ইউরোপের বাতাসে কমেছে দূষণ প্রাণ বেঁচেছে ১১ হাজার মানুষের

39

করোনাভাইরাসের প্রকোপ ঠেকাতে ইউরোপের বিভিন্ন দেশে লকডাউন জারি করায় সেখানকার বাতাসে দূষণের পরিমাণ কমে গেছে। আর তাতে গোটা ইউরোপে দূষণজনিত কারণে মৃত্যুর সংখ্যা অন্ততপক্ষে ১১ হাজার কমেছে। সেন্টার ফর রিসার্চ অন এনার্জি অ্যান্ড ক্লিন এয়ারের এক গবেষণা প্রতিবেদনে এমন দাবি করা হয়েছে।
বায়ু দূষণজনিত কারণে ইউরোপে প্রতি বছর প্রায় ৪ লাখ ৭০ হাজার মানুষের মৃত্যু হয়। তবে এ বছর করোনাভাইরাসের প্রকোপকে কেন্দ্র করে বিভিন্ন দেশে চলছে লকডাউন। জনগণকে বাসাতেই অবস্থানের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। লকডাউনের কারণে বিভিন্ন দেশের সড়কে যানবাহনের সংখ্যা উল্লেখযোগ্য হারে কমে গেছে। সেন্টার ফর রিসার্চ অন এনার্জি অ্যান্ড ক্লিন এয়ারের প্রতিবেদনে বলা হয়, গত বছরের এ সময়ের তুলনায় বাতাসে নাইট্রোজেন ডাই অক্সাইডের মাত্রা ৪০ শতাংশ কমেছে। পিএম২.৫ এর পরিমাণও ১০ শতাংশ কমেছে। এর মানে হলো, যারা কোভিড-১৯ আক্রান্ত নন, তারা খুব সহজে শ্বাস নিতে পারছেন। বাতাসকে দূষণকারী এ দুই উপাদান মানুষের হৃদপিন্ড ও শ্বাস ব্যবস্থাকে দুর্বল করে দেয়।
প্রতিবেদনে আরও বলা হয়, ইউরোপে বাতাসের দূষণ কমে যাওয়ায় গত বছরের চেয়ে এবার অ্যাজমায় আক্রান্ত হওয়া শিশুর সংখ্যা ৬ হাজার কমেছে। ১৯০০ মানুষ হাসপাতালের ইমার্জেন্সি বিভাগ এড়াতে পেরেছে। অপরিণত অবস্থায় জন্মগ্রহণকারী শিশুর সংখ্যা ৬০০ কমেছে। প্রতিবেদনে বলা হয়, বিশ্ব যদি জীবাশ্ম জ্বালানির ব্যবহর থেকে সরে আসতো, তবে হয়তো এমন করেই এক বিশুদ্ধ ও স্বাস্থ্যকর পরিবেশ পাওয়া সম্ভব হতো।