ইউরোপ গেছে সাড়ে ১৩ হাজার পণ্যভর্তি কনটেইনার

19

চট্টগ্রাম-ইউরোপ রুটে সরাসরি কনটেইনার জাহাজ সার্ভিস এখন অনিয়মিত। বাংলাদেশ থেকে ইউরোপে পণ্য রপ্তানির চাপ কমে আসায় চট্টগ্রাম-লিভারপুল, চট্টগ্রাম-রটারড্যাম দুটি সার্ভিসের শিডিউল দুইমাস বন্ধ রাখা হয়েছে। চট্টগ্রাম-ইতালি, চট্টগ্রাম-বার্সেলোনা সার্ভিসেও পণ্য বুকিং কমে আসায় শিডিউল এলোমেলো। গত ফেব্রæয়ারি থেকে সেপ্টেম্বর পর্যন্ত আট মাসে সাড়ে ১৩ হাজার একক রপ্তানি পণ্যভর্তি কনটেইনার গেছে ইউরোপে। তিনটি বিদেশি ক্রেতাপ্রতিষ্ঠান নিজেদের উদ্যোগে সরাসরি চট্টগ্রাম থেকে ইউরোপের বন্দরে এই জাহাজ সার্ভিস চালু করেছে। এর মধ্যে একটি ইতালি, একটি সুইজারল্যান্ড এবং একটি ইংল্যান্ডভিত্তিক প্রতিষ্ঠান রয়েছে। চট্টগ্রাম-রটারড্যাম-লিভারপুল রুটে পণ্য পরিবহনে নিয়োজিত কম্পানির শিপিং এজেন্ট ফনিক্স শিপিংয়ের প্রধান নির্বাহী ক্যাপ্টেন সৈয়দ সোহেল হাসনাত বলেন, ‘আমাদের সার্ভিসটি গত দুই মাস অনিয়মিতভাবে চলছে। অক্টোবরে আমাদের কোনো জাহাজ চলবে না। নভেম্বর থেকে আশা করছি আবারও সার্ভিস শুরু হবে। পণ্য পরিবহন কমে আসায় বিশ্বে সবগুলো শিপিং লাইনের ভাড়া ৪০ শতাংশ পর্যন্ত কমেছে।’ জানা গেছে, চট্টগ্রাম বন্দর থেকে ইতালির রাভেনা বন্দরে প্রথম সরাসরি কনটেইনার জাহাজ সার্ভিস চালু হয় গত ৭ ফেব্রæয়ারি ২০২২ সালে। সেই ধারাবাহিকতায় চট্টগ্রাম থেকে সরাসরি ইতালি, চট্টগ্রাম-বার্সেলোনা,চট্টগ্রাম-নেদারল্যান্ডস, চট্টগ্রাম-ইংল্যান্ড রুটে পণ্য পরিবহন শুরু হয়। এর মধ্যে সবচেয়ে বেশি পণ্য পরিবহন করে চট্টগ্রাম-ইতালি সার্ভিস। সার্ভিসটির শিডিউল ধরে রেখেছে উদ্যোক্তা প্রতিষ্ঠান রিফ লাইন।
রিফ লাইনের পরিচালক আবুল কালাম আজাদ বলেন, ‘আমাদের সার্ভিস বন্ধ হয়নি। তবে রপ্তানি কার্গো বুকিং অনেক কমেছে। প্রতি দুই মাসে আমরা তিনটি ট্রিপ চালাই ইতালি রুটে। পণ্য বুকিং কমে যাওয়ায় সেটি ধরে রাখা যাবে না। তখন হয়তো ট্রিপ কমিয়ে সার্ভিস চালু রাখতে হবে।’ শিপিং এজেন্ট রিলায়েন্স শিপিং অ্যান্ড লজিস্টিকসের চেয়ারম্যান মোহাম্মদ রাশেদ বলেন, ‘আমাদের সাড়া ভালো। সার্ভিস কমিয়েছে আরেকটি লাইন। তবে বৈশ্বিক যে মন্দা শুরু হয়েছে, জাহাজগুলো ভাড়ায় তার প্রভাব এখানেও পড়বে। এখন পর্যন্ত ১১ হাজার একক রপ্তানি পণ্যভর্তি কনটেইনার আমরা দুই সার্ভিসে পাঠিয়েছি।’