আবাহনীর ৪র্থ শিকার সিটি কর্পো.

6

ক্রীড়া প্রতিবেদক

এম এ আজিজ স্টেডিয়াম বিরামহীন সার্ভিস দিয়ে যাচ্ছে। ম্যাচের পর অধিকাংশ টিমের প্র্যাকটিস্ও এই মাঠে। ফলে সুইস টিপে পানি দেওয়ার কাজটিও ঠিকমত করা যায়না। স্বাভাবিক কারণেই আউট ফিল্ডের নরম ঘাস সবুজ রং হারিয়েছে শরীরের বেশির ভাগ জুড়েই। মাটি এমন শক্ত হয়েছে যে, খেলোয়াড়রা ডাইভ দিলে হাত-পা ছিড়ে রক্তাক্ত হওয়াটা নিত্যকার ব্যাপার। তার উপর গত ৭ মার্চ এ মাঠে অনুষ্ঠিত হয়েছিল জয় বাংলা কনসার্ট। তা আয়োজন করার কারণে লিগের একটি রাউন্ড (৬ ম্যাচ) কক্সবাজারে অনুষ্ঠিত হয়। কনসার্টের কারণে মাঠে অনেক গর্তের সৃষ্টি হয়, অনেক পাথরও ছিল মাঠ জুড়ে। ফলে ৪র্থ রাউন্ডের প্রথম খেলাতেই মাঠে সমস্যা দেখা দেয়।
গতকাল এ মাঠে চট্টগ্রাম আবাহনী এবং সিটি কর্পোরেশনের খেলা নির্ধারিত সময়ে শুরু হয়। টসে জিতে আবাহনীকে ব্যাট করতে পাঠিয়ে সিটি কর্পোরেশন ফিল্ডিং করতে নামে। দশ ওভার খেলাও চলে। কিন্তু মাঠে গর্ত এবং পাথর থাকার কারণে সিটি কর্পোরেশনের বেশ কয়েকজন খেলোয়াড় আহত হন। এ সময় এমন মাঠে সিটি কর্পোরেশন খেলতে অস্বীকৃতি জানালে ম্যাচ রেফারী এবং আম্পায়াররা খেলা বন্ধ রাখেন। পরে গ্রাউন্ডসম্যানদের দিয়ে মাঠ পরিস্কার এবং গর্ত ভরাটের ব্যবস্থা করা হয়। এ জন্য ১ ঘণ্টা ১৮ মিনিট খেলা বন্ধ থাকে। এরপর ম্যাচের আয়তন ৪৫ ওভারে নামিয়ে খেলা শুরু হয়।
আবাহনী নির্ধারিত ৪৫ ওভারে ৭ উইকেটে ৩০৭ রানের বিশাল সংগ্রহ দাঁড় করায়। দলের চার ব্যাটার অর্ধশতকের দেখা পান। অধিনায়ক জীবনের ব্যাট থেকে আসে অপরাজিত ৭০ রানের সর্বোচ্চ ইনিংস। এছাড়া ওপেনার সাইদুল ইসলাম সানজু ৬৪, জাহিদ জাভেদ ৫৯ এবং সাইদুল ইসলাম ইমরান ৫২ রান করেন। অন্যদের মধ্যে শোয়েব ১৭ এবং তাসামুল হক ১৩ রান করেন। অতিরিক্ত থেকে আসে ১৯ রান। সিটি কর্পোরেশন একাদশের রায়িদ আহমেদ রুদ্র ৩টি উইকেট পান।
বিশাল লক্ষ্য সামনে রেখে খেলতে নেমে সিটি কর্পোরেশনের পক্ষে একাই লড়ে যান ওপেনার রায়িদ আহমেদ রুদ্র (১১১ বলে ৮৪ রান)। অপর ওপেনার জাহিদুল ইসলাম ২৭ এবং আশরাফুল হোসেন বাবু ১৫ রান করেন। অতিরিক্ত থেকে আসে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ৩৫ রান। ৪৫ ওভারে ৮ উইকেটে ১৯২ রানে থামতে হয় সিটি কর্পোরেশনকে। চট্টগ্রাম আবাহনীর পক্ষে শোয়েব ৩৪ রানে ৩টি উইকেট পান। ২টি করে উইকেট নেন তাজুল ইসলাম এবং আবুল হাসনাত।
আবাহনী ডিএলএস মেথডে ১১৩ রানে জয়ী হয়। এ জয়ে টানা চার খেলার চারটিতেই জয়লাভ কওে লিগ টেবিলের শীর্ষে আছে টানা দু’বারের চ্যাম্পিয়ন চট্টগ্রাম আবাহনী। অন্যদিকে অফিস দল সিটি কর্পোরেশন নিজেদের চার খেলার চারটিতেই হার মানতে বাধ্য হয়েছে
আজকের খেলা: ইস্পাহানী স্পোর্টিং ক্লাব বনাম চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষ ক্রীড়া সমিতি।