আবদুল হক চৌধুরীর মৃত্যুবার্ষিকী আজ

6

 

গবেষণায় মরণোত্তর একুশে পদকপ্রাপ্ত বীর মুক্তিযোদ্ধা, চট্টলতত্ত্ববিদ আবদুল হক চৌধুরীর ২৭তম মৃত্যুবার্ষিকী আজ। ১৯২২ সালের ২৪ আগস্ট রাউজান থানাধীন নোয়াজিশপুর গ্রামে তিনি জন্মগ্রহণ করেন। ৭২ বছর বয়সে ১৯৯৪ সালের ২৬ অক্টোবর পরলোকগমন করেন। তার মাতা মোমেনা খাতুন চৌধুরী ও পিতা সরফুদ্দিন ইঞ্জিনিয়ার দানশীল ব্যক্তি হিসেবে খ্যাত ছিলেন এবং ১৯৩০ সালে স্বঅর্থায়নে নোয়াজিশপুর প্রাথমিক বিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা করেন। আবদুল হক চৌধুরী ‘চন্দ্রাবতী’ কাব্যের রচয়িতা কবি কোরেশী মাগন এর সপ্তম অধস্থন পুরুষ। বাঙালী জাতীয়তাবাদী আন্দোলনের মূলধারার সংগঠক আবদুল হক চৌধুরী। বায়ান্নের ভাষা আন্দোলন ও মহান মুক্তিযুদ্ধের অন্যতম প্রত্যক্ষ যোদ্ধা তিনি। ১৯৭১ সালের ১১আগস্ট তিনি এবং তার পুত্র শহীদুল আমিন চৌধুরী পাক হানাদার বাহিনীর হাতে নির্যাতিত ও গ্রেফতার হন। আবদুল হক চৌধুরীর গবেষণা দেশ বিদেশে ছাত্র-শিক্ষক, গবেষক ও পন্ডিত মহলে উচ্চ মর্যাদায় আসীন। তার চট্টগ্রামের সমাজ ও সংস্কৃতি গ্রন্থটি সংস্কৃতির মহাফেজ খানা হিসেবে খ্যাতি পেয়েছে ভিনদেশি পÐিত মহলে। আবদুল হক চৌধুরীর রচিত ও প্রকাশিত গ্রন্থের সংখ্যা ১২টি। ২০১১ সালে মরণোত্তর একুশে পদক পেয়েছেন তিনি। তাঁর অবদানের স্বীকৃতি হিসেবে সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের উদ্যোগে স্ব গ্রাম নোয়াজিশপুরে নির্মিত হচ্ছে আবদুল হক চৌধুরী স্মৃতি কেন্দ্র/ সংগ্রহশালা। মৃত্যুবার্ষিকীতে আবদুল হক চৌধুরী স্মৃতি পরিষদের পক্ষ থেকে কবরে পুস্পার্ঘ অর্পণ, খতমে কোরআন, কবর জেয়ারত ও দোয়া মাহফিলের আয়োজন করা হয়েছে। বিজ্ঞপ্তি