আ.লীগকে না সরালে জনগণ স্বস্তি পাবে না : ফখরুল

11

পূর্বদেশ ডেস্ক

নিত্যপণ্যের দাম আকাশচুম্বী জানিয়ে বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, সব ক্ষেত্রে ব্যর্থ আওয়ামী লীগ সরকারকে সরাতে না পারলে দেশের জনগণ স্বস্তি পাবে না। গতকাল শনিবার জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতির প্রতিবাদে ঢাকা মহানগর দক্ষিণ ও উত্তর বিএনপি আয়োজিত প্রতীকী অনশন কর্মসূচিতে তিনি এ কথা বলেন।
বিএনপি মহাসচিব বলেন, এই সরকার জনগণকে স্বস্তি দিতে ব্যর্থ হয়েছে।নিত্যপণ্যের দাম কমাতে তারা ব্যর্থ হয়েছে। কাল (আজ) থেকে রোজা। কিন্তু সীমাহীন ব্যর্থতা আর সরকারের লোভের কারণে নিত্যপণ্যের দাম আকাশচুম্বী। এই ভয়াবহ অবস্থা সৃষ্টিকারী আওয়ামী লীগকে সরাতে না পারলে জনগণ স্বস্তি পাবে না।তিনি বলেন, এই গণঅনশনের মাধ্যমে এই সরকারকে পরাজিত করতে হবে। এই সরকারকে জানাতে হবে, তাদের ওপর জনগণের আস্থা নেই, তাদের ক্ষমতা থেকে সরে যেতে হবে। পদত্যাগ করে, নির্দলীয় সরকারের অধীনে নির্বাচনের ব্যবস্থা করে জনগণের সরকার প্রতিষ্ঠা করতে হবে।
বিএনপি মহাসচিব বলেন, এই সরকার কী করছে? তাদের লাগামহীন লোভ এবং তাদের সিন্ডিকেটের লোভের কারণে প্রতিটি জিনিসের দাম আকাশচুম্বী হয়ে গেছে।
তিনি আরও বলেন, অনির্বাচিত আওয়ামী লীগ সরকার আজকে ভয়াবহ অবস্থার সৃষ্টি করেছে। তাদের যদি আমরা পরাজিত করতে না পারি, তাদের যদি ক্ষমতা থেকে সরিয়ে দিতে না পারি, তাহলে এ দেশের মানুষের অস্তিত্ব থাকবে না। খবর বাংলানিউজের।
ঢাকা মহানগর উত্তর বিএনপির আহŸায়ক ডাকসুর সাবেক ভিপি আমান উল্লাহ আমানের সভাপতিত্বে ও সদস্য সচিব আমিনুল হকের সঞ্চালনায় অন্যদের মধ্যে বক্তব্য দেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য খন্দকার মোশাররফ হোসেন, গয়েশ্বর চন্দ্র রায়, নজরুল ইসলাম খান, ড. আব্দুল মঈন খান, বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট আহমেদ আযম খান, ডা. এজেড এম জাহিদ হোসেন, ঢাকা মহানগর দক্ষিণ বিএনপির আহŸায়ক আব্দুস সালাম, যুগ্ম-মহাসচিব খায়রুল কবির খোকন, সাংগঠনিক সম্পাদক ফজলুল হক মিলন, সমাজকল্যাণ বিষয়ক সম্পাদক কামরুজ্জামান রতন, স্বেচ্ছাসেবক বিষয়ক সম্পাদক মীর সরাফত আলী সপু, প্রচার সম্পাদক শহীদ উদ্দিন চৌধুরী এ্যানি, বিএনপির সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক আবদুস সালাম আজাদ, সহ-প্রচার সম্পাদক কৃষিবিদ শামীমুর রহমান, সহ-গণশিক্ষা বিষয়ক সম্পাদক আনিসুর রহমান তালুকদার খোকন, যুবদলের সভাপতি সাইফুল আলম নীরব, সাধারণ সম্পাদক সুলতান সালাউদ্দীন টুকু, জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের নেতা নাগরিক ঐক্যের আহŸায়ক মাহমুদুর রহমান মান্না, ২০ দলীয় জোটের শরীক জাতীয় পার্টির (জাফর) চেয়ারম্যান মোস্তফা জামাল হায়দার, জামায়াতের মহানগর নেতা নুরুল ইসলাম বুলবুল, বাংলাদেশ লেবার পার্টির চেয়ারম্যান মুস্তাফিজুর রহমান ইরান, এনপিপির সভাপতি ড. ফরিদুজ্জামান ফরহাদ, বাংলাদেশ জাতীয় দলের চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট সৈয়দ এহসানুল হুদা, জাগপার সভাপতি খন্দকার লুৎফর রহমান, বাংলাদেশ ডেমোক্রেটিক লীগের মহাসচিব সাইফুদ্দিন মনি প্রমুখ।
পরে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক ভিসি ড. আনোয়ার উল্লাহ চৌধুরী বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরকে পানি পান করিয়ে অনশন ভঙ্গ করান।
মারধরের শিকার জামায়াত নেতা
এদিকে বিএনপির প্রতীকী অনশনে ২০ দলীয় জোটের শরিক জামায়াতের নেতাকর্মীরাও সংহতি জানাতে আসেন।
তবে দলটির ঢাকা মহানগর দক্ষিণের আমির নূরুল ইসলাম বুলবুলকে পৌঁছে দিতে এসে মারধরের শিকার হয়ে আহত হয়েছেন তিনজন জামায়াত নেতা। তাদের সম্পর্কে বিস্তারিত জানা যায়নি।
জানা গেছে, বিএনপির অনশনে যোগ দিতে নূরুল ইসলাম বুলবুল অনশন মঞ্চের দিকে গেলে বুলবুলকে ফুটপাতে চেয়ারে বসতে বলা হয়। এ সময় যুবদলের কয়েকজন নেতা বুলবুলের ওপর চড়াও হন এতে অন্য জামায়াত নেতারা আহত হন। তবে হামলার পর বিএনপির নেতাদের সঙ্গে অনশনে ছিলেন নূরুল ইসলাম বুলবুল।