আল্লামা রুমি সোসাইটি’র সেমিনার

103

পৃথিবীতে সকল ধর্ম মানুষকে নিয়েই আবর্তিত। যদি মানুষ না থাকে তাহলে ধর্মকে কর্মে রূপান্তর করার কিংবা ধর্মের নীতি বাস্তবায়নের পথ রূদ্ধ হয়ে যাবে। তাই মহান আল্লাহ তায়ালা মানুষকে তার প্রতিনিধি করার মূল উদ্দেশ্যই হচ্ছে সৃষ্টির সেবায় বা কল্যাণে যাতে মানুষ আত্মনিয়োগ করে। বিশ্ব নবী হযরত মুহাম্মদ (দ.) ২৫ বছর বয়সে “হিলফুল ফুযুল” গঠন করে মানব সেবার উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত রেখে গেছেন। সকল ধর্মমতের মধ্যেও মনুষ্যত্ববোধের জয়গান গাওয়া হয়েছে। আমাদের সকলকেই বুঝতে হবে যত জন তত মন পৃথিবীতে। বিশ্ব শান্তি ও সভ্যতা রক্ষায় সবাইকে সহনশীল আচরণে ব্রতী হতে হবে। আধ্যাত্মিক গবেষণাধর্মী সংগঠন আল্লামা রুমি সোসাইটি’র ৩১৯তম মাসিক আলোচনা সভা ও সেমিনারে প্রধান অতিথির বক্তব্যে ইসলামী চিন্তাবিদ, গবেষক ও আল্লামা দোস্ত মোহাম্মদ (র.) ফাউন্ডেশন’র ভাইস চেয়াম্যান সৈয়্যদ মোঃ জুলকরনাইন উপরোক্ত মন্তব্য করেন। সংগঠনের মহাসচিব সৈয়্যদ মোঃ সিরাজুদ্দৌলাহর সভাপতিত্বে গত ১৪ ফেব্রæয়ারি ২০১৯ সন্ধ্যায় চট্টগ্রাম নগরীর লালখান বাজারস্থ রুহ আফজা কুটির প্রাঙ্গণে অনুষ্ঠিত সেমিনারে মূখ্য আলোচক ছিলেন সুফিতাত্তি¡ক গবেষক ও সম্মিলিত সামাজিক সংগঠন পরিষদ’র সভাপতি ওসমান ফারুকী (হিমাদ্রী)। সংগঠক আব্দুল মন্নান হৃদয়’র সঞ্চালনায় অনুষ্ঠিত সভায় অতিথি ছিলেন মীর মোহাম্মদ ফেরদৌস আলম, কবি মিফতাহুল ইসলাম প্রমুখ। চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়’র ফারসি ভাষা ও সাহিত্য বিভাগের সভাপতি অধ্যাপক ড. নূরে আলম কর্তৃক লিখিত সৈয়্যদ আহমদুল হক (র.)’র মানব ধর্ম বিষয়ক মূল প্রবন্ধ পাঠ করেন চট্টগ্রাম কলেজ’র শিক্ষার্থী এনাম হোসেন হিরু।
বক্তারা আরো বলেন-আল্লামা রুমি সোসাইটি বাংলাদেশে সুফিবাদের বিকাশ সাধনে অগ্রণী ভূমিকা পালন করছে যা বাংলাদেশকে একটি স¤প্রীতিময় দেশ হিসেবে পরিগণিত করার পথে সহায়ক। আল্লামা রুমি সোসাইটির প্রতিষ্ঠাতা সৈয়দ আহমদুল হককে অনুধাবন করতে হলে জ্ঞানের গভীরতায় যেতে হবে। সৈয়দ আহমদুল হক ইংরেজী সাহিত্যে ছিলেন প্রখর মেধাবী, ফার্সিতে বিচরণ ছিল অবিস্মরণীয় অন্যদিকে বাংলা সাহিত্যেও পরিলক্ষিত হয় তার অসাধারণ প্রতিভা। বিজ্ঞপ্তি