আসুন আমরা মানুষ হই, শুধু মানুষ

12

কানিজ ফাতিমা

এই পৃথিবীতে যত ধ্বংসাত্মক কার্যক্রম পরিচালিত হয়েছে তা বেশিরভাগ ধর্মকে পূঁজি করে। এককালে অত্যাচারী রাজা/বাদশাহ্ নিজেদেরকে খোদা দাবি করত এবং যারা তার কথার বিরোধিতা করত তাঁদেরকে হত্যা করত। দিন বদলেছে, এখন নানান রকম ধর্ম প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। যার যা ভালো লাগে অথবা পৈত্রিক সূত্রে প্রাপ্ত ধর্মবিশ্বাসে সবাই অভ্যস্ত হয়েছে। আবার কিছু কিছু ব্যক্তি ধর্ম বলে কোন কিছু আছে তা মানতে নারাজ। তাদেরকে ধার্মিকরা নাস্তিক বলে ডাকে। ধর্ম খুব সংবেদনশীল একটি বিষয়। মানুষ ধর্মের জন্য নিজের প্রাণও দিতে প্রস্তুত। বাংলাদেশ অসা¤প্রদায়িক রাষ্ট্র হলেও এখনও এ দেশে ধর্ম নিয়ে প্রচুর তর্কবিতর্ক হয়। একজন অন্যজনকে হেয়প্রতিপন্ন করার জন্য ব্যতিব্যস্ত থাকে। প্রতিটি ধর্মই শান্তির কথা বলে।
মূর্তির হাঁটুর উপর পবিত্র কোরআন, এটা কোন মানুষের কাজ হতে পারেনা। যে করেছে সে নিশ্চিত অমানুষ। তার কাছে কোরআনের অবমাননা করা যেমন ব্যাপার না তেমনি হিন্দু সম্প্রদায়ের বিরুদ্ধে সুপরিকল্পিত ষড়যন্ত্র রচিত করা কোন ব্যাপার না। তার কাছে ধর্মের কোন মূল্য নেই। তার একমাত্র লক্ষ্য সংঘাত সৃষ্টি করা। সে হিন্দু মুসলিম দাঙ্গা বাঁধাবে এবং দাঁড়িয়ে দাঁড়িয়ে তামাসা দেখবে ও মজা নেবে। সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির এই দেশে অশান্তি সৃষ্টি করা তার মূল লক্ষ্য। কোরআন অবমাননাকারীর চরম শাস্তি হোক। পাশাপাশি নিরাপদে থাকুক আমাদের খুব আপনজন হিন্দু ভাই-বোনরা। যাঁদের সাথে আমাদের নিত্যদিনের চলাফেরা, ভাববিনিময়, হাসি-কান্না, যাঁদের দুঃখে আমার দুঃখিত হই আবার সুখে হই সুখী। ভালো ও নিরাপদে থাকুক তাঁরা। ধর্ম যেন হিন্দু-মুসলিম সম্পর্কের মাঝখানে দেয়াল হয়ে দাঁড়াতে না পারে। যাঁর যাঁর ধর্ম সে পালন করুক নিরাপদে। আসুন আমরা মানুষ হই, শুধু মানুষ।