বাংলাদেশের প্রথম প্রধানমন্ত্রী প্রয়াত জাতীয় নেতা তাজউদ্দীন আহমদের ৯৭তম জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে ঢাকার মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘর মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত হয়েছে ‘আলোকচিত্রে তাজউদ্দীন আহমদ’ শীর্ষক গ্রন্থের প্রকাশনা অনুষ্ঠান। সেন্টার ফর তাজউদ্দীন আহমদ রিসার্চ এন্ড এক্টিভিজমের অঙ্গ প্রতিষ্ঠান সিতারা পাবলিকেশনের উদ্যোগে গ্রন্থটি প্রকাশিত হয়। অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন ১৯৭১ সালে তাজউদ্দীন আহমদের প্রিন্সিপাল এইড ব্যারিস্টার এম আমীর-উল ইসলাম, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য আ আ ম স আরেফিন সিদ্দিক, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক অধ্যাপক মিজানুর রহমান, তাজউদ্দীন আহমদের জ্যেষ্ঠ কন্যা, শিক্ষাবিদ শারমিন আহমদ, মেজো কন্যা সাংসদ সিমিন হোসেন রিমি, কনিষ্ঠ কন্যা মাহজাবিন আহমদ মিমি, একমাত্র পুত্র ও সাবেক স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী তানজিম আহমদ সোহেল তাজ, অরোমা দত্ত, সাংসদসহ বিভিন্ন সরকারি কর্মকর্তা, সাবেক রাষ্ট্রদূত, গবেষক, শিক্ষাবিদ, অধ্যাপক, স্কুল-কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক ও শিক্ষার্থীসহ ঢাকার ভেতর ও বাইরে থেকে আগত প্রায় ৪০০ অতিথি।
গ্রন্থটির সংকলক ও আয়োজক সংগঠন সিতারার সভাপতি আফতাব বলেন, তাজউদ্দীন আহমদ ছিলেন এমন একজন প্রাজ্ঞ, বিচক্ষণ, দূরদর্শী ও প্রচারবিমুখ ব্যক্তিত্ব, যার উদ্যোগ ও প্রচেষ্টায় প্রতিটি কাজ সুচারুরূপে সুসম্পন্ন হলেও ক্যামেরা তাঁকে খুব কমই ধারণ করতে পেরেছে। বঙ্গতাজ তাজউদ্দীন আহমদের প্রতিটি আলোকচিত্রই একেকটি ঐতিহাসিক দলিল। যত্রতত্র ছড়িয়ে-ছিটিয়ে থাকা বিরল সব আলোকচিত্র একত্রিত করে সেগুলোর প্রকৃত বিবরণসহ একটি পূর্ণাঙ্গ ‘পিকটোগ্রাফী’ প্রকাশ করার দুরূহ এ প্রয়াস শুরু হয়েছিল ২০২০ সালে সিতারার উদ্যোগে।
অনুষ্ঠানে তাজউদ্দীন আহমদের ৯৭তম জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে এদিন স্কুলগামী ক্ষুদে শিক্ষার্থীদের জন্য মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘর পরিদর্শনের ব্যবস্থা করা হয়। অনুষ্ঠানে তাজউদ্দীন আহমদ রিসোর্স সেন্টার এর উদ্বোধন করা হয়।
সোহেল তাজ বলেন, এ আলোকচিত্র গ্র্রন্থের কাজটি নিঃসন্দেহে অনন্য। জাতির ভবিষ্যতকে গড়তে হলে অতীতকে সম্মান জানাতে হবে, জাতির শ্রেষ্ঠ সন্তানদের সম্মান জানাতে হবে ও তাদের আদর্শকে বাস্তবায়ন করতে হবে।
মোড়ক উন্মোচন ও আলোচনা অনুষ্ঠান শেষে সিতারার সহযোগী প্রতিষ্ঠান রিপাবলিক স্কুল এন্ড কলেজের শিক্ষার্থীদের পরিবেশনায় ‘আমার বাংলাদেশ’ শিরোনামে দেশাত্মবোধক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। বিজ্ঞপ্তি
