আ. লীগের মন্ত্রিপরিষদ অনভিজ্ঞ

16

ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ সরকারের মন্ত্রিপরিষদ অনভিজ্ঞ বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। তিনি বলেন, “আওয়ামী লীগ সরকার নতুন যে মন্ত্রিপরিষদ তৈরি করেছে, তাতে বেশির ভাগই অনভিজ্ঞ। তারা প্রফেশনাল নন। তাতে যেটা হয়েছে, একটা দেশে যখন রাজনৈতিক অস্থিতিশীলতা থাকে, সে অবস্থায় দেশ পরিচালনার জন্য যে কৌশল, যে প্রজ্ঞা প্রযোজন হয়, এটা আমরা অনুপস্থিত লক্ষ করছি।”
গতকাল মঙ্গলবার সকালে ঠাকুরগাঁও শহরের কালীবাড়ির বাড়িতে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এ মন্তব্য করেন। খবর বিডিনিউজের
ফখরুল বলেন, “বাংলাদেশ একটা কল্যাণমূলক রাষ্ট্র। এটা পরিচালনার বিষয়টা নিঃসন্দেহে প্রফেশনাল ব্যাপার। যে কারণে আমরা দেখি উন্নত দেশগুলো যেটা করে, তারা বিভিন্ন সেক্টর-ডিসিপ্লিন থেকে লোকজন নিয়ে এসে মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব দেয়। অনেক উন্নয়শীল দেশে এমনকি আমাদের দেশেও বর্তমান সরকারের আগে পর্যন্ত প্রফেশনাল লোকজনকে অর্থ মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছিল। এবারের মন্ত্রিপরিষদ গঠনের সময়, তাদের কী বাধ্যবাধকতা ছিল জানি না। কিছু মন্ত্রী যে উক্তি করছেন, তা যে কী প্রভাব বিস্তার করতে পারে জনগণের মধ্যে, অর্থনীতিতে, বা তাদের মন্ত্রিপরিষদে, তা তারা লক্ষ করেন না। এখানে সবকিছুই একটা ডায়মেনশনে কাজ করছে মনে হয়। সেটা হল, ইটস এ ওয়ান পার্টি রুল, ওয়ান পারসন রুল। আর কিছু দরকার নেই। প্রধানমন্ত্রী যা বলবেন, তাই হবে। তিনি সবকিছু করবেন।”
বিএনপি নেতা বলেন, “এভাবে এ রাষ্ট্র চলতে পারে না। ফলে এ দেশে সুশাসনের অভাব দেখা দিয়েছে। সুশাসন না থাকলে দেশ একটা ব্যর্থ রাষ্ট্রের দিকে চলে যায়। বাংলাদেশকে এখন পুরোপুরি ব্যর্থ রাষ্ট্র বলা যেতে পারে। কারণ সরকার সব জায়গাতেই ফেল করে যাচ্ছে। সড়কে বলেন আর আর্থিক ব্যবস্থাপনায় বলেন, আমরা কখনোই দেখিনি যে এনবিআরের চেয়ারম্যানকে দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণে বসতে হয়। তারা বসে বলছেন, সব ঠিক আছে। কিন্তু কিছুই তো ঠিক নেই। এই সরকার সব ক্ষেত্রে ব্যর্থ হয়েছে। ব্যর্থতার মূল কারণ তারা জনগণের দ্বারা নির্বাচিত নয়। ব্যর্থতার দায় নিয়ে সরকারের পদত্যাগ করা উচিত।“
ফখরুলের সঙ্গে জেলা বিএনপির সভাপতি মো. তৈমুর রহমান, সহ-সভাপতি নূর-ই-শাহদাৎ, সদর থানা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক আব্দুল হামিদ ছিলেন।