আব্দুল মাবুদ বহাল তবুও আব্দুল হক গিয়ে হাজির

7

রামু প্রতিনিধি

শপথ গ্রহণের আগেই দলবল নিয়ে ইউনিয়ন পরিষদ ভবন দখল করে কার্যক্রম চালালেন রামুর খুনিয়াপালং ইউনিয়ন পরিষদের নব নির্বাচিত চেয়ারম্যান আব্দুল হক। গত ১১ নভেম্বর অনুষ্ঠিত নির্বাচনে তিনি চেয়ারম্যান নির্বাচিত হন। এখনও হয়নি নির্বাচনের ফলাফলের গেজেট প্রকাশ, শপথ গ্রহণ ও দায়িত্ব হস্তান্তর। পরিষদে এখনও দায়িত্বরত আছেন বর্তমান চেয়ারম্যান আব্দুল মাবুদ।এ অবস্থায় গতকাল বুধবার দুপুরে সমর্থকদের নিয়ে ইউপি ভবনে গিয়ে একটি বেসরকারি সংস্থার অনুদানের অর্থ বিতরণ করেন আব্দুল হক। এ নিয়ে জনমনে ক্ষোভ ও প্রতিক্রিয়া দেখা গেছে। তাদের অনেকই বলেন, আইন অনুযায়ী তিনি পরিষদে গিয়ে এমন কার্যক্রম চালাতে পারেন না।
ইউপি সচিব মুফিজুর রহমান জানান, গতকাল দুপুরে ১৭৫ জন শ্রমিকের মাঝে ৮ হাজার টাকা করে অনুদানের অর্থ বিতরণ করার কথা ছিল একটি বেসরকারি সংস্থার। নিয়ম অনুযায়ী সচিব এ অর্থ বিতরণ করবেন। কিন্তু বিতরণের আগে মোবাইলে কথা বলে পরিষদ ভবনে আসেন নব নির্বাচিত চেয়ারম্যান আব্দুল হক। এক পর্যায়ে তিনি এসব অনুদানের অর্থ বিতরণ করেন।
সচিব আরও জানান, বেসরকারি সংস্থা হেলভেটাস’র দায়িত্বে নিয়োজিতরাই নব নির্বাচিত চেয়ারম্যানকে এ অনুষ্ঠানে আমন্ত্রণ জানিয়েছেন।
রামু উপজেলা নির্বাহী অফিসার প্রণয় চাকমা জানান, আব্দুল হক নির্বাচনে জয়ী হলেও শপথ নেননি, দায়িত্বও হস্তান্তর হয়নি। তাই পরিষদে গিয়ে কার্যক্রম চালানো উচিত হয়নি। এ ঘটনায় প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।
নব নির্বাচিত চেয়ারম্যান আব্দুল হক জানান, পরিষদ ভবন দখল করে কার্যক্রম চালানোর বিষয়টি সত্য নয়। একটি বেসরকারি সংস্থার আমন্ত্রণে অনুদানের অর্থ বিতরণ কার্যক্রম উদ্বোধন করতে গিয়েছিলাম। আমি সেখানে কিছু কথা বলে চলে আসি। পরিষদ তো সবার জন্য উন্মুক্ত। সেখানে যেতে তো কারো বাধা নেই। কয়েকদিন পরেই তো আমাকে সেখানে সসম্মানে দায়িত্ব দিয়ে চেয়ারে বসানো হবে। দখল করার তো প্রশ্নই আসে না।
বর্তমান চেয়ারম্যান আব্দুল মাবুদ জানান, এখনও তিনি পরিষদে চেয়ারম্যান হিসেবে দায়িত্বরত রয়েছেন। কিন্তু ১১ নভেম্বর বিতর্কিত ফলাফলে আব্দুল হককে জয়ী ঘোষণা করা হয়। এখনও গেজেট, শপথ ও দায়িত্ব হস্তান্তর হয়নি। এর মধ্যেই আব্দুল হক লোকজন নিয়ে পরিষদ ভবনে প্রবেশ করেন এবং দখল করে পরিষদের কার্যক্রম চালাতে শুরু করেন। তিনি একটি বেসরকারি সংস্থার ভাতা বিতরণ কর্মসূচি উদ্বোধন করেন এবং বক্তব্য রাখেন। যা সম্পূর্ণ বেআইনি। এ সময় তিনি মাবুদের সমর্থক ভাতা নিতে আসা আব্দুল কাদের, সখিনা বেগমসহ কয়েকজনকে মারধর করেন।
এ বিষয়ে জানতে হেলভেটাস’র প্রকল্প পরিচালক সেলিম উদ্দিনের সাথে বুধবার রাতে মোবাইল ফোনে যোগাযোগ করা হয়। কিন্তু তিনি এ বিষয়ে সংবাদ মাধ্যমে কোন কিছু বলতে অপারগতা প্রকাশ করেন।