ইন্দো-প্যাসিফিকে নজর অস্ট্রেলিয়ার চীনকে ঠেকাতে সামরিক ব্যয় বৃদ্ধির পরিকল্পনা

52

সামরিক ব্যয় ব্যাপক পরিমাণে বাড়ানোর ঘোষণা দিয়েছে অস্ট্রেলিয়া। যুক্তরাষ্ট্র ও চীনের উত্তেজনা বৃদ্ধির প্রেক্ষাপটে ইন্দো-প্যাসিফিক অঞ্চলের ওপর বিশেষভাবে দৃষ্টি দিতে চায় ক্যানবেরা। এই লক্ষ্যকে সামনে রেখে আগামী দশ বছরে অস্ট্রেলিয়ার সামরিক বাজেট ৪০ শতাংশ বাড়িয়ে ২৭ হাজার কোটি অস্ট্রেলিয়ান ডলার চেয়েছেন প্রধানমন্ত্রী স্কট মরিসন। দীর্ঘ পাল্লার ক্ষেপণাস্ত্র এবং ভবিষ্যতের যুদ্ধ মোকাবিলার সক্ষমতা অর্জন করতে এই বরাদ্দ চেয়েছেন তিনি। ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি’র প্রতিবেদন থেকে এসব তথ্য জানা গেছে।
দীর্ঘ দিন বাণিজ্য সম্পর্ক সত্ত্বেও করোনাভাইরাসের মহামারির সময়ে অস্ট্রেলিয়া ও চীনের মধ্যে সম্পর্কের অবনতি হয়েছে। অস্ট্রেলিয়ার প্রধানমন্ত্রী চীনের বিরুদ্ধে ভাইরাসটি ছড়িয়ে দেওয়ার অভিযোগ আনলে দুই দেশের সম্পর্কে টানাপোড়েন সৃষ্টি হয়। যার প্রভাব ইতোমধ্যে বাণিজ্য সম্পর্কের ওপরও পড়েছে। এর মধ্যেই সামরিক ব্যয় বাড়ানোর প্রস্তাব আনলেন অস্ট্রেলীয় প্রধানমন্ত্রী। স্কট মরিসন বলছেন ব্যয় বাড়ানোর দরকার হয়ে পড়েছে কারণ ইন্দো-প্যাসিফিক অঞ্চল বর্তমান সময়ের বৈশ্বিক লড়াইয়ের অন্যতম কেন্দ্র হয়ে উঠছে। তিনি বেশ কয়েকটি উত্তেজনার প্রসঙ্গ উল্লেখ করেন। এর মধ্যে রয়েছে ভারত ও চীনের সীমান্ত সংঘাত আর দক্ষিণ চীন সমুদ্র ও পূর্ব চীন সমুদ্র ঘিরে তৈরি হওয়া উত্তেজনা।
প্রধানমন্ত্রী স্কট মরিসনের প্রস্তাবিত প্রতিরক্ষা বাজেট অস্ট্রেলিয়ার জিডিপি’র প্রায় দুই শতাংশ। তিনি বলছেন, এর বেশিরভাগই ব্যয় হবে অস্ত্র ও সামরিক সরঞ্জাম উন্নয়নে। যুক্তরাষ্ট্রের নৌবাহিনীর কাছ থেকে ২০০টি দীর্ঘ পাল্লার জাহাজ বিধ্বংসী ক্ষেপণাস্ত্র কিনবে অস্ট্রেলিয়া। এগুলো ৩৭০ কিলোমিটার দূরে পর্যন্ত আঘাত হানতে পারে। এছাড়া শব্দের চেয়ে দ্রুত গতিতে ছুটতে সক্ষম ক্ষেপণাস্ত্র উন্নয়নে বিনিয়োগ করবে দেশটি। এসব ক্ষেপণাস্ত্র হাজার হাজার মাইল দূরে আঘাত হানতে পারে। এছাড়া দেড় হাজার কোটি অস্ট্রেলিয়ান ডলার বিনিয়োগ হবে সাইবার যুদ্ধ মোকাবিলার সরঞ্জাম উন্নয়নে। প্রধানমন্ত্রী স্কট মরিসন বলছেন ভবিষ্যতে এই খাতে ব্যাপক আকারের হুমকি মোকাবিলা করতে হবে। গত মাসে তিনি অভিযোগ করেন অস্ট্রেলিয়ার বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান ও বাণিজ্যের ওপর রাষ্ট্রীয় মদদে সাইবার হামলার চেষ্ট চলছে।