আবেগের ঠিকানা শহীদমিনার অন্যত্র সরিয়ে নেবেন না

14

 

চট্টগ্রামের সর্বস্তরের মানুষের আবেগ অনুভ‚তি ও বাঙালি জাতীয়তাবাদের সাহসী ঠিকানা কেন্দ্রিয় শহীদ মিনার সাংস্কৃতিক বলয় নির্মাণ প্রকল্প বাস্তবায়নের দোহাই দিয়ে ভেঙে ফেলা ও অন্যত্র সরিয়ে ফেলার তোড়জোড়ে আশির দশকের ছাত্র নেতৃবৃন্দ ক্ষোভ ও নিন্দা জানিয়েছেন। এক বিবৃতিতে তাঁরা বলেন, কেন্দ্রিয় শহীদ মিনারে বিভিন্ন জাতীয় দিবসে এবং রজনৈতিক ও সাংস্কৃতিক কার্যক্রম পরিচালিত হয়। এখানে ৮৩ সালের ১৫ ফেব্রুয়ারি ছাত্রনেতা মোজাম্মেল শহীদ হন। এছাড়াও আন্দোলন সংগ্রামে প্রতিবাদী ছাত্র জনতা এই শহীদ মিনারে এসে শপথ দৃপ্ত হয়ে থাকেন। বিবৃতিতে বলা হয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা চট্টগ্রামের সংস্কৃতি সেবী, মুক্তিযোদ্ধা, রাজনীতিক ও সুশিল সমাজের আকাঙ্খা ও লালিত স্বপ্ন অনুযায়ী মুসলিম হল ও শহীদ মিনারকে ঘিরে ২৩২ কোটি টাকার একটি সাংস্কৃতিক বলয় নির্মাণ প্রকল্প একনেকে অনুমোদন দেন। চট্টগ্রামবাসীদের অনুভূতি ও আবেগ অনুযায়ী এই প্রকল্প বাস্তবায়নে অবশ্যই শহীদ মিনার ও মুসলিম হলকে গুরুত্ব দেয়া হবে। মুসলিম হল ও শহীদ মিনারের নিয়ামক শক্তি সংস্কৃতি সংশ্লিষ্ট সংগঠন গণতান্ত্রিক প্রগ্রতিশীল রাজনৈতিক শক্তি। তারাই মূলত মুসলিম হল ও কেন্দ্রিয় শহীদ মিনারের মূখ্য নিয়ন্ত্রক। মুসলিম হলের সীমনা পরিধিতে পাবলিক লাইব্রেরী তাদের স্থাপনার জন্য কিছু জায়গা বরাদ্দ দেয়া হয়েছে মাত্র। এ ক্ষেত্রে তারা ভাড়াটি বা অতিথি। কিন্তু আশ্চার্য্যের বিষয় হচ্ছে প্রকল্প পরিচালক করা হয়েছে গণগ্রন্থাগার অধিদপ্তরের মহাপরিচালকে। সংগত কারণে প্রকল্পটির নির্মাতা কর্তৃপক্ষ গণপূর্ত বিভাগ। প্রকল্প বাস্তবায়নে পাবলিক লইব্রেরির স্বার্থ ও ইচ্ছেকে প্রাধান্য দিচ্ছে। আমাদের প্রশ্ন এই মূল প্রকল্প বাস্তবায়নে পাবলিক লাইব্রেরি ভবনটিকে ১৫ তলা করা হবে কেন ? অথচ মুসলিম হল কমপ্লেক্সটি মাত্র ৮ তলা পর্যন্ত করা হবে বলে যানা গেছে। তাই এই প্রকল্পে মুসলিম হলের অস্থিত্বই গুরুত্ব থাকছেনা। পাশাপাশি কেন্দ্রিয় শহীদ মিনারে ফুড জোন, কেফেটিরিয়া, মিউজিয়ামের জন্য স্থাপন করে শহীদ মিনারের বিশালত্বকে সংকোচিত করা হয়েছে। সবচেয়ে বড় কথা যেখানে আবেগ অনুভূতির জায়গা শহীদ মিনারকে গুরুত্ব দেয়ার কথা কিন্তু একে গুরুত্বহীন গণ্য করা হয়েছে। আমরা প্রকল্পের বাস্তবায়ন চাই। কিন্তু তা কোন ভাবেই শহীদ মিনার বা মুসলিম হলকে খাটো করে নয়। গণপূর্ত বিভাগ এই প্রকল্প বাস্তবায়নের নামে শহীদ মিনার ভেঙ্গে ফেলার বা সরিয়ে ফেলার যে উদ্ভট প্রস্তাব দিয়েছে তাতে ছাত্র জনতা হৃদয়ে রক্ত ক্ষরন হবার মতোই। তাই এই উদ্ভট প্রস্তাবটি প্রত্যাহার করার জন্য আমরা জোর দাবী জানাচ্ছি। বিবৃতি দাতাদের মধ্যে ইমতিয়াজ উদ্দিন পাশা, অশোক সাহা, মো. গিয়াস উদ্দিন, হাসান মাহমুদ সমশের, মফিজুর রহমান, জামশেদুল আলম চৌধুরী, বেলাল চৌধুরী, হারুনুর রশিদ, ব্যারিস্টার মনোয়ার আহমদ, চন্দন ধর, রফিকুল ইসলাম বাচ্চু, উৎপল চৌধুরী প্রমুখ। বিজ্ঞপ্তি