আ. লীগ সারা দেশে ত্রাসের রাজত্ব সৃষ্টি করেছে : ফখরুল

6

পূর্বদেশ ডেস্ক

আওয়ামী সন্ত্রাসীরা গণতন্ত্রকে নির্বাসিত করতে গণতান্ত্রিক আন্দোলন নস্যাৎ করার জন্য সারাদেশে সন্ত্রাসের রাজত্ব সৃষ্টি করেছে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। গতকাল রবিবার বিকেলে নয়াপল্টনে দলীয় কার্যালয়ের সামনে ঢাকা মহানগর উত্তর ও দক্ষিণ বিএনপির যৌথ উদ্যোগে আয়োজিত প্রতিবাদ সমাবেশে তিনি এসব কথা বলেন।
রাজধানীসহ সারাদেশে বিএনপির কর্মসূচিতে সন্ত্রাসী হামলার প্রতিবাদে দেশব্যাপী প্রতিবাদ সমাবেশের অংশ হিসেবে নয়াপল্টনে এ সমাবেশের আয়োজন করা হয়।ফখরুল বলেন, আমরা সব সময় বলি আওয়ামী লীগ একটা সন্ত্রাসী দল। তাদের জন্মই সন্ত্রাসের মধ্যে দিয়ে। সন্ত্রাস না করলে তারা ক্ষমতায় টিকে থাকতে পারে না। গত ১৫ বছর সন্ত্রাস করে তারা ক্ষমতায় টিকে আছে। তাদের মূল চরিত্রই হলো সন্ত্রাস করা।
তিনি বলেন, আজকে চাল-ডাল-তেলের দাম কমানোর জন্য যে আন্দোলন শুরু হয়েছে। তখন এই আওয়ামী লীগের সরকার তাদের পেটুয়া বাহিনী, হত্যাকারী বাহিনীকে নামিয়ে দিয়েছে। আমরা গত আগস্ট মাস থেকে আন্দোলন করছি। এসময় ভোলাতে দুজনকে হত্যা করা হয়েছে। নারায়ণগঞ্জে যুবদলের নেতাকে হত্যা করেছে। আমাদের স্থায়ী কমিটির সদস্য সেলিমা রহমানকে আহত করেছে, ভাইস চেয়ারম্যান বরকত উল্লাহ বুলু, তাবিথ আউয়ালের রক্ত ঝরিয়েছে। নারী নেত্রীদের পর্যন্ত রেহাই দেয়নি, তাদেরও আঘাত করেছে। খবর বাংলানিউজ’র
মির্জা ফখরুল বলেন, মিয়ানমার বোমা মেরে শেষ করে দিচ্ছে। তারা সীমান্তে বোমা মারছে, আমাদের এখানে আশ্রিত রোহিঙ্গাদের তারা গুলি করছে। সরকার নিরব। নিরব কেন? আসলে এদের (সরকার) কোমর সোজা নাই। জনগণের দ্বারা নির্বাচিত নয় বলে তারা বুক ফুলিয়ে মিয়ানমারের বোমা নিক্ষেপের প্রতিবাদ করতে পারছে না, বিশ্ব জনমতকে এক জায়গায় আনতে পারছে না।
সরকারের উদ্দেশে বিএনপির মহাসচিব বলেন, এখনও সময় আছে পদত্যাগ করে তত্ত¡াবধায়ক সরকারের হাতে ক্ষমতা দিন। সংসদ বিলুপ্ত করে নিরপেক্ষ তত্ত¡াবধায়ক সরকারের অধীনে একটি নির্বাচন কমিশন গঠন করে নিরপেক্ষ নির্বাচনের মধ্যে নিয়ে জনগণ নতুন সংসদ গঠন করবে।
সব রাজনৈতিক দল-গণতন্ত্রকামী মানুষকে আহ্বান জানিয়ে বিএনপির মহাসচিব বলেন, এই ভয়াবহ আওয়ামী সরকার যারা আমাদের সব অর্জনগুলোকে শেষ করে দিচ্ছে, যারা দেশের আত্মাকে বিসর্জন দিয়ে এসেছে। তাদের ক্ষমতা থেকে সরিয়ে জনগণের সরকার প্রতিষ্ঠা করি।