আবাসন শিল্পে নির্ভরতার নাম ‘সিপিডিএল’

33

‘উইথ কোয়ালিটি ইন টাইম’ মূলমন্ত্র নিয়ে শুরু থেকেই পদ্ধতিগত নির্মাণ, নিরবচ্ছিন্ন সময়ানুবর্তিতা, কঠোর মান নিয়ন্ত্রণ এবং ‘ইনোভেটিভ সলিউশন’-এর মাধ্যমে গ্রাহকসেবা দিয়ে আসছে আবাসন খাতের অন্যতম সফল প্রতিষ্ঠান সিপিডিএল। গুণগত মান বজায় রেখে নির্ধারিত সময়ের মধ্যেই প্রকল্প হস্তান্তর করার মাধ্যমে গ্রাহকদের আস্থা ও নির্ভরতার প্রতীক হয়ে উঠেছে প্রতিষ্ঠানটি। দীর্ঘ প্রায় ১৮ বছর ধরে আবাসন খাতে অর্জিত অভিজ্ঞতা, দক্ষতা ও গ্রহণযোগ্যতা পুঁজি করে নির্মাণপ্রক্রিয়া শুরু করেছে রাজধানীর ছয়টি প্রাইম লোকেশনে।
আবাসন খাতে সব সময় নতুন নতুন কনসেপ্টে ভিন্ন ধারার সলিউশনের পরিচয় করায় বেশ জনপ্রিয় সিপিডিএল। একটি ফ্ল্যাটকে বর্গফুটের গাণিতিক আবদ্ধতা থেকে মুক্ত করে পূর্ণ লাইফস্টাইলে সম্প্রসারিত করার কাজে সিপিডিএল বরাবরই সিদ্ধহস্ত। স্টারক্লাস কন্ডোমিনিয়াম হতে সিকিউরড কমিউনিটি লিভিং কিংবা গেইটেড কমিউনিটি, অথবা ফুল ফার্নিশড স্টুডিও অফিস বা সেকেন্ড হোমের মতো গ্রাহক-সমাদৃত কনসেপ্টগুলোর সঙ্গে চট্টগ্রামবাসীকে পরিচয় করিয়ে দিয়েছে তারা। শুধু তা-ই নয়, ওয়ান সিটি টু টাউন কনসেপ্টের আদলে আনোয়ারায় চট্টগ্রামের প্রথম স্যাটেলাইট সিটিও নির্মাণ করছে সিপিডিএল।
সাধারণত বেসিক প্রকল্প নির্মাণের বাইরে এসে সিপিডিএল ‘সোশ্যাল হ্যাপিনেস’-এর সংযুক্তি ঘটায়। প্রকল্প-সংশ্লিষ্ট এলাকার পরিবেশ ও প্রতিবেশ ঢেলে সাজানোর পাশাপাশি উন্নয়ন ঘটায় পুরো এলাকার মানুষের জীবনমানের। ‘নান্দনিক চট্টগ্রাম’ প্রকল্পের আওতায় জামালখান সবুজায়ন কিংবা সবুজ ঐতিহ্যে অনন্য দেবপাহাড়ের মতো অনেক উদাহরণ অসংখ্য মানুষের জীবনে প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষ উন্নয়ন ঘটাচ্ছে প্রতিনিয়ত। সিপিডিএলের সোশ্যাল হ্যাপিনেসের এ উদ্যোগ চলমান থাকবে-এমনটাই প্রত্যাশা সংশ্লিষ্টদের।
চট্টগ্রামে সিপিডিএলের ২২টির বেশি প্রকল্প নির্মাণাধীন। ইতিমধ্যে ৪০টি প্রকল্প হস্তান্তর করেছে। সাফল্যের সঙ্গে আবাসনসেবা প্রদানের পর চট্টগ্রামের গÐি ছাড়িয়ে রাজধানী ঢাকাতেও যাত্রা শুরু করেছে সিপিডিএল। চলছে প্রকল্পগুলোর নির্মাণকাজ। উন্মুক্ত করা হয়েছে বিক্রয়ের জন্য। ঢাকায় সিপিডিএলের প্রকল্পগুলো হলো বসুন্ধরা আবাসিক এলাকার কে ব্লকে ‘সিপিডিএল অপ্সরা’ এবং সি বøকে ‘সিপিডিএল অরুণিমা’; রাজধানীর বাণিজ্যিক প্রাণকেন্দ্র পুরানা পল্টনে ‘সিপিডিএল আহমেদ ফোরাম পল্টন’; আমেরিকান অ্যাম্বেসির সন্নিকটে বারিধারা জে বøকের পাশেই নুরের চালায় ‘সিপিডিএল রুবিকন সিটি’; উত্তরা সেক্টর ১০-এ ‘সিপিডিএল চয়নিকা’ এবং সেক্টর ৭-এ ‘সিপিডিএল হুসনা এল প্যারাডিসো’। এ ছাড়া গুলশান, বনানীসহ বেশ কিছু প্রাইম লোকেশনে উল্লেখযোগ্যসংখ্যক প্রকল্পের পরিকল্পনা প্রক্রিয়াধীন। ‘কোন বৈশিষ্ট্যে সিপিডিএলকে আলাদা ভাবা হয়’ এমন প্রশ্নের উত্তরে প্রতিষ্ঠানটির প্রেসিডেন্ট ইঞ্জিনিয়ার ইফতেখার হোসেন বলেন, ‘সিপিডিএল তার কর্মোদ্যোগের মাধ্যমে দেশের রিয়েল এস্টেটে প্রতিনিয়ত যুগোপযোগী পরিবর্তন ঘটানোর চেষ্টা করে যাচ্ছে। আমরা শুধু নির্দিষ্ট সময়ে প্রকল্প বুঝিয়ে দেওয়ার মধ্যে নিজেদের সীমাবদ্ধ রাখিনি, গ্রাহকদের কাছে হস্তান্তরপরবর্তী সব ধরনের সেবাও প্রদান করে থাকি। এই সেবা দ্রæততর এবং সহজভাবে প্রদানের জন্য আমরাই বাংলাদেশের একমাত্র প্রতিষ্ঠান, যারা মোবাইল অ্যাপভিত্তিক আফটার হ্যান্ডওভার সেবাপদ্ধতি চালু করেছি। গুগল প্লে স্টোর থেকে সহজেই “সিপিডিএল কেয়ার অ্যাপ”টি নামিয়ে নেওয়া যাবে। অ্যাপভিত্তিক সার্ভিসকে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিয়ে বাস্তবায়ন করতে আমরা গড়ে তুলেছি “হ্যাপিনেস টিম” নামে নিবেদিতপ্রাণ দক্ষ কর্মী বাহিনী।’