আবরারের খুনিদের সর্বোচ্চ শাস্তি নিশ্চিত করা হবে

27

তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ বুয়েটের ছাত্র আবরার ফরহাদকে হত্যার ব্যাপারে বলেছেন, এ হত্যাকান্ড প্রচন্ড ন্যাক্কারজনক ও অনভিপ্রেত। আমরা প্রথম থেকেই এর তীব্র নিন্দা জানিয়েছি। যারা এই ঘটনায় দোষী সাব্যস্ত হবে তাদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি নিশ্চিত করতে সরকার বদ্ধপরিকর।
গতকাল বুধবার দুপুরে সচিবালয়ে মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে টেলিভিশন শিল্পী, কলা-কুশলী, নাট্যকার, অনুষ্ঠান নির্মাতাদের সম্মিলিত সংগঠন ফেডারেশন অফ টেলিভিশন প্রফেশনালস অর্গানাইজেশনের (এফটিপিও) নেতৃবৃন্দের সঙ্গে মতবিনিময়কালে একথা বলেন।
বৈঠকে মন্ত্রী বলেন, আবরার হত্যা মামলার সব অভিযুক্তকে পুলিশ ইতিমধ্যে গ্রেপ্তার করেছে।
আওয়ামী লীগের প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক বলেন, সরকার এবং ক্ষমতাসীন দল সবসময় এমন হত্যাকান্ডের বিরোধিতা করে।
মন্ত্রী বলেন, সমালোচনা গণতান্ত্রিক রাষ্ট্রের একটি চর্চার বিষয়। যে কেউ তার নিজের মতামতের মাধ্যমে সমালোচনা করতেই পারে। তবে, হত্যা বা আক্রমণ মতবিরোধের জবাব দেয়ার কোনও পন্থা হতে পারে না।
হাছান মাহমুদ বলেন, বাংলাদেশ ছাত্রলীগ ইতিমধ্যে আবরার হত্যাকান্ডের জন্য বুয়েট শাখার কিছু নেতা-কর্মীকে বহিষ্কার করেছে। খবর বাসস’র
মন্ত্রী বলেন, যারা নিজেদের স্বার্থ উদ্ধারে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে অপপ্রচার চালাচ্ছে সরকার তাদের সহ্য করবে না।
তিনি বলেন, যারা এই মৃত্যুকে কেন্দ্র করে মিথ্যা ও অপপ্রচার ছড়ানোর চেষ্টা করবে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে।
এসময় উপস্থিত ছিলেন তথ্য প্রতিমন্ত্রী ড. মুরাদ হাসান, তথ্য সচিব আব্দুল মালেক ও এফটিপিও’র আহবায়ক মামুনুর রশীদ।
মামুনুর রশীদ দেশের সামাজিক অবক্ষয়ের কারণ হিসেবে কিছু বিদেশি টিভি সিরিয়াল অভিশাপ উল্লেখ করে সরকারকে বাংলায় প্রচারিত বিদেশি টিভি সিরিয়াল সম্প্রচারে ক্ষেত্রে প্রিভিও কমিটি গঠনের আহবান জানান।
তথ্যমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশে বিভিন্ন বিদেশি কোম্পানির ডিটিএইচ অবৈধভাবে ব্যবহার করা হয়। বিদেশি কোনো ডিটিএইচ কোম্পানিকে এখানে ডিটিএইচ যন্ত্র বসিয়ে সম্প্রচারের অনুমোদন দেয়া হয়নি। সুতরাং বিদেশি যে সমস্ত ডিটিএইচ যারা ব্যবহার করছেন বা যাদের মাধ্যমে ব্যবহার করছেন, পুরোটাই অবৈধ।
বাংলাদেশে কয়েক লক্ষ বিদেশি ডিটিএইচ সিস্টেম বিভিন্ন জায়গা লাগানো হয়েছে উল্লেখ করে ড. হাছান বলেন, দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে, শুধু শহরে নয় গ্রামেও লাগানো হয়েছে, যা সম্পূর্ণ অবৈধ। এটা বিদেশ থেকে কেনা হয়, বাংলাদেশের টাকা হুন্ডির মাধ্যমে যায়। এগুলো যারা ব্যবহার করে তাদের কাছ থেকে এক বছরের টাকা নিয়ে নেয়া হয়। কোম্পানি তো বিদেশি, মাসে মাসে নেয়া কঠিন, এজন্য এক বছরের টাকা নিয়ে সেগুলো আবার হুন্ডির মাধ্যমে বিদেশে পাঠানো হয়। এভাবে দেশের সাতশ থেকে আটশ কোটি টাকার বেশি বিদেশে পাচার হয়। এটি চলতে দেয়া যায় না, এটি সমীচিন নয়।
মন্ত্রী বলেন, আমরা এটা নিয়ে আলোচনা করেছি, ১৫ ডিসেম্বর পর্যন্ত সময় দিচ্ছি। সমস্ত অবৈধ বিদেশি ডিটিএইচ যন্ত্র এর মধ্যেই সরিয়ে নিতে হবে। এরপর আমরা মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করবো। ক্যাবল নেটওয়ার্কের ক্ষেত্রে শৃঙ্খলার জন্য যেভাবে মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করা হয়েছে, একইভাবে ১৫ ডিসেম্বরের পরে অবৈধ বিদেশি ডিটিএইচ কেউ যদি ব্যবহার করে, তাদের বিরুদ্ধে মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করে ব্যবস্থা নেয়া হবে, আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
তথ্যমন্ত্রী বলেন, ইতোমধ্যে সরকার গত ছয়মাসে গণমাধ্যম সম্প্রচারে শৃঙ্খলা আনতে অনেক পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে।
হাসান বলেন, আমরা ইতোমধ্যে গণমাধ্যমের উন্নয়নে বিভিন্ন পদক্ষেপ গ্রহণ করেছি। সেসব উদ্যোগ বেশিরভাগ গণমাধ্যম মেনে চলবে।