আ. লীগ নেতা মাসুম ২ দিনের রিমান্ডে

60

মহানগর ছাত্রলীগের নেতা সুদীপ্ত বিশ্বাস হত্যা মামলায় গ্রেপ্তার লালখানবাজার ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক দিদারুল আলম মাসুমকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য দুই দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছে আদালত। মহানগর হাকিম আবু সালেহ মোহাম্মদ নোমান গতকাল সোমবার তার রিমান্ড মঞ্জুর করেন।
আদালত সূত্রে জানা যায়, গতকাল সোমবার তাকে আদালতে হাজির করে তদন্ত সংস্থা পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনের (পিবিআই) পক্ষ থেকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ১০ দিনের হেফাজত চাওয়া হয়।
অ্যাড. কাজী ছানোয়ার হোসেন লাভলু, মাসুমের বাবা অ্যাড. আবদুল হক, চন্দন তালুকদার, দীর্ঘতম বড়ুয়াসহ প্রায় ১৯-২০ জন আইনজীবী রিমান্ডের বিরোধিতা করে শুনানি করেন। তারা বলেন, মাসুম এলাকায় ও নগরীতে অত্যন্ত জনপ্রিয় একজন নেতা। ভবিষ্যতে তিনি বিভিন্ন নির্বাচনী পদে প্রতিদ্ব›িদ্বতা করার পরিকল্পনা রয়েছে। তার রাজনৈতিক ক্যারিয়ার ধ্বংস করার উদ্দেশ্যে রাজনৈতিক প্রভাবশালী মহল ষড়যন্ত্রমূলকভাবে তাকে সুদীপ্ত হত্যা মামলায় ফাঁসিয়ে দিচ্ছে বলে শুনানিতে উল্লেখ করেন।
অ্যাড. আবদুল হক বলেন, আমার ছেলে ষড়যন্ত্রের শিকার। তিনি জানান, আমার ছেলে মাসুমের হার্টে দু’টি রিং পড়ানো হয়েছে। নিয়মিত ওষুধ না খেয়ে তার মরণাপন্ন অবস্থা হতে পারে। তিনি বলেন, ষড়যন্ত্র করে আমার ছেলেকে ফাঁসানোর চেষ্টা করা হচ্ছে।
শুনানি শেষে বিচারক আবু সালেহ মোহাম্মদ নোমান সুদীপ্ত হত্যা মামলায় মাসুমকে দুই দিনের রিমান্ডে নেওয়ার অনুমতি দেন বলে জানান আদালত পুলিশের সহকারী কমিশনার কাজী শাহাবুদ্দিন আহমেদ।
জানা যায়, গত রবিবার রাতে ঢাকার বনানী এলাকা থেকে লালখান বাজার ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক দিদারুল আলম মাসুমকে গ্রেপ্তার করে পিবিআই সদস্যরা। ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সভাপতি ও স্থানীয় ওয়ার্ড কাউন্সিলরের অভিযোগের প্রেক্ষিতে গত ৩১ জুলাই মাসুমের অস্ত্রের লাইসেন্স বাতিল করে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। পরবর্তীতে খুলশী থানায় গিয়ে অস্ত্রটি জমা দিয়ে আসেন মাসুম।
১৯৯৭-৯৮ সালে সিটি কলেজ ছাত্রলীগের সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব পালন করা মাসুম বর্তমানে মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সিটি মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দিনের অনুসারী হিসেবে পরিচিত। ২০১৭ সালের ৬ অক্টোবর সকালে নগরীর দক্ষিণ নালাপাড়ার বাসা থেকে ডেকে নিয়ে পিটিয়ে হত্যা করা হয় নগর ছাত্রলীগের সহ-সম্পাদক সুদীপ্ত বিশ্বাসকে। এ ঘটনায় সুদীপ্তর বাবা মেঘনাথ বিশ্বাস বাবুল বাদী হয়ে সদরঘাট থানায় অজ্ঞাত পরিচয় সাত-আটজনকে আসামি করে একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। হত্যাকান্ডের এক বছর পর বাদীর আবেদনের প্রেক্ষিতে আদালত পিবিআইকে মামলাটি তদন্তের দায়িত্ব দেয়। গত বছরের নভেম্বর মাস থেকে পিবিআই মামলার তদন্ত শুরু করে।