আরও দুই আসামি ‘বন্দুকযুদ্ধে’ নিহত

17

টেকনাফে পুলিশের সঙ্গে ‘বন্দুকযুদ্ধে’ যুবলীগ নেতা ওমর ফারুক হত্যা মামলার আরও দুই আসামি নিহত হয়েছেন। গত বৃহ¯পতিবার রাত ১২টার দিকে উপজেলার হ্নীলা ইউনিয়নের জাদিমোরায় এ ‘বন্দুকযুদ্ধের’ ঘটনা ঘটে। এ সময় পুলিশ অস্ত্র ও গোলাবারুদ উদ্ধার করেছে।
নিহতরা হলেন মিয়ানমারের আকিয়াব জেলার মংডু উপজেলার বুসিদং ইউনিয়নের হাসুরতা গ্রামের বাসিন্দা ও বর্তমানে টেকনাফ উপজেলার নয়াপাড়া নিবন্ধিত রোহিঙ্গাক্যা¤েপর জমির আহমদের ছেলে মো. আব্দুল করিম (২৪) এবং মিয়ানমারের একই ইউনিয়নের পুইমালী গ্রামের বাসিন্দা ও একই ক্যা¤েপর সৈয়দ হোসেনের ছেলে নেছার আহমদ (২৭) ওরফে নেছার ডাকাত।
নিহত দু’জনই যুবলীগ নেতা ওমর ফারুক হত্যা মামলার আসামি। এ নিয়ে পুলিশের সঙ্গে ‘বন্দুকযুদ্ধে’ নিহত রোহিঙ্গা সন্ত্রাসীর সংখ্যা ৬ জনে দাঁড়াল। নিহত সবাই সন্ত্রাসী বলে জানিয়েছেন পুলিশ।
টেকনাফ থানার ওসি প্রদীপ কুমার দাশ জানান, বৃহস্পতিবার রাত ১২টার দিকে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে পুলিশ জানতে পারেন ফারুক হত্যার মামলার আসামিরা হ্নীলা ইউনিয়নের জাদিমোরা চাইল্ড ফেন্ডলী ¯েপস অফিসের পিছনে পাহাড়ের উপরে পানির ট্যাংকির নিচে অবস্থান করছে। এ খবরে টেকনাফ থানা পুলিশ ঘটনাস্থল পৌঁছলে পুলিশের উপস্থিত টের পেয়ে একদল অস্ত্রধারী পুলিশকে লক্ষ্য করে গুলি চালায়। এতে এএসআই কাজী সাইফ উদ্দিন (৩৫), কনস্টেবল নাবিল (৩০) ও রবিউল ইসলাম (৩৩) আহত হন। এ সময় আত্মরক্ষায় পুলিশও পাল্টা গুলি চালায়। উভয় পক্ষের গোলাগুলির শব্দে ঘটনাস্থলে স্থানীয় লোকজন ও রোহিঙ্গারা এগিয়ে আসলে অস্ত্রধারীরা পালিয়ে যায়। পরে স্থানীয় লোকজন ও রোহিঙ্গা মাঝিদের সহায়তা ঘটনাস্থল থেকে গুলিবিদ্ধ দুই যুবককে উদ্ধার করা হয়। এরপর তাদেরকে প্রথমে টেকনাফ স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ও পরে উন্নত চিকিৎসার জন্য কক্সবাজার জেলা সদর হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাদের মৃত ঘোষণা করেন।
ওসি জানান, পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে ২টি এলজি, ৭ রাউন্ড শর্টগানের কার্তুজ ও ৯ রাউন্ড কার্তুজের খোসা উদ্ধার করে। একই সাথে দুই যুবকের পরিচয় উপস্থিত রোহিঙ্গা মাঝিদের সহায়তায় শনাক্ত করা হয়। মৃতদেহ দু’টি ময়নাতদন্তের জন্য কক্সবাজার জেলা হাসপাতাল মর্গে রয়েছে। এ ব্যাপারে টেকনাফ থানায় মামলা করা হয়েছে। এছাড়া রোহিঙ্গাক্যা¤প ও টেকনাফ উপজেলার বিভিন্ন স্থানে পুলিশের অভিযান জোরদার করা হয়েছে।
উল্লেখ্য, গত ২২ আগস্ট রাতে টেকনাফ উপজেলার জাদিমুরা এলাকায় বাড়ির সামনে থেকে যুবলীগ নেতা ওমর ফারুককে (৩০) বাড়ির সামনে থেকে তুলে নিয়ে পাহাড়ে গুলি করে হত্যা করে একদল উশৃংখল রোহিঙ্গা। খবর পেয়ে ফারুকের ভাই আমির হামজা ও উসমানসহ স্বজনরা সেখানে গেলে সন্ত্রাসীরা তার মরদেহ আনতে বাধা দেয়। পরে খবর পেয়ে পুলিশ ওমর ফারুকের লাশ উদ্ধার করে।
এ ঘটনায় গত ২৪ আগস্ট রাতে জাদিমোরা শালবাগান রোহিঙ্গা ক্যাম্পের আব্দুল আজিজের ছেলে আব্দু শুক্কুর ও ছব্বির আহমদের ছেলে মোহাম্মদ শাহ পুলিশের সঙ্গে ‘বন্দুকযুদ্ধে’ নিহত হন। পরে ২৬ আগস্ট রাতে একই ক্যাম্পের হামিদ উল্লাহ ছেলে মোহাম্মদ হাসান এবং ১ সেপ্টেম্বর রাতে ওই ক্যাম্পের মৃত কালা মিয়ার ছেলে ডাকাত নুর মোহাম্মদ পুলিশের সঙ্গে ‘বন্দুকযুদ্ধে’ নিহত হন। সর্বশেষ গত বৃহস্পতিবার রাতে নিহত হন করিম ও নেছার।