আলোচনায় বসে ভাঙচুরে ছাত্রলীগ

16

চবি প্রতিনিধি

চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের (চবি) আবাসিক হলের আসন বরাদ্দ নিয়ে চবি ছাত্রলীগের বিভিন্ন উপগ্রুপের সাথে আলোচনায় বসেছিল বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টরিয়াল বডি। গতকাল মঙ্গলবার বিকেল ৫ টায় কলা ও মানববিদ্যা অনুষদের ২ নং গ্যালারিতে ছাত্রলীগের বিভিন্ন উপগ্রুপের প্রায় শ’খানেক নেতাকর্মীর উপস্থিতিতে শুরু হয় এ আলোচনা। আলোচনা শেষে সবার একসাথে ইফতার করার কথা ছিল। কিন্তু আলোচনার এক পর্যায়ে উপস্থিত ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা দুই ভাগে বিভক্ত হয়ে পড়েন।
মূলত এক পক্ষের কথা বলার মাঝখানে অন্যপক্ষ কথা বলাকে কেন্দ্র করে নেতাকর্মীরা বিভক্ত হয়ে পড়েন। এসময় শিক্ষা উপমন্ত্রী ব্যারিস্টার মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল ও নগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আ জ ম নাসির উদ্দিনের অনুসারীরা দুইভাগে বিভক্ত হয়ে বাকবিতন্ডায় জড়ান। এক পর্যায়ে শাখা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক ইকবাল হোসেন টিপুসহ আ জ ম নাসির উদ্দিনের অনুসারী অন্যান্য উপগ্রুপের নেতাকর্মীরা ইফতারের প্রায় ১৫ মিনিট আগে সভাস্থল থেকে থেকে বের হয়ে যান। এ সময় কলা ও মানববিদ্যা অনুষদের দুই নং গ্যালারি সামনে থাকা ফুলের টব ভাঙচুর করে নেতাকর্মীরা। আলোচনা সভায় উপস্থিত বেশ কয়েকজন ছাত্রলীগ নেতার সূত্রে এসব বিষয় জানা গেছে। তবে শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক দুজনেই বিষয়টি অস্বীকার করেন।
সভাপতি রেজাউল হক রুবেল বলেন, মিটিংয়ে কোনো ঝামেলা আমার চোখে পড়েনি। ওরা কেন বেরিয়ে গেছে আর কেন ফুলের টব ভাঙছে সে বিষয়ে আমি জানি না। এ ব্যাপারে আপনি টিপুকে জিজ্ঞেস করেন।
সাধারণ সম্পাদক ইকবাল হোসেন টিপু বলেন, কোনো ঝামেলার কারণে আমরা মিটিং থেকে বের হয়েছি বিষয়টা এমন না। আমাদের অন্যত্র ইফতার কর্মসূচি ছিল। তাই ইফতারের আগ মুহুর্তে বেরিয়ে গিয়েছি।
বাকবিতন্ডার বিষয়ে তিনি বলেন, ওখানে আমরা বিভিন্ন বিষয়ে একে অপরের যুক্তি খন্ডন করছিলাম। এটা করতে গিয়ে অনেকের গলার স্বর হয়তো লাউড হতে পারে। কিন্তু এটাকে তো বাকবিতন্ডা বলা যায় না।
এসব বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর ড. নূরুল আজিম শিকদার বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার পরিবেশ কীভাবে ঠিক রাখা যায় ও হলে আসন বরাদ্দের বিষয়ে আলোচনার জন্য আমরা ছাত্রলীগের নেতৃবৃন্দের সাথে বসেছিলাম। আলোচনার এক পর্যায়ে তারা বাকবিতন্ডায় জড়িয়ে পড়ে। তবে আমি ভেতরে থাকার কারণে ভাঙচুরের বিষয়ে জানি না।