আবারও চালু হলো সিএমপি বিদ্যানন্দ ফিল্ড হাসপাতাল

21

করোনা রোগীদের চিকিৎসায় বন্দরনগরীতে দ্বিতীয় বারের মতো শুরু হলো সিএমপি-বিদ্যানন্দ ফিল্ড হাসপাতাল। নগরীর পাহাড়তলীতে সাগরিকা রোডে প্রিমিয়ার বিশ্ববিদ্যালয়ের আট তলা একটি বিল্ডিংয়ে হাসাপাতালটি স্থাপন করছে দেশের শীর্ষস্থানীয় স্বেচ্ছাসেবী প্রতিষ্ঠান ‘বিদ্যানন্দ ফাউন্ডেশন’। এই হাসপাতালে সার্বিক সহযোগীতা দিচ্ছে চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশ এবং আবাসিক সহযোগীতা দিচ্ছে প্রিমিয়ার বিশ্ববিদ্যালয়। ৭০ শয্যা বিশিষ্ট এই হাসপাতালটি উদ্বোধন করেন বিশিষ্ট সমাজবিজ্ঞানী প্রফেসর ড. অনুপম সেন। প্রধান অতিথি ছিলেন চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশ কমিশনার জনাব সালেহ মোহাম্মদ তানভীর। এর আগে গত বছরের জুলাই মাসে করোনা রোগের চিকিৎসায় পতেঙ্গায় প্রথম ১০০ শয্যা বিশিষ্ট ফিল্ড হাসপাতাল গড়ে তুলে বিদ্যানন্দ ফাউন্ডেশন। উদ্বোধকের বক্তব্যে ড. অনুপম সেন বলেন, বিদ্যানন্দ মানবতার সেবায় অনুকরণীয় দায়িত্ব পালন করছে এবং করোনার সংকট মোকাবেলায় স্থাপিত কোভিড ফিল্ড হাসপাতাল একটি মাইলফলক হয়ে থাকবে। তিনি বলেন, দরিদ্র মানুষ যেন এই হাসপাতালে বিনামূল্যে সেবা পায় সেজন্য প্রিমিয়ার বিশ্ববিদ্যালয়ের বিল্ডিংটি বিদ্যানন্দকে প্রদান করা হয়েছে। তিনি বলেন, এমন উত্তম কাজে তিনি চট্টগ্রামবাসীকে এগিয়ে আসতে হবে যেনো দুস্থ করোনা রোগী সহজে চিকিৎসা সেবা পায়। প্রধান অতিথি সিএমপি কমিশনার সালেহ মোহাম্মদ তানভীর বলেন- এ হাসপাতালের পাশে চট্রগাম মেট্রোপলিটন পুলিশ থাকবে। সকল প্রকার সহযোগিতা প্রদান করা হবে এই হাসপাতালের অগ্রযাত্রায়। তিনি বন্দর নগরীর বাসিন্দাদের সহযোগিতার হাত বাড়ানোর অনুরোধ জানান। এসময় তিনি সবাইকে স্বাস্থ্যবিধি এবং সরকারের নির্দেশনা মেনে চলার আহব্বান জানান। ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে স্বাগত বক্তব্য রাখেন এ হাসপাতালে কভিড রোগী হিসেবে আইসোলেশনে থাকা বিদ্যানন্দের প্রতিষ্ঠাতা কিশোর কুমার দাশ। তিনি বলেন যতদিন করোনার আক্রমন থাকবে ততোদিন এই হাসপাতাল চলবে। সবাইকে এই হাসপাতালে রোগি পাঠানোর অনুরোধ জানান। সভাপতির বক্তব্যে শিপ্রা দাশ বলেন, একজন করোনা আক্রান্ত রোগীর চিকিৎসার পাশাপাশি মানসিক সুস্থতার বিষয়টি মাথায় রেখে আমরা হাসপাতালটি সাজিয়েছি। চিকিৎসা নিতে এক টাকাও গুনতে হবে না। সিএমপি-বিদ্যানন্দ ফিল্ড হাসপাতালের সমন্বয়ক জামাল উদ্দিন বলেন এই হাসপাতাল জনগনের টাকায় পরিচালিত। সেন্ট্রাল অক্সিজেন সাপোর্ট সহ এ হাসপাতালে থাকছে বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক সহ ১০ জন চিকিৎসক, ৮ জন নার্স, ৪০ জনের স্বেচ্ছাসেবক টিম, সার্বক্ষণিক এম্বুলেন্স সার্ভিস, অক্সিজেন কনসেন্ট্রেটর ও হাই ফ্লউ নেসাল ক্যানুলা। সর্বশেষে অতিথিবৃন্দ হাসপাতালে ভর্তি থাকা কিশোর কুমার দাশকে দেখতে যান। এ সময় আরো উপস্থিত ছিলেন প্রিমিয়ার বিশ্ববিদ্যালয়ের ট্রেজারার প্রফেসর একেএম তফজল হক, সিএমপির অতিরিক্ত কমিশনার (ক্রাইম ও অপারেশন) মোঃ শামসুল আলম, অতিরিক্ত কমিশনার (ট্রাফিক) শ্যামল কুমার নাথন ও ডিসি (হেডকোয়ারটারস) আমির জাফর।