আস্থার আওয়ামী লীগ পঙ্গপাল মুক্ত হোক

87

সালাহ্উদ্দিন আহমদ চৌধুরী লিপু

ঐতিহ্যে লালিত এবং উপমহাদেশের ৭২ বছরের প্রচীনতম ও বৃহত্তম সংগঠন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ। জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান জেল, জুলুম, নির্যাতন ও ফাঁসির কাষ্ঠকে উপেক্ষা একং বাঙালি জাতিকে স্বাধীনতার মন্ত্রে উজ্জীবিতের করে রক্তক্ষয়ী মুক্তিযুদ্ধের মধ্যেমে স্বাধীন সার্বভৌম বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠা করেন। ১৯৭১ সালের ১০ এপ্রিল বঙ্গবন্ধুকে রাষ্ট্রপতি করে বাংলাদেশের অস্থায়ী সরকার গঠন করা হয় এবং ১৭ এপ্রিল মেহেরপুরের বৈদ্যনাথতলার আম্রকাননে শপথ গ্রহণের মাধ্যমে উক্ত অস্থায়ী সরকারের কার্যক্রম আরম্ভ হয়। ১৯৭২ সালের ১০ জানুয়ারি বঙ্গবন্ধু স্বদেশ প্রত্যাবর্তন করে ১১ জানুযারি পর্যন্ত বাংলাদেশের প্রথম রাষ্ট্রপতি ছিলেন। তিনি ১৯৭২ সালের ১২ জানুয়ারি হতে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্বভার গ্রহণ করে সরকার পরিচালনা করাকালিন সময়ে বিশ্বাসঘাতকের দল ১৯৭৫ সালের ১৫ আগষ্ট বঙ্গবন্ধুকে স্বপরিবারে হত্যা করে। এরপর অনেক সংগ্রাম, ত্যাগ,তীতিক্ষা ও রক্তের বিনিময়ে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ জননেত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে ১৯৯৬ সালের ২৩ জুন, ভূমিধস বিজয়ের পর ২০০৯ সালের ৬ জানুয়ারি, ২০১৪ সালের ১২ জানুয়ারি, ২০১৯ সালের ০৭ জানুয়ারি সর্বমোট পাঁচ মেয়াদে সরকার গঠন করে।
বর্তমানে দলের অভ্যন্তরে অশুভ শক্তি ও পঙ্গপাল ভর করেছে এবং সে অশুভ শক্তির অপতৎপরতা দিন দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে। ক্যাসিনো কান্ড ঘটিয়ে দলকে বির্তকিত করেছেন ফ্রিডম পার্টি থেকে যুবলীগে অনুপ্রবেশকারি ঢাকা মহানগর দক্ষিণ যুবলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক খালেদ মাহমুদ ভূঁইয়া, বিএনপি নেতা মির্জা আব্বাসের ডানহাত হিসেবে পরিচিত আন্ডারওয়ার্ল্ডের মাফিয়া ডন জি, কে শামীম, কৃষকলীগের কেন্দ্রিয় নেতা শফিকুল আলম, আওয়ামীলীগ নেতা এনামুল হক এনু ও তার সহোদর ভ্রাতা রূপন ভূঁইয়া, খালেদা জিয়ার সাবেক প্রধান নিরাপত্তাকর্মি, বিসিবি পরিচালক লোকমান হোসেন ভূঁইয়া, যুবলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মমিনুল হক সাঈদ, অনলাইন ক্যাসিনোর হোতা ও মাফিয়া ডন সেলিম প্রধান। ঢাকা মহানগর দক্ষিণ যুবলীগের সভাপতি, ক্যাসিনো সম্রাট ইসমাইল হোসেন সম্রাট, যুবলীগ নেতা আরমান, ১৯৮৯ সালে ধানমন্ডিতে তৎকালিন ফ্রিডম পাটির সাথে বিরোধীদলীয় নেত্রী শেখ হাসিনাকে প্রাণনাশের চেষ্টাকারি ফ্রিডম পাটির সাবেক ক্যাডার ও ডিসিসি’র সাবেক ওয়ার্ড কাউন্সিলার হাবিবুর রহমান মিজান, যুবলীগের সাবেক চেয়ারম্যান ওমর ফারুক চৌধুরী, যুবলীগের দপ্তর সম্পাদক ও ক্যাশিয়ার হিসেবে খ্যাত কাজি আনিসুর রহমান, যুবলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক ও ডিসিসি’র সাবেক ওয়ার্ড কাউন্সিলার মমিনুল হক সাঈদ,এরা সকলে ক্ষমতার পালা বদলের সাথে সাথে আওয়ামীলীগ, যুবলীগে ভীড়ে যান। এরপর বহুল আলোচিত অনুপ্রবেশকারি নরসিংদী জেলা যুব মহিলা লীগের সাধারণ সম্পাদক শামীমা নুর পাপিয়া ওরফে পিউ। সে দাপটের সঙ্গে চরম নির্লজ্জভাবে নষ্ট রাজনীতির নরক যাত্রায় নেমে পতিতাবৃত্তির সাম্রজ্য গড়ে তুলেছিল। তিনি পতিা বাণিজ্য, বø্যাকমেলিং ও অন্যান্য অপরাধের মাধ্যমে শতকোটি টাকার মালিক হয়েছিলেন। যা উন্মোচিত হয়েছে তাকে গ্রেফতারের মাধ্যমে।
একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ও উপ-নির্বাচনে দেখা গেছে, অরাজনীতিক এবং বিতর্কিত ব্যক্তিও মনোনয়ন পেয়েছেন। এখন সেসব বিতর্কিত ব্যক্তিদের অবৈধ কর্মকান্ড ধীরে ধীরে প্রকাশ পাচ্ছে। যেমন- অরাজনীতিক ব্যক্তি হয়ে অবৈধ অর্থের জোরে কাজী শহিদুল ইসলাম পাপুল লক্ষীপুর-২ সংসদীয় আসন ও তার সহধর্মিনী সেলিনা ইসলাম সংরক্ষিত আসন হতে স্বতন্ত্র সাংসদ নির্বাচিত হয়। অর্থ, মানবপাচার, দুর্নীতি, স্বনামে, বেনামে অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগে গত ০৬ জুন কুয়েত সরকার স্বতন্ত্র সাংসদ কাজী শহিদুল ইসলাম পাপুলকে গ্রেফতার করেছে। তিনি মানবপাচার ও অবৈধ উপায়ে ১৪০০ কোটি টাকা উপার্জন করেছেন। ৫০ কেটির শেযার ক্রয় করে তিনি এবং তার সহধর্মিনী এনআরবি কমর্শিয়াল ব্যাংকের পরিচালক হয়েছেন। বাংলাদেশে দুদক তার পরিবারের সম্পদের অনুসন্ধানে নেমেছে। যা বহির্বিশ্বে বাংলাদেশের ভাবমূর্তি চরমভাবে ক্ষুন্ন করেছে। এছাড়া বর্তমান সংসদের অনেক সাংসদ ও মন্ত্রী পরিষদের কতেক সদস্যদের বিরুদ্ধে রয়েছে নানা অভিযোগ। যা বিভিন্ন সংবাদ মাধ্যমে প্রকাশিত হয়েছে।
বহুল আলোচিত করোনা সনদ কেলেঙ্কারিতে জড়িত প্রতারক আইডল ও রিজেন্ট হাসপাতালের চেয়ারম্যান মোঃ সাহেদ গত ১৫ জুলাই সাতক্ষীরার দেবহাটা থেকে অবশেষে আটক করেছে র‌্যাব। তার বিরুদ্ধে জালিয়াতি সহ বিভিন্ন অভিযোগে ৩২টি মামলা ইতিপূর্বে দায়েরি ছিল। তিনি এমএলএমের নামে ৫০০ কোটি টাকা হাতিয়ে নিয়ে জেল খাটেন। মোঃ সাহেদ নানা পরিচয়ে কখনো অবসরপ্রাপ্ত সেনা কর্মকর্তা, কোথাও প্রধানমন্ত্রীর সাবেক এপিএস, কোথাও সচিব, আবার অনেকের কাছে মিডিয়া ব্যক্তিত্ব, কখনো রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব পরিচিত ছিলেন। জানা যায়, তার নিয়মিত যোগাযোগ ছিল হাওয়া ভবনে থাকার সুবাধে ২০০৭ সালে রিজেন্ট হাসপাতালের অনুমোদন পান। ইতিপূর্বে র‌্যাব হাসপাতাল সিলগালা করেছে। তাছাড়া করোনা ভাইরাসের নমুনা পরীক্ষা কেলেঙ্কারিতে জড়িত থাকার অপরাধে জেকেজি হেলথ কেয়ারের চেয়ারম্যান ডাঃ সাবরিনকে পুলিশ গত ১২ জুলাই গ্রেফতার করেছে। তিনি জাতীয় হৃদরোগ ইনস্টিটিউটের কার্ডিয়াক সার্জারি বিভাগের রেজিষ্টার পদে কর্মরত ছিলেন। তিনি অভিযুক্ত হওয়ার পর হৃদরোগ ইনস্টিটিউট তাকে বর্তমানে তার পদ থেকে বরখাস্ত করেছে। একই অপরাধে জেকেজির প্রধান নির্বাহী ও ডাঃ সাবরিনার স্বামী আরিফুল চৌধুরী সহ ৬জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। পুলিশ অভিযান চালিয়ে ১৫,৪০০ ভুয়া রিপোর্ট তৈরির আলামত পাওয়ায় উক্ত প্রতিষ্ঠান সিলগালা করে দিয়েছে। অভিযুক্ত মোঃ সাহেদ, ডাঃ সাবরিনা ও আরিফুল সিন্ডিকেট এসব ভূয়া সনদ বিক্রি করে প্রায় ৭ কোটি টাকা বিভিন্ন জন থেকে হাতিয়ে নিয়েছে। তারা অবৈধ হাজার কোটি টাকার টাকার মালিক হয়েছেন। করোনাকালে এরা জীবন নিয়ে ছিনিমিনি খেলেছেন। মোঃ সাহেদ রাষ্ট্রপতি, প্রধানমন্ত্রী, বিভিন্ন মন্ত্রী, সচিব আমলাদের সাথে ছবি তোলে সে ছবি দিয়ে বিভিন্ন জনের সাথে প্রতারণা করতেন। বিভিন্ন চ্যানেলের টকশোতে আওয়ামী লীগের নেতা হিসেবে অতিথি হয়ে দুর্নীতির বিরুদ্ধে তিনি বক্তব্য রেখেছেন। যা রূপকথার গল্পকে হার মানিয়েছে। এসব সিন্ডিকেট, মাফিয়া ডন, ব্যাংক লুটেরা, মজদুদার, মাদক ব্যবসায়ী, চোরাকারবারি, শেয়ার বাজার কেলেঙ্কারির হোতা, দুর্নীতিবাজ সরকারি আমলা, কর্মকর্তা, জনপ্রতিনিধি, ভূমিদস্যূ, অর্থ পাচারকারি, চাঁদাবাজ, সন্ত্রাসী ও মানবপাচারকারিরা আওয়ামী লীগকে অবৈধ অর্থ উপার্জনের ঢাল হিসেবে ব্যবহার করছে। এরা অবৈধ অঢেল সম্পদের মালিক হয়েছেন। এরা অবৈধ অর্জিত অর্থ বিদেশে পাচার করেছে। তবে প্রধানমন্ত্রী অপরাধীদের বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্সের কারণে একে একে ধরা পড়েছে অপরাধ জগতের বরপুত্ররা। দুর্নীতিবিরোধী অভিযানে প্রধানমন্ত্রীর দৃঢ়তা প্রকাশ পেয়েছে তা সাধুবাদযোগ্য। ইতিপূর্বে আওয়ামী লীগের সহযোগি ও ভ্রাতৃপ্রতিম সংগঠনের অনেকের বিতর্কিত কর্মকান্ডের কারণে যুবলীগ, ছাত্রলীগ, স্বেচ্ছাসেবক লীগের শীর্ষ নেতৃত্ব পদ পদবি হারিয়েছেন। দলের অভ্যন্তরে ঘাপটি মেরে থাকা মাফিয়া, লুঠেরা সুবিধাবাদী ও পঙ্গপালদের চিহ্নিত করে অবিলম্বে তাদের বিরুদ্ধে সাংগঠনিক ও আইনগত ব্যবস্থা নেয়া জরুরী হয়ে দাঁড়িয়েছে। পত্রিকা সূত্রে জানা যায়, আওয়ামী লীগ শিঘ্রই পুণরায় দলে শুদ্ধি অভিযানে নামবে।
জনগণের আস্থার ঠিকানা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা অভিজ্ঞতা, প্রজ্ঞা, মেধা, বিচক্ষণতা, সততা, আত্মপ্রত্যয় ও দুরদর্শিতার কারণে এখন বিশ্ব নেত্রী। তিনি আজ নানা ক্ষেত্রে বাংলাদেশকে অন্যন্য উচ্চতায় নিয়ে গেছেন, যে কারণে বাংলাদেশ আজ বিশ্বের জন্য রোল মডেল। দেশ ও বিশ্ব পরিমন্ডলে শেখ হাসিনা আজ গণতন্ত্র, উন্নয়ন, ন্যায় বিচার ও শান্তির প্রতিক। আজ গণমানুষের আস্থা অর্জন করেছে বাংলাদেশ আওয়ামীলীগ। জননেত্রী শেখ হাসিনা স্বৈরশাসনের বিরুদ্ধে আন্দোলন সংগ্রামের মাধ্যমে সংসদীয় গণতন্ত্র পুণঃপ্রতিষ্ঠা করেছেন। তার নেতৃত্বে দেশ এগিয়ে চলেছে। দেশ এখন উন্নয়নের দ্বারপ্রান্তে। প্রধানমন্ত্রী ইতিপূর্বে বলেছেন, দুনীর্তিবাজ উইপোকারা উন্নয়ন প্রকল্প বাস্তবায়নকালে অর্থ লুটে নিচ্ছে। দুর্নীতি না থাকলে দেশের চেহারা বদলে যেত। গত ২৯ জুন দৈনিক বাংলাদেশ প্রতিদিন পত্রিকায় বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারন সম্পাদক আ,ফ,ম, বাহাউদ্দিন নাছিম এক সাক্ষাৎকারে বলেছেন, দুষ্টচক্রের হাত হতে আওয়ামী লীগকে বাঁচাতে হবে। এটিই শেখ হাসিনার নির্দেশ। তিনি বলেন, যারা মানুষের কল্যাণে কাজ করতেন, তারাই একসময় জনপ্রতিনিধি নির্বাচিত হতেন। এখন অরাজনেতিক ও সুবিধাবাদী ব্যক্তিরা রাজনীতিতে প্রবেশ করেছে।
পঙ্গপালের দল দলকে বা বঙ্গবন্ধুর দর্শন বা শেখ হাসিনার আদর্শকে ভালোবেসে নয়, বিভিন্ন মামলার দায় হতে পরিত্রাণ, অর্থ সম্পদ বৃদ্ধি, দলের মধ্যে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি, রাজনীতি দুর্বৃত্তায়ন, জনগণ থেকে দলকে বিছিন্ন করার টার্গেট নিয়ে আওয়ামীলীগ ও অঙ্গ সংগঠনে যোগদান বা অনুপ্রবেশ করেছে। দুর্নীতিবাজরা আওয়ামীলীগকে রাজনৈতিক আশ্রয় কেন্দ্রে মনে করছে। তারা মূলধারার রাজনীতিকে কলুসিত করছে। সূত্র মতে, বিভিন্ন দল থেকে ২০০৮ সাল থেকে অদ্যাবধি প্রায় লক্ষাধিক অনুপ্রবেশকারি আওয়ামীলীগে অনুপ্রবেশ করেছে। এরা দলের কোন না কোন নেতার হাত ধরে দলে অনুপ্রবেশ করেছে এবং নেতাদের আশীর্বাদপুষ্ট হয়ে অনুপ্রবেশকারিরা তাদের অপরাধের প্রজনন ক্ষেত্র সমৃদ্ধশালী করেছে। তারা দলের দুর্দিনে বিশাল ভূমিকা রেখেছেন এমন বুলি কপচিয়ে নেতাদের শুভদৃষ্টি আকর্ষণে ব্যস্ত। এদের হরহামেশা সকাল থেকে গভীর রাত পর্যন্ত কোন না কোন নেতার অফিস ও বাসাবাড়িতে চাটুকারিতায় ব্যস্ত দেখা যায়। কেন্দ্র থেকে ওয়ার্ড পর্যন্ত পদপদবি প্রকাশ্যে বেঁচা কেনা হচ্ছে। অর্থের বিনিময়ে এসব পদে আসছে বিভিন্ন দুলছুট নেতাকর্মী এবং অশিক্ষিত, অযোগ্য ও অদক্ষ ব্যক্তি। এরা পদায়ন হয়ে আত্মপ্রচারের মাধ্যমে তারা দলের পদ ব্যবহার করে বিভিন্ন অপরাধে লিপ্ত হচ্ছে। শুধু তাই নয় অনুপ্রবেশকারিরা সরকারি চাকরি পাচ্ছে। অনুপ্রবেশকারিরা বিভিন্ন অভিযোগে অভিযুক্ত। তারা যোগদান করেই নিজ এলাকায় প্রভাবশালী আওয়ামীলীগ নেতা হয়ে অপরাধের সাম্রাজ্য গড়ে তোলে সন্ত্রাসী কার্যকলাপ, ভূমিদস্যুতা, মাদক, অস্ত্র, মানবপাচার, টেন্ডারবাজি, চাঁদাবাজি, নিয়োগ-বদলী বাণিজ্য, টিআর-কাবিখা প্রকল্পে লুটপাট সহ নানা অপকর্ম বীরদর্পে করে যাচ্ছে। অনেকে আবার শূন্য থেকে অবৈধ সম্পদের পাহাড় গড়ে তুলেছে। ফলে আওয়ামীলীগ সরকারের উন্নয়ন অতীতের সকল রেকর্ড ছাড়িয়ে গেলেও সুবিধাবাদিদের অপকর্মের কারণে ¤øান হযে যাচ্ছে।
১৯৮২ সালে থেকে ছাত্ররাজনীতির সাথে সম্পৃক্ত হই, অদ্যবধি বঙ্গবন্ধুর আদশর্কে ধারন করে রাজনীতিতে সক্রিয় আছি। দলের জন্য এত শ্রম, আত্মত্যাগ ও অবদান থাকার পরও সর্বক্ষেত্রে উপেক্ষিত ও অবহেলিত। ৮০ দশকে এরশাদ ও ৯০ দশকে খালেদা, এবং ১/১১ তে ফকরুদ্দিন সরকার বিরোধী তীব্র আন্দোলন সংগ্রাম করেছি। তৎকালে আওয়ামীলীগের দুঃসময়ে ও দুর্দিনে অনেককে আন্দোলন, সংগ্রামে পাইনি বা দেখেনি। যারা দুঃসময়ে ও দুর্দিনে আওয়ামীলীগের বিরুদ্ধে বিষেদগার, সমালোচনা ও বিদ্রæপ করেছে, তারা এখন অতি আওয়ামীলীগার বলে মুখে ফেনা তুলছে। এখন সর্বক্ষেত্রে এসব সুবিধাবাদী ও চাটুকারদের গুরুত্ব অধিক বেশী। সে কারণে এখন আওয়ামীলীগের ত্যাগী নেতারা চরম ক্ষুব্ধ। নব্য আওয়ামীলীগারদের আষ্ফালন, অট্টহাসি ও দৌরাত্ম্যে দলের সৎ, ত্যাগী, নিবেদিত, নির্যাতিত ও পরীক্ষিত নেতারা সর্বক্ষেত্রে উপেক্ষিত। অনেক দুর্দিনের অনেক নেতাকর্মীর দুর্বিসহ জীবন কাটছে। নব্য আওয়ামী লীগরা দলের দুঃসময়ে পাওয়া যাবে না, কিন্তু প্রকৃত নেতাকর্মীরা দুঃসময়ে দলের হাল ধরবে। তাই এখন দলের নিবেদিত, আত্মত্যাগী নেতাকর্মীদের মূল্যায়ন করুন।
লুঠেরা, পঙ্গপাল ও দুর্নীতিবাজদের বিরুদ্ধে কঠোর আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হোক এবং যতদিন দেশ ও দল থেকে দুর্নীতিবাজদের মূলোৎপাটন হবে না, ততদিন এই সাড়াঁশি অভিযান অব্যাহত থাকুক এবং আস্থার বংলাদেশ আওয়ামী লীগ পঙ্গপাল মুক্ত হোক।

লেখক : আইনজীবী, রাজনীতিক ও কলামিস্ট