আমি নারীশিক্ষার বিরুদ্ধে নই সহশিক্ষার বিরুদ্ধে

96

হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশের আমির আল্লামা আহমদ শফী বলেন, সহশিক্ষার কারণে ছাত্র-ছাত্রীরা অবৈধ সম্পর্কে জড়িয়ে পড়ে। এমনকি পিতৃতুল্য শিক্ষকও অবৈধ সম্পর্ক গড়ে তোলেন। এসব সহশিক্ষার কুফল। নারী-পুরুষ এক সাথে বসে পড়াশোনা করাকে সহাশিক্ষা বলে। আমি নারীশিক্ষার বিরুদ্ধে নই, সহশিক্ষার বিরুদ্ধে। আপনারা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে অনুরোধ করবেন তিনি যেন নারীদের জন্য আলাদা শিক্ষাব্যবস্থা চালু করেন। নারীদের নিরাপদ ও আলাদা শিক্ষাব্যবস্থা চালু হলে নারীরা ধর্ষণ, যৌন হয়রানি থেকে মুক্ত থাকবে।
তিনি গতকাল শুক্রবার সন্ধ্যায় রাউজান ইসলামী নব জাগরণ ও ইসলামী সম্মেলন সংস্থার যৌথ
উদ্যোগে রাউজান গহিরা উচ্চ বিদ্যালয় ময়দানে তাফসিরুল কোরআন মাহফিলে এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, মুসলমানদের ঘরে এখন কোরআন তেলাওয়াত নেই। আপনারা আমার সাথে ওয়াদা করেন, আজ থেকে নামাজ ও কোরআন পড়বেন।
মাহফিলে প্রধান মুফাচ্ছির ছিলেন মাওলানা মুফতি নজরুল ইসলাম কাসেমী, প্রধান বক্তা ছিলেন মাওলানা ফরিদ উদ্দীন আল-মোবারক। বক্তব্য রাখেন মাওলানা আজিজুল ইসলাম জালালী, মাওলানা মুফতি মেরাজুল হক মাজহারী, মুফতি নুরুল আমিন ফরিদী, মাওলানা ইসমাঈল খান, মাওলানা মোস্তফা নূরী, গাজী মাওলানা ছানাউল্লাহ, মাওলানা হারুন আজিজী নদভী।
অতিথি ছিলেন ডাবুয়া ইউপি চেয়ারম্যান আব্দুর রহমা চৌধুরী, গহিরা ইউপি চেয়ারম্যান নুরুল আবছার বাসি, প্রধান শিক্ষক মুহাম্মদ হাবিবুল হক, হাফেজ মাওলানা সোলাইমান, শায়খুল হাদিস মাওলানা ইলিয়াছ, মাওলানা ইছহাক মাদানী, মাওলানা সেহাবুদ্দীন, হাফেজ ফজলুল হক কান্দিপাড়া, মাওলানা ইছহাকমক্কী, মাওলানা ইউছুফ, মুহাম্মদ আহসানউল্লাহ, মাওলানা কেএম আলমগীর মাসউদ আরবনগরী, মাওলানা আব্দুল হাই, মাওলানা আব্দুর রউফ, মাওলানা মুফতি হোসাইন, মাওলানা আহমদ শফী, মাওলানা শফিউল আলম প্রমুখ।