আফগানিস্তানে ৩১ মিলিয়ন ডলারের জরুরি সহায়তা দিচ্ছে চীন

0

খাদ্য সরবরাহ ও করোনভাইরাসের টিকাসহ আফগানিস্তানকে ২০ কোটি ইউয়ান (৩ কোটি ১০ লাখ ডলার) মূল্যের জরুরি সহায়তা দেওয়ার আশ্বাস দিয়েছে চীন। তালেবান সরকারের সঙ্গে যোগাযোগ রক্ষায় তারা প্রস্তুত, বেইজিং এমনটা জানানোর পর তাদের পক্ষ থেকে আফগানিস্তানে এই সহায়তা দেওয়ার ঘোষণা এল। নতুন অন্তর্বর্তীকালীন সরকার গঠনকে আফগানিস্তানে ‘শৃঙ্খলা ফিরিয়ে আনতে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ’ হিসেবেও চীন উল্লেখ করেছে বলে বিবিসির এক প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে।
কয়েকদিন আগেই তালেবান তাদের অন্তর্বর্তী মন্ত্রিসভার সদস্যদের নাম ঘোষণা করেছে, আফগানিস্তানকে ‘ইসলামী আমিরাত’ হিসেবেও ঘোষণা করেছে তারা। যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন বলেছেন, তার দেশ তালেবান সরকারকে স্বীকৃতি দেওয়া থেকে ‘যোজন যোজন দূরে’। এই সুযোগে দৃশ্যপটে চীনের আবির্ভাব বলে মন্তব্য বিবিসির।
বুধবার আফগানিস্তানের প্রতিবেশী কয়েকটি দেশ, পাকিস্তান, ইরান, তাজিকিস্তান, উজবেকিস্তান ও তুর্কমেনিস্তানের পররাষ্ট্রমন্ত্রীদের সঙ্গে বৈঠকে চীনা পররাষ্ট্রমন্ত্রী ওয়াং ই আফগানিস্তানের জন্য জরুরি সাহায্য পাঠানোর কথা জানান। তিনি আফগানিস্তানকে সহযোগিতায় দেশগুলোকে এগিয়ে আসারও আহŸান জানান। চীন আফগানিস্তানে ৩০ লাখ ডোজ করোনাভাইরাস টিকা সরবরাহ করতে যাচ্ছে বলেও জানান ওয়াং ই।
যুক্তরাষ্ট্র যেভাবে আফগানিস্তান থেকে সৈন্য প্রত্যাহার করেছে তার কঠোর সমালোচনা করেছে বেইজিং; মার্কিন সেনারা আফগানিস্তানে ‘ভয়াবহ ধ্বংসযজ্ঞ’ রেখে গেছে বলে মন্তব্য করেছে তারা। চীনের এক কর্মকর্তা বলেছেন, যুক্তরাষ্ট্র আফগানিস্তানে তার আগ্রাসনের প্রথম দিন থেকে শুরু করে সেনা প্রত্যাহারের শেষ মিনিট পর্যন্ত আফগান জনগণের মারাত্মক ক্ষতি করে গেছে।
“যুক্তরাষ্ট্র গত দুই দশকে আফগানিস্তানে যা করেছে, তা পাঠ্যপুস্তকের উদাহরণ, যা দেখাচ্ছে- অনাকাঙ্ক্ষিত সামরিক হস্তক্ষেপ এবং কারও ধ্যানধারণা ও মূল্যবোধ অন্যদের ওপর চাপিয়ে দেওয়ার পরিণতি কী হতে পারে,” বলেছেন চীনা পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র ওয়াং ওয়েনবিন।
তালেবান কর্মকর্তারা চীনকে ‘আফগানিস্তানের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ অংশীদার’ হিসেবে অ্যাখ্যা দিয়েছেন; চীনা বিনিয়োগ ও সহায়তায় যুদ্ধবিধ্বস্ত দেশটি পুনর্গঠন করা সম্ভব হবে বলেও আশা তাদের। তালেবানের সঙ্গে ভালো সম্পর্ক গড়তে চীন অনেকদিন ধরেই চেষ্টা চালিয়ে আসছিল।