‘আহমদ ছফা এদেশের মানুষের হৃদয়ে বেঁচে থাকবেন অনন্তকাল’

107

চট্টগ্রামের বিভাগীয় কমিশনার মো. আবদুল মান্নান বলেছেন, সাহিত্যিক আহমদ ছফা তার সৃষ্টির মাধ্যমে ইতিমধ্যে আমাদের সংস্কৃতিতে অমরত্ব লাভ করেছেন। এই চট্টগ্রামের চন্দনাইশে তিনি জন্মগ্রহণ করে চন্দনাইশকে বিশ্বব্যাপী পরিচিত করেছেন। আহমদ ছফা রাষ্ট্র বিজ্ঞান থেকে এম এ পাশ করেছিলেন। তার মধ্যে কিছুটা পাগলামি ছিল। কিন্তু সত্যতা ও প্রজ্ঞা ছিল প্রকট। তার লেখনি বিশ্বব্যাপী ছড়িয়ে পড়েছে। তিনি সাহসী লেখক ছিলেন। যতদিন বাংলাদেশ থাকবে ততদিন সাহিত্যিক আহমদ ছফা এদেশের মানুষের হৃদয়ে বেঁচে থাকবেন। তিনি কোন সংসার জীবন করেননি বাংলাদেশের সকল শিক্ষার্থীকে নিজের সন্তান মনে করতেন। গাছবাড়িয়া স্কুলের লাইব্রেরী থেকে বই পড়েই আহমদ ছফার জ্ঞানের সঞ্চার হয় এবং জ্ঞানের লেখালেখি শুরু করেন। আহমদ ছফাকে সবাই সাহিত্যিক বলেন, তিনি সাহিত্যিক ছিলেন, কবি ছিলেন, সাংবাদিক ছিলেন, প্রবন্ধকার ছিলেন, তিনি অনেক কিছু ছিলেন, আবার অনেক কিছু ছিলেন না। তার লেখালেখি বিভিন্ন ভাষায় অনুবাদ হয়েছে। তিনি পত্রিকায় অসংখ্য প্রবন্ধ লেখেছেন। এসব প্রবন্ধে বাংলাদেশের চিত্র তুলে ধরা হয়েছে। তিনি ছিলেন স্পষ্টবাদী, তিনি কাউকে পরোয়া করে কথা বলতেন না। এজন্য তার শত্রæও ছিল। স্বাধীনতার পরে ৩ জন বিখ্যাত লেখক তারা একসাথে শপথ নিয়েছিলেন। তারা দেশের জন্য অনেক কিছু করবেন। তিনজনই লেখালেখি করে দেশের জন্য অবদান রাখবেন। বিয়ে না করার শপথও নিয়েছিলেন। তারা হলেন আহমদ ছফা, হুমায়ুন আহমেদ, আনিচ সাবেদ। কিন্তু তিনজনের মধ্যে শপথ রক্ষা করতে পেরেছিলেন শুধুই আহমদ ছফা। এটা হুমায়ুন আহমেদ ও আনিচ সাবেদ তাদের লেখাতেই বলতেন। তিনি বলেন, শতাব্দিতে দুএকজন আহমদ ছফা জন্ম নেয়। আহমদ ছফার দর্শন আমাদের মনে জাগ্রত করতে হবে। গত শনিবার বিকেলে সাহিত্যিক আহমদ ছফা’র ১৮তম প্রয়ান দিবস উপলক্ষে চন্দনাইশের গাছবাড়িয়া নিত্যানন্দ গৌরচন্দ্র মডেল সরকারি উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে স্মারক আলোচনা সভা, সাংস্কৃতিক প্রতিযোগিতা ও পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়। এতে প্রধান অতিথি ছিলেন চট্টগ্রামের বিভাগীয় কমিশনার মোঃ আবদুল মান্নান। সাহিত্যিক আহমদ ছফা স্মরণসভা পরিষদের উদ্যোগে আয়োজিত এ অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন চন্দনাইশ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আ. ন. ম. বদরুদ্দোজা। স্মরণসভা পরিষদের সদস্য সচিব নুরুল আলমের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন শিক্ষক শাহাজাহান আজাদ। বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন পটিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা হাবিবুল হাসান, সহকারি কমিশনার (ভূমি) নিবেদিতা চাকমা, চন্দনাইশ পৌরসভার মেয়র মাহাবুবুল আলম খোকা, সাবেক মহিলা কাউন্সিলর এড. রেহেনা বেগম রানু, বাংলাদেশ ব্যাংকের ডেপুটি জেনারেল ম্যানেজার একরাম হোসেন, বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক নুর মোহাম্মদ, লেখক ও গভেষক শামসুল আরেফীন, একাডেমিক সুপার ভাইজার দীপেন চন্দ্র রায়, সহকারী প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা হাসান আলম মামুন, ডা. আবু রাশেদ মো. নুরুদ্দীন, বিষ্ণু যশা চক্রবর্ত্তী, মোহাম্মদ মতিন, ছৈয়দ শিবলী ছাদেক কপিল, মাওলানা মোজাহেরুল কাদের, যিতেন্দ্র নাথ বড়–য়া, শিক্ষক গাজী বোরহান উদ্দীন, আবুল বশর, অনুপম চক্রবর্ত্তী, সরওয়ার আহসান, শওকতুল ইসলাম প্রমুখ।