়াল বলেছেন, গাইবান্ধা নির্বাচন বন্ধের ঘটনায় সবাই সমর্থন জানিয়েছেন। প্রথমবারের মতো নির্বাচন কমিশন এত বড় পদক্ষেপ নিয়েছে। এটা আইন অনুযায়ী করা হয়েছিল। সাবেক প্রধান নির্বাচন কমিশনার ও অন্যান্য কমিশনারদের থেকে দিক নির্দেশনামূলক পরামর্শ পেয়েছি।
গাইবান্ধার ঘটনা ফলোআপ না করা হলে নির্বাচন কমিশনের পদক্ষেপ প্রশ্নবিদ্ধ হবে সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের জবাবে কাজী হাবিবুল আউয়াল বলেন, এই ঘটনা সব মহলে যথেষ্ট উত্তেজনা তৈরি করেছে। তদন্ত প্রতিবেদন আসুক, তারপর আপনারা দেখেন আমরা কি করি।
গাইবান্ধা-৫ আসনের উপনির্বাচন বন্ধের পর আগামীতে অনুষ্ঠিতব্য নির্বাচনগুলোর বিষয়ে পরামর্শ নিতে সাবেক কমিশনারদের ডাকেন বর্তমান সিইসি।