আর ফিরবেন না প্রিয় ‘বড় হুজুর’

73

মুফতি তাজুল ইসলাম। বয়স ৩৩ বছর। কুমিল্লার চান্দিনা দারুল উলুম মাদ্রাসার মুহতামিম। প্রিয় বড় হুজুরের ইন্তেকালে তাঁকে দেখার জন্য ভোররাতে চট্টগ্রামের উদ্দেশ্যে রওনা দিয়েছেন। তিনি ছিলেন আল্লামা আহমদ শফির ছাত্র। শুধু তাই নয়, বায়াত হয়েছেন আহমদ শফির হাতেই। তিনি বলেন, হুজুরকে যে আর দেখবো না, তা বিশ্বাস করতে পারছি না। এ প্রিয় ক্যাম্পাস তথা মাদ্রাসায় তাঁর সকল নিদর্শন থাকবে। কিন্তু প্রিয় বড় হুজুর আর এ ক্যাম্পাসে ফিরবে না।
তার মতো অনেক ভক্ত, ছাত্র শিক্ষক ভোররাতেই এসে উপস্থিত হয়েছেন হাটহাজারী মাদ্রাসায়। অনেকেই ফজরের নামাজ আদায় করেছেন মাদ্রাসায়। সকলের চাওয়া-পাওয়া একটিই, হুজুরের মরদেহ এক নজর দেখার। একে অপরকে জড়িয়ে ধরে কাঁদছেন আর স্মৃতি হাতড়াচ্ছেন প্রিয় ওস্তাদের।
কক্সবাজারের রামু থেকে এসেছেন মাওলানা আবদুল কাইয়ুম। তিনি বলেন, ‘আমি হুজুরের ভক্ত। তাই হুজুরকে শেষবারের মতো দেখার জন্য ছুটে এসেছি।’ তিনি আরও বলেন, ‘হুজুর মসজিদ থেকে বের হওয়ার সময় আমাদের হাত ধরে বের হতেন। হুজুরের সাথে অনেক স্মৃতি। এখন স্মৃতিগুলো কিভাবে ভুলবো। হুজুরের অনেকগুলো বৈশিষ্ট আছে। তিনি সব ছাত্রকে সমানভাবে সমাদর করতেন।’
ফেনীর মহীপাল দারুল নাজাত মহিলা মাদ্রাসার শিক্ষক মাওলানা আবদুল হক বলেন, ‘ফজরের নামাজ পড়ে রওনা দিয়েছি। আমার ওস্তাদ শফি হুজুর। ১৯৮৮ সালে আমি হুজুরের ছাত্র ছিলাম। পড়ানোর জন্য অক্লান্ত পরিশ্রম করতে দেখেছি ওনাকে। ছাত্রদের প্রতি খুবই মানবিক ছিলেন তিনি।’