‘আমি চাই না তরুণরা এই ভুল করুক’

15

২০১৮ সালের শুরুর দিকে বেশ কয়েকবার ক্রিকেট জুয়ারিদের প্রস্তাব পেয়েও তথ্যগুলো গোপন রাখার কারণে বাংলাদেশ ক্রিকেটের সবচেয়ে বড় তারকা সাকিব আল হাসান দুই বছরের জন্য হয়েছেন নিষিদ্ধ।
যদিও অপরাধ স্বীকার করে নেয়ায় এক বছরের শাস্তি স্থগিত করেছে ক্রিকেটের সর্বোচ্চ সংস্থা আইসিসি। মঙ্গলবার সন্ধ্যায় আইসিসির পক্ষ থেকে প্রকাশ করা বিবৃতিতে কথা বলেছেন টাইগারদের টেস্ট ও টি-টোয়েন্টি অধিনায়ক।
সাকিব বলেন, ‘আমি সত্যিই খুব মর্মাহত। যেই খেলাটাকে এতো ভালোবাসি সেখানে নিষিদ্ধ হলাম।
তবে ম্যাচ পাতানোর প্রস্তাব আইসিসিতে না জানানোয়, আমি আমার নিষেধাজ্ঞা মেনে নিচ্ছি। আইসিসির অ্যান্টি করাপশন ইউনিট খেলোয়াড়দের দুর্নীতিমুক্ত রাখতে প্রাণপণে লড়ে যাচ্ছে। কিন্তু আমি আমার অংশটা ঠিকঠাক পালন করতে পারিনি।’
তিনি আরও বলেছেন, ‘বিশ্বের সব খেলোয়াড়ের মতো আমিও চাই ক্রিকেট খেলাটা যেন দুর্নীতিমুক্ত থাকে। সামনের দিনগুলো আইসিসির দুর্নীতি দমন বিভাগের সঙ্গে তাদের দুর্নীতিবিরোধী প্রোগ্রামে কাজ করতে আগ্রহী। আমি এটি নিশ্চিত করতে চাই যে, আমার মতো ভুল যেন কোনও তরুণ খেলোয়াড় ভবিষ্যতে না করে।’

যে তিনটি অপরাধের প্রমাণ পেয়েছে আইসিসি

১. ২০১৮ সালের জানুয়ারিতে শ্রীলঙ্কা, জিম্বাবুয়েকে নিয়ে বাংলাদেশের যে ত্রিদেশীয় সিরিজ হয়েছিল কিংবা ২০১৮ আইপিএলে প্রথম ফিক্সিংয়ের প্রস্তাব পান সাকিব। কিন্তু এ বিষয়ে তিনি আইসিসির অ্যান্টি করাপশন ইউনিটকে কোনো কিছুই জানাননি।
২. একই ধারার অধীনে অপরাধ : ২০১৮ সালের জানুয়ারীতে ত্রিদেশীয় সিরিজের সময়ই আরো একটি ফিক্সিংয়ের প্রস্তাব পেয়েছিলেন। কিন্তু সে বিষয়েও তিনি আইসিসিকে অবহিত করেননি।
৩. ২০১৮ সালের ২৬ এপ্রিল সানরাইজার্স হায়দরাবাদ এবং কিংস ইলেভেন পাঞ্জাবের মধ্যকার ম্যাচেও ফিক্সিংয়ের প্রস্তাব পেয়েছিলেন সাকিব। কিন্তু সে বিষয়েও তিনি আইসিসি কিংবা সংশ্লিষ্ট দুর্নীতি দমন সংস্থাকে কিছুই জানাননি।