ইউক্রেন-রাশিয়া যুদ্ধ থামাতে মধ্যস্থতায় নামছেন শি জিনপিং?

32

আন্তর্জাতিক ডেস্ক

চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং নিজেকে বৈশ্বিক রাষ্ট্রনায়ক হিসেবে সামনে তুলে ধরছেন। দুই আঞ্চলিক প্রতিদ্বন্দ্বী সৌদি আরব ও ইরানের সম্পর্ক স্বাভাবিক করার চুক্তিতে তার দেশ মধ্যস্থতা করেছে। একই সঙ্গে বিশ্বের বৃহত্তম নিরাপত্তা চ্যালেঞ্জগুলোর অবসানে চীনা সমাধান ও জ্ঞানের মহিমা ঊর্ধ্বে তুলে ধরছেন তিনি। এবার শি জিনপিং নিজেকে ইউক্রেনে রাশিয়ার যুদ্ধের কেন্দ্রবিন্দুতে নিয়ে এসেছেন। দীর্ঘ লড়াই অবসানে সম্ভবত তিনি মধ্যস্থতাকারীর ভূমিকা নেবেন।
রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের আমন্ত্রণে ২০ থেকে ২২ মার্চ রাশিয়া সফর করবেন চীনা প্রেসিডেন্ট। মস্কো সফরের পর তিনি ইউক্রেনীয় প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কির সঙ্গে ফোনালাপ করবেন। ইতোমধ্যে চীন একটি শান্তি প্রস্তাব হাজির করেছে। যদিও এতে সংঘাতের গুরুত্বপূর্ণ কিছু বিষয় সম্পর্কে বিস্তারিত উল্লেখ করা হয়নি। যেমন, আঞ্চলিক অখন্ডতার প্রতি শ্রদ্ধাশীল থাকার আহŸান থাকলেও রুশ সেনারা ইউক্রেনের দখলকৃত ভূখন্ড ছাড়বে কিনা তা স্পষ্ট করা হয়নি। শুক্রবার এক চীনা কর্মকর্তা বলেছেন, শি জিনপিংয়ের রাশিয়া সফর ‘শান্তির স্বার্থে ’।
চীনকে সম্ভাব্য রূপান্তরকারী শক্তি হিসেবে বিবেচনা করে রাশিয়া ও ইউক্রেন। উভয় দেশ ভালো করেই জানে, যুদ্ধে যদি দেশটি সরাসরি ভূমিকা রাখতে শুরু করে তাহলে পরিস্থিতি পাল্টে যাবে। বিশেষ করে রাশিয়ার গোলাবারুদের ঘাটতি পুষিয়ে দিতে যদি অস্ত্র সরবরাহ শুরু করে বেইজিং। বেইজিংয়ের রেনমিন ইউনিভার্সিটির আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগের এক অধ্যাপক শি ইয়িনহং বলেন, অতীতের যেকোনও সময়ের তুলনায় শান্তি প্রতিষ্ঠার জন্য বড় শক্তি হিসেবে চীনের আন্তর্জাতিক প্রভাব প্রয়োজনীয়।
রিয়াদ ও তেহরানের মধ্যে চুক্তির মধ্যস্থতা করার পর চীনের বৈশ্বিক গুরুত্ব যে বাড়ছে সেটি অনুধাবনে বেইজিংয়ের মনোভাব প্রতিফলিত হচ্ছে এই মন্তব্যে। যুদ্ধ বন্ধের উদ্যোগে যদি শি জিনপিং গতি আনতে পারেন তাহলে এটি তার আরেকটি প্রয়োজনীয়তা পূরণ করবে: ইউরোপের সঙ্গে বেইজিংয়ের সম্পর্ক জোড়া লাগানো। দেশের অর্থনীতি যখন সংকটে তখন তিনি যুক্তরাষ্ট্রের ঘনিষ্ঠ একটি অঞ্চলের কাছ থেকে চীনকে লক্ষ্য করে বাণিজ্য ও বিনিয়োগে নিষেধাজ্ঞা চান না তিনি।