আবাহনীর টানা চার, মুক্তিযোদ্ধার ৩য় জয় : অবনমনের পথেই শতদল

45

প্রথম খেলায় ফ্রেন্ডস ক্লাব, দ্বিতীয় খেলায় চট্টগ্রাম বন্দর ক্রীড়া সমিতি এবং তৃতীয় খেলায় এফএমসি স্পোর্টসের কাছে পরাজয়ের পর টানা চার জয় তুলে নিয়েছে চট্টগ্রাম আবাহনী। গতকাল সপ্তম রাউন্ডের খেলায় তারা রাইজিং স্টার ক্লাবকে ১৭ রানে হারিয়েছে তারা। এর আগে পরাজয়ের হ্যাটট্রিকের গ্লানি দিয়ে লিগ শুরু করা আবাহনী নিজেদের চতুর্থ খেলায় সিটি কর্পোরেশন একাদশকে ৭৯ রানে, পঞ্চম রাউন্ডের খেলায় শতদল ক্লাবকে পাঁচ উইকেটে এবং ষষ্ঠ রাউন্ডের খেলায় পাইরেটস অব চিটাগাংকে ২০ রানে হারায়।
অন্যদিকে সমান সংখ্যক খেলায় রাইজিং স্টারের এটি চর্তুথ পরাজয়। দিনের আরেক খেলায় শতদল ক্লাবকে টানা সপ্তম হার উপহার দিয়ে নিজেদের তৃতীয় জয় পেয়েছে মুক্তিযোদ্ধা সংসদ ক্রীড়াচক্র লাল। মুক্তিযোদ্ধা লাল এর আগে নিজেদের প্রথম খেলায় ইস্পাহানী স্পোর্টিং ক্লাবকে আট উইকেটে হারিয়ে চলমান লিগে শুভযাত্রা করে। দ্বিতীয় খেলায় ফ্রেন্ডস ক্লাবের কাছে ২৭ এবং তৃতীয় খেলায় চট্টগ্রাম বন্দর ক্রীড়া সমিতির কাছে হারলেও চতুর্থ রাউন্ডের খেলায় এফএমসি স্পোর্টস ক্লাবকে হারিয়ে নিজেদের দ্বিতীয় জয়ের দেখা পায়। কিন্তু পঞ্চম রাউন্ডে আবার সিটি কর্পোরেশন একাদশের কাছে ৭৪ রানে এবং ষষ্ঠ রাউন্ডের খেলায় রাইজিং স্টারের কাছে সাত উইকেটে পরাজয় বরণ করে গতকাল শতদল ক্লাবের বিপক্ষে তৃতীয় জয়ের স্বাদ পায়। অন্যদিকে সাত খেলার সাতটিতে পরাজিত হয়ে অবনমনের পথে হাঁটছে নগরীর স্টেডিয়াম পাড়ার পুরনো ক্লাব শতদল। সাত খেলায় আবাহনীর পয়েন্ট আট এবং রাইজিং স্টার ও মুক্তিযোদ্ধা লাল দল উভয়ের ছয় করে।
এমএ আজিজ স্টেডিয়ামে আবাহনী বনাম রাইজিং স্টারের মধ্যকার খেলায় টস হেরে আগে ব্যাট করে চট্টগ্রাম আবাহনী নির্ধারিত ৫০ ওভারে আট উইকেট হারিয়ে ২৬০ রানের বড় সংগ্রহ দাঁড় করায়। দলের পক্ষে সর্বোচ্চ ৭২ রান করে সাইদুল ইসলাম সানজু। অন্যদের মধ্যে সাজ্জাদ ৩২, কামরুল ২০, রনি তালুকদার ২৫ এবং সাইদুল ইসলাম ইমরান ৪১ রানে অপরাজিত থাকেন। রাইজিং স্টারের পক্ষে মনিরুল আলম ও আবদুল্লাহ আল মামুন উভয়ে দুটি করে উইকেট নেন।
২৬১ রানের লক্ষ্যে ব্যাট করতে নেমে রাইজিং স্টার রানের খাতা খোলার আগেই প্রথম উইকেট হারায়। সতীর্থ ব্যাটসম্যানদের ব্যর্থতার দিনে এক পর্যায়ে ২২.৬ ওভারে ৮৯ রানে ছয় উইকেট খুইয়ে দিশা হারানো রাইজিং স্টারকে ম্যাচে ফেরার পথ দেখান চার নম্বরে নামা আসাদুর ও আট নম্বর ব্যাটসম্যান আরাফাত। এই দুজনে উপহার দেন ১২১ রানের পার্টনারশিপ। কিন্তু দলীয় ২১০ রানে আরাফাত তার ব্যক্তিগত ৫৮ রানে ফিরে গেলে অন্যদের ব্যাটিং ব্যর্থতায় দলীয় ইনিংসের সমাপ্তি ঘটে ২৪৩ রানে। ১০১ রানে অপরাজিত ছিলেন আসাদুর। ২২১ মিনিটে ১৩০ বল মোকাবিলা করে তিনি তার ইনিংসটি সাজান ১০টি চারের সাহায্যে। অন্যদের মধ্যে ৩৫ রান করেন আবদুল্লাহ আল মামুন। চট্টগ্রাম আবাহনীর হয়ে কামরুল ও আবু বক্কর তিনটি করে উইকেট নেন।
সাগরিকা জহুর আহমদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে অনুষ্ঠিত দিনের অন্য খেলায় মুক্তিযোদ্ধা লাল টস জিতে শতদল ক্লাবকে আগে ব্যাট করার আমন্ত্রণ জানালে তারা ৪৫.২ ওভারে অলআউট হয়ে ১৩৪ রান তোলে। দলের পক্ষে উদ্বোধনী ব্যাটসম্যান শামসুল আরেফিন সর্বোচ্চ ৪৮ রান করেন। এছাড়া হাবিব উল্লাহ ২৩ ও শাহনুর রহমান ১৭ রান করেন। মুক্তিযোদ্ধা লালের হয়ে মনিরুল সোহেল, জাহেদুল, তানভির, মোহামিনুল ও ফয়েজুল্লাহ সুমন প্রত্যেকে দুটি করে উইকেট নেন।
জবাবে ব্যাটিংয়ে নেমে ৩৬.৪ ওভারে সাত উইকেট হারিয়ে জয়ের লক্ষ্য ১৩৫ রানে পৌঁছে যায় মুক্তিযোদ্ধা লাল। দলের পক্ষে মোহামিনুল ৩১, ফয়েজুল্লাহ সুমন ২৯ এবং রোকন ২৮ রান করেন। শতদলের হয়ে সাখাওয়াত দুটি উইকেট নেন।