আবাহনীর টানা ৫ম, ব্রাদার্সের ৪র্থ জয় কামরুলের ৬ উইকেট, মিঠুর ৯৫ রান

39


প্রথম তিন খেলায় হারের হ্যাটট্রিক। এর টানা পঞ্চম জয় চট্টগ্রাম আবাহনীর। গতকাল অষ্টম রাউন্ডের খেলায় মুক্তিযোদ্ধা লালকে ছয় উইকেটে সহজে হারিয়ে জয়ের ধারা অব্যাহত রেখেছে তারা। অন্যদিকে শুরুর তিন খেলায় টানা জয় চট্টগ্রাম ব্রাদার্সের। এরপর টানা চার পরাজয়। তবে গতকাল রাইজিং স্টার ক্লাবকে ৫৬ রানের ব্যবধানে হারিয়ে ফের জয়ের ধারায় ফিরেছে ব্রাদার্স। রাইজিং স্টার ও মুক্তিযোদ্ধা লাল দলের এটি আট খেলায় পঞ্চম পরাজয়।
এমএ আজিজ স্টেডিয়ামে অনুষ্ঠিত চট্টগ্রাম আবাহনী ও মুক্তিযোদ্ধা লালের মধ্যকার খেলায় টস জিতে আবাহনী প্রতিপক্ষ মুক্তিযোদ্ধা লালকে ব্যাটিংয়ের আমন্ত্রণ জানায়। খেলতে নেমে মুক্তিযোদ্ধা লাল দলীয় ৫৬ রানে প্রতিপক্ষের বোলার কাজী কামরুলের ঘূর্ণিতে প্রথম উইকেটে কফিল উদ্দিনকে হারায়। ক্রিজে ৮৫ মিনিট অবস্থান করে ৫৬ বল মোকাবিলায় সাত চার ও এক ছক্কায় হাফ সেঞ্চুরি করেন কফিল। এরপর দলীয় ইনিংসে মাত্র ১২ যোগ করতেই আবারো মুক্তিযোদ্ধার ব্যাটিং লাইনে ধস নামিয়ে আরো তিনটি গুরুত্বপূর্ণ উইকেটের পতন ঘটায় কামরুল। তবে পঞ্চম উইকেট জুটিতে ফয়জুল্লাহ সুমন ও হাসানুজ্জামান রুমির ব্যাটে ফের রানে ফিরে আসে মুক্তিযোদ্ধা। এই জুটি থেকে আসে মূল্যবান ৪৫ রান। ১১৩ রানে ফয়জুল্লাহ সুমন ব্যক্তিগত ২৮ রানে ফিরে গেলে বেশিক্ষণ থিতু হতে পারেননি হাসানুজ্জামানও। ৩৯.৫ ওভারে দলীয় ১৩২ রানে ব্যক্তিগত ২৪ রান যোগ ফিরে যান তিনি। এরপর মামুন উর রশীদের ২০ এবং আবু সালেহ তানভিরের অপরাজিত ৪৩ রানে ভর করে ৫০ ওভারে নয় উইকেটে দলীয় ইনিংস গিয়ে থামে ১৮৮ রানে। আবাহনীর হয়ে কাজী কামরুল তুলে নেন ছয়টি উইকেট।
অন্যদের মধ্যে দুটি আবদুল মোমিন মিনহাজ এবং আবু বক্কর একটি উইকেট নেন। জবাবে ব্যাট করতে নেমে ব্যাটসম্যানদের ধারাবাহিক ব্যাটিংয়ে ২৬.৩ ওভারে চার উইকেট হারিয়ে জয়ের লক্ষ্যে পৌঁছে যায় চট্টগ্রাম আবাহনী।
১৮৯ রানের লক্ষ্যে খেলতে নেমে দ্বিতীয় ওভারে প্রথম উইকেট হারায়। দলীয় ৭ রানে মিনহাজুল হককে প্যাভিলনমুখি করেন প্রতিক্ষের জাফর। দ্বিতীয় উইকেটে সাইদুল সানজু ও শামসুজ্জামান বাপ্পা মিলে ৫৭ রান যোগ করেন। দলীয় ৬৪ রানে সাইদুল সানজু ব্যক্তিগত ৪০ রানে ফিরে গেলে বাপ্পার সহযোগী হন কামরুল ইসলাম। ৭.৩ ওভারে দলীয় ৭৬ রানে ৯ বলে ২৩ রানের ঝড়ো ইনিংস খেলে ফিরে যান বাপ্পা। চতুর্থ উইকেট জুটিতে কামরুল ইসলাম ও সাব্বির হোসেনের দুরন্ত ব্যাটিং দলকে জয়ের কাছাকাছি নিয়ে যায়। ২৪.১ ওভারে ব্যক্তিগত ৪১ এবং দলীয় ১৭২ রানে কামরুল ইসলাম সাজঘরের পথ ধরলে আবু বক্করকে নিয়ে অবশিষ্ঠ কাজটি সেরে মাঠ ছাড়েন সাব্বির হোসেন। সাব্বির ৪৮ বলে ৬১ এবং আবু বক্কর ৮ বলে ১৫ রানে অপরাজিত থাকেন। মুক্তিযোদ্ধার হয়ে ফজজুল্লাহ সুমন দুটি এবং পারভেজ ও জাফর একটি করে উইকেট নেন।
জহুর আহমদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে অনুষ্ঠিত ব্রাদার্স ইউনিয়ন ও রাইজিং স্টারের মধ্যকার খেলায় টস হেরে আগে ব্যাট করার আমন্ত্রণ পেয়ে ব্রাদার্স ইউনিয়ন মাহবুবুল করিমের ৯৫, ধীমান ঘোষের ২৪, মামুন ২৪ এবং শাহীদ আবদুল্লাহর ২৬ রানের ভিত্তিতে সবকটি উইকেট হারিয়ে ৪৭.৪ ওভারে ২৪৭ রানের সংগ্রহ দাঁড় করায়। রাইজিং স্টারের পক্ষে আসাদুর তিনটি এবং মনির ও ওমর ফারুক দুটি করে উইকেট নেন।
জবাবে ব্যাট করতে নেমে রাইজিং স্টার ক্লাবের ইনিংস প্রতিপক্ষের বোলার শাহীদ আবদুল্লাহ ও সোহরাওয়ার্দি শুভর তোপে পড়ে ১৯১ রানে গুটিয়ে যায়। দলের পক্ষে সর্বোচ্চ ৬০ রান আসে আসাদুর রহমানের ব্যাট থেকে। এছাড়া আবু বক্কর ৩২, তারেক রহমান ২৭ এবং আরাফাত অপরাজিত ২২ রান করেন। ব্রাদার্সের শাহীদ আবদুল্লাহ চারটি এবং সোহরাওয়ার্দি শুভ তিনটি উইকেট নেন।