আরও ১ সপ্তাহের জন্য বাড়ছে লকডাউন

134

করোনার সংক্রমণের হার এখনও বেশি। মৃত্যুর হারও রেকর্ড অতিক্রম করছে প্রতিদিন। করোনা নিয়ন্ত্রণে সরকার গঠিত জাতীয় কারিগরি পরামর্শক কমিটিও টানা দুই সপ্তাহের লকডাউন দেওয়ার সুপারিশ করেছে। খোদ স্বাস্থ্যমন্ত্রী জানিয়েছেন, কমপক্ষে তিন সপ্তাহের লকডাউন প্রয়োজন। তাই লকডাউন আপাতত আরও এক সপ্তাহ বাড়ানোর পরিকল্পনা করছে সরকার।
জানা গেছে, আগামীকাল সোমবার এ সংক্রান্ত একটি শীর্ষ পর্যায়ের সভা অনুষ্ঠিত হবে। সেই সভার মতামত নিয়ে প্রধানমন্ত্রীর অনুমোদন সাপেক্ষে চলমান লকডাউন আরও এক সপ্তাহ বাড়িয়ে ২২ এপ্রিল থেকে আগামী ২৮ এপ্রিল পর্যন্ত চলতে পারে। চলমান ৮ দিনের লকডাউনের মেয়াদ শেষ হবে ২১ এপ্রিল রাত ১২ টায়। জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় সূত্রে এমন তথ্য জানা গেছে।
সূত্র জানিয়েছে, স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়, বিশেষজ্ঞ কারিগরি কমিটি ও সমাজ সচেতন মহল থেকে লকডাউন বাড়ানোর পরামর্শ আছে। তবে সেটি হবে প্রকৃত লকডাউন। তা যদি বাস্তবায়ন করা যায় তবেই সংক্রমণের হার কমিয়ে আনা সম্ভব বলে মনে করেন স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা। এ বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত দেওয়ার এখতিয়ার প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার। প্রধানমন্ত্রীর অনুমোদন পাওয়া গেলে আগামী ২০ এপ্রিল তা জানা যাবে। একইদিন এ সংক্রান্ত প্রজ্ঞাপনও জারি করতে পারে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ। খবর বাংলা ট্রিবিউনের।
জানতে চাইলে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের একজন অতিরিক্ত সচিব নাম প্রকাশ না করার শর্তে জানিয়েছেন, করোনার এমন পরিস্থিতিতে লকডাউনের মেয়াদ আরও কিছুদিন বাড়ানোর চিন্তাভাবনা চলছে। কারণ সংক্রমণের হার তো কমছে না। বাড়ছে মৃত্যুর হারও। মাঝপথে সবকিছু খুলে দিলে সরকারের সব উদ্যোগ ভেস্তে যাবে। চরম হুমকিতে পড়বে মানুষের স্বাস্থ্য নিরাপত্তা।
এ প্রসঙ্গে জানতে চাইলে দুর্য়োগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী ডা. এনামুর রহমান জানিয়েছেন, লকডাউন বাড়ছে কিনা তা প্রধানমন্ত্রীর এখতিয়ার। বাস্তবতা বিবেচনায় নিয়ে স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞ ও সরকার গঠিত কারিগরি পরামর্শক কমিটির সুপারিশের ভিত্তিতে লকডাউন বাড়ানোর সিদ্ধান্ত দেবেন তিনি।
উল্লেখ্য, গত মার্চ মাস থেকে করোনার সংক্রমণ আবারও বাড়ছে। পরপর গত দুদিন করোনায় সংক্রমিত হয়ে ১০১ জন করে মারা গেছেন। এমন পরিস্থিতিতে করোনার সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণে সরকার ১৪ থেকে ২১ এপ্রিল পর্যন্ত কঠোর বিধিনিষেধ দিয়ে ‘সর্বাত্মক লকডাউন’ শুরুর ঘোষণা দেয়। বর্তমানে লকডাউনে সরকারি, আধা সরকারি, স্বায়ত্তশাসিত ও বেসরকারি অফিস, আর্থিক প্রতিষ্ঠান বন্ধ রয়েছে।