ইতালি-স্পেনে ধীর হচ্ছে মৃত্যুহার

19

নভেল করোনাভাইরাসে বিপর্যস্ত ইতালি ও স্পেনে মৃতের সংখ্যাবৃদ্ধির গতি কমেছে; এই চিত্র দেখা গেছে ফ্রান্সেও। ইরানেও নতুন সংক্রমণের হার কমেছে। আক্রান্ত ও মৃতের সংখ্যা আগের দিনের চেয়ে কমেছে যুক্তরাষ্ট্রের নিউ ইয়র্কেও। তবে হঠাৎ করেই আক্রান্তের সংখ্যা বেড়েছে জাপান ও সিঙ্গাপুরে। ভারতে আক্রান্তের সংখ্যা সাড়ে ৩ হাজার ছাড়িয়ে গেলেও তার চেয়ে বড় শঙ্কা দেখা দিয়েছে মুম্বাইয়ের ধরাবি বস্তিতে সংক্রমণ ঘটায়।
ইতালি, স্পেন, ফ্রান্স ও যুক্তরাজ্যে মৃতের সংখ্যা আগের চেয়ে কমে আসাকে লকডাউনের সাফল্য হিসেবে দেখছেন দেশগুলোর কর্মকর্তারা। ইতালির জনস্বাস্থ্য বিভাগের প্রধান সিলভিও ব্রæসাফেরো বিবিসিকে বলেন, “লকডাউনের যে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছিল, তাই এতে সহায়তা করেছে।” কোভিড-১৯ সংক্রমণের গতি কমে যাওয়ার এই ঘটনাকে গুরুত্বপূর্ণ বলে মনে করছেন বিপর্যস্ত এই দেশটির এই কর্মকর্তা। ইতালিতে রোববার ৫২৫ জন কোভিড-১৯ রোগীর মৃত্যু ঘটেছে। একদিনে মৃত্যুর এই সংখ্যা দেশটিতে গত দুই সপ্তাহে সর্বনিম্ন।
মৃতের সংখ্যায় এখনও শীর্ষে রয়েছে ইতালি; দেশটিতে মোট ১৫ হাজার ৮৮৭ জনের মৃত্যু ঘটেছে। আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১ লাখ ২৮ হাজার ৯০০ জন, যা বিশ্বে তৃতীয়। আক্রান্তের সংখ্যায় ইতালিকে ছাড়িয়ে যাওয়া স্পেনে টানা তৃতীয় দিনের মতো মৃতের সংখ্যা আগের চেয়ে কমেছে। রোববার স্পেনে ৬৭৪ জনের মৃত্যুর খবর দিয়ে সিএনএন বলেছে, গত ২৬ মার্চের পর এটাই দেশটিতে মৃত্যু বৃদ্ধির সর্বনিম্ন হার। স্পেনে মৃতের সংখ্যা পৌঁছেছে ১২ হাজার ৪১৮ জনে, যা ইতালির পর সর্বোচ্চ। স্পেনে আক্রান্তের সংখ্যা একদিনে আড়াই হাজার বেড়ে ১ লাখ ৩০ হাজার ছাড়িয়েছে, যা বিশ্বে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ।
গত ২০ মার্চের পর স্পেনে আক্রান্তের হার বৃদ্ধি এটাই সর্বনিম্ন বলে সিএনএন জানিয়েছে। সেই সঙ্গে দেশটিতে ৩৪ হাজারের বেশি রোগীর সুস্থ হওয়ার খবরও মিলেছে। রোববার যুক্তরাজ্যে মৃত্যর সংখ্যা বৃদ্ধিও আগের দিনের চেয়ে কমেছে। দেশটির রানি দ্বিতীয় এলিজাবেথ এদিন জাতির উদ্দেশে দেওয়া ভাষণে ব্রিটিশেদের সাহস জুগিয়ে বলেছেন, সুদিন আবার ফিরবে।
যুক্তরাজ্যে আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৪৮ হাজার ৪০৬ জন, মৃতের সংখ্যা বেড়ে ৫ হাজার ছুঁইছুঁই করছে। যুক্তরাজ্যের বিশেষজ্ঞরা অবশ্য আশঙ্কা প্রকাশ করছেন, দেশে সবচেয়ে খারাপ অবস্থা আসতে আরও সাত থেকে ১০ দিন বাকি রয়েছে, তারপর সংক্রমণের হার নিম্নগামী হবে। ফ্রান্সে রোববার ৩৫৭ জন কোভিড-১৯ রোগীর মৃত্যু ঘটেছে, যা আগের দিনের চেয়ে ৮৪ জন কম।
ফ্রান্সে মৃতের সংখ্যা যুক্তরাজ্যের চেয়ে বেশি, দেশটিতে প্রায় ৮ হাজার জন মারা গেছে করোনাভাইরাসে, আক্রান্তের সংখ্যাও ৯০ হাজার ছাড়িয়েছে। আক্রান্তের সংখ্যা এক লাখের কাছাকাছি যাওয়ার পাশাপাশি মৃতের সংখ্যাও একদিনে প্রায় ৭ শতাংশ বেড়েছে জার্মানিতে। দেশটিতে মারা গেছেন ১ হাজার ৩৪২ জন। এক দিনে মৃতের সংখ্যা বেড়েছে শতাধিক জন, আক্রান্তের সংখ্যা বেড়েছে প্রায় ৬ হাজার জন।